ডা. এম এ হক, পিএইচডি
ত্বকে ব্রণ হওয়া একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। এটি মুখের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময় এটা বেশি দেখা যায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে বেশি বয়সেও ব্রণ হতে পারে। সাধারণত লোমকূপের তলায় তেল নিঃসরণ গ্রন্থি এবং মৃত কোষের কারণে এটি হয়ে থাকে। ব্রণ হলে অনেকে নিজে নিজেই ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করতে শুরু করেন, যা অনেক সময় বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু ব্রণ পরিচর্যা করলে সেরে যায়। আবার কিছু ব্রণ আছে যা সহজে সারতে চায় না। সারলেও বার বার ফিরে আসে। ব্রণের ধরন, কারণ, করণীয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ব্রণের ধরন
ব্রণের একাধিক ধরন আছে। প্রাথমিক পর্যায়ের ব্রণকে ইংরেজিতে ‘কমিডন’ বলে। এটি হলে মুখে সাদা দানার মতো হয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে যে ব্রণ হয় তাকে ‘পাস্টিউলার অ্যাকনে’ বলে। এ ব্রণ একটু বড় এবং ব্যথাযুক্ত হয়। এর ভেতর পুঁজ থাকে। মুখভর্তি আরেক ধরনের ব্রণ হয়ে থাকে। একে ‘সিস্টিক অ্যাকনে’ বলে।
ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে, অতিরিক্ত তেল বা ‘সিবাম’ নিঃসৃত হলে এর আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ ছাড়া ‘প্রোপিয়োনি ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস’ নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও এটি হতে পারে।
ব্রণ হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে গেলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ব্রণ হতে পারে। আবার ২৫ বছর বয়সের পরেও অনেকের নতুন করে ব্রণ দেখা দিতে পারে। ফাস্ট ফুড, অসম্পৃক্ত চর্বি ও চিনি ব্রণের জন্য দায়ী। চিনি ‘সিবাম’ নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যাচাই-বাছাই না করে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও ব্রণ হতে পারে। অনিদ্রা, খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া, পরিমিত পানি পান না করা এবং শাকসবজি না খাওয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে। এ ছাড়া শরীরের চর্চার অভাবও ব্রণের জন্য দায়ী।
ব্রণ হাত দিয়ে গলিয়ে দিলে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের সংস্পর্শে এসে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। এমনকি ত্বকের গভীরে গিয়ে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে, ত্বকে দাগ সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে তা না খোটানোই ভালো।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ব্রণের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে ক্যালকেরিয়া পিক, ক্যালকেরিয়া সিলিকেটা, সিপিয়া, সিফিলিনাম, মেডোরিনাম, কস্টিকাম, কেমোমিলা, আর্নিকা-মন্টেনা, থুজা, পালসেটিলা, টিউবারকুলিনামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যেগুলোর সঠিক ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়। এ চিকিৎসায় শুধু ব্রণের আরোগ্যই হয়, তা নয়। সেসঙ্গে মুখের অযাচিত দাগও দূর হয়ে মুখ হয়ে ওঠে লাবণ্যময়।
লেখক: হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: ড. হক হোমিও ট্রিটমেন্ট এন্ড রিসার্স সেন্টার
বিটিআই সেন্ট্রা গ্র্যান্ড, গ্রাউন্ড ফ্লোর (জি-৪)
১৪৪ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।
ত্বকে ব্রণ হওয়া একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। এটি মুখের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময় এটা বেশি দেখা যায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে বেশি বয়সেও ব্রণ হতে পারে। সাধারণত লোমকূপের তলায় তেল নিঃসরণ গ্রন্থি এবং মৃত কোষের কারণে এটি হয়ে থাকে। ব্রণ হলে অনেকে নিজে নিজেই ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করতে শুরু করেন, যা অনেক সময় বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু ব্রণ পরিচর্যা করলে সেরে যায়। আবার কিছু ব্রণ আছে যা সহজে সারতে চায় না। সারলেও বার বার ফিরে আসে। ব্রণের ধরন, কারণ, করণীয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ব্রণের ধরন
ব্রণের একাধিক ধরন আছে। প্রাথমিক পর্যায়ের ব্রণকে ইংরেজিতে ‘কমিডন’ বলে। এটি হলে মুখে সাদা দানার মতো হয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে যে ব্রণ হয় তাকে ‘পাস্টিউলার অ্যাকনে’ বলে। এ ব্রণ একটু বড় এবং ব্যথাযুক্ত হয়। এর ভেতর পুঁজ থাকে। মুখভর্তি আরেক ধরনের ব্রণ হয়ে থাকে। একে ‘সিস্টিক অ্যাকনে’ বলে।
ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে, অতিরিক্ত তেল বা ‘সিবাম’ নিঃসৃত হলে এর আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ ছাড়া ‘প্রোপিয়োনি ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস’ নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও এটি হতে পারে।
ব্রণ হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে গেলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ব্রণ হতে পারে। আবার ২৫ বছর বয়সের পরেও অনেকের নতুন করে ব্রণ দেখা দিতে পারে। ফাস্ট ফুড, অসম্পৃক্ত চর্বি ও চিনি ব্রণের জন্য দায়ী। চিনি ‘সিবাম’ নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যাচাই-বাছাই না করে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও ব্রণ হতে পারে। অনিদ্রা, খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া, পরিমিত পানি পান না করা এবং শাকসবজি না খাওয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে। এ ছাড়া শরীরের চর্চার অভাবও ব্রণের জন্য দায়ী।
ব্রণ হাত দিয়ে গলিয়ে দিলে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের সংস্পর্শে এসে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। এমনকি ত্বকের গভীরে গিয়ে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে, ত্বকে দাগ সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে তা না খোটানোই ভালো।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ব্রণের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে ক্যালকেরিয়া পিক, ক্যালকেরিয়া সিলিকেটা, সিপিয়া, সিফিলিনাম, মেডোরিনাম, কস্টিকাম, কেমোমিলা, আর্নিকা-মন্টেনা, থুজা, পালসেটিলা, টিউবারকুলিনামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যেগুলোর সঠিক ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়। এ চিকিৎসায় শুধু ব্রণের আরোগ্যই হয়, তা নয়। সেসঙ্গে মুখের অযাচিত দাগও দূর হয়ে মুখ হয়ে ওঠে লাবণ্যময়।
লেখক: হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: ড. হক হোমিও ট্রিটমেন্ট এন্ড রিসার্স সেন্টার
বিটিআই সেন্ট্রা গ্র্যান্ড, গ্রাউন্ড ফ্লোর (জি-৪)
১৪৪ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।
ঈদের ঠিক দুইদিন আগে, যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানী, তখন অন্ধকার নেমে আসে জামাল আহমেদের জীবনে। রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যজনিত রোগের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বোঝা বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
১ দিন আগেগরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১ দিন আগেচিকিৎসার আশায় ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও চিকিৎসক না পেয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একে একে চলে গেছেন সব রোগী। তাঁদেরই একজন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাশিদুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার সময় বললেন, ‘২১ দিন ছিলাম, কোনো চিকিৎসা পাইনি। ঈদের পর আবার আসব ভাবছি।’
৪ দিন আগে