ডা. সানজিদা শাহ্রিয়া
মাঝে মাঝে মন খারাপ হওয়া এবং সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া, দুটো ভিন্ন বিষয়। এই দীর্ঘমেয়াদি মন খারাপকে আমলে না নিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তা ছড়িয়ে পড়তে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। দেখা দিতে পারে দাম্পত্য সমস্যা, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা, হীনম্মন্যতায় ভোগা, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি। এই দীর্ঘমেয়াদি মন খারাপ হলো বিষণ্নতা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বিষণ্নতা মস্তিষ্কের গঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মানুষের মস্তিষ্কে ধূসর ও সাদা-দুই ধরনের পদার্থ থাকে। দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা মস্তিষ্কের সাদা পদার্থকে সংকুচিত করে। এই সাদা পদার্থ বিভিন্ন ফাইবার দিয়ে জালের মতো সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে ইলেকট্রিক সিগন্যালের মাধ্যমে। ফলে এটি সংকুচিত হলে আবেগ-অনুভূতি ও চিন্তার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এ কারণে ব্যক্তি মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, শূন্যতাবোধে ভুগতে পারেন।
বিষণ্নতায় ক্ষতি
নিশ্বাসের ব্যায়াম
দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা থেকে মুক্ত থাকতে নিজের যত্ন নিতে হবে। সে জন্য মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। নিশ্বাসের ব্যায়াম এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। যখনই কেউ বিষণ্নতায় ভুগলে পরিস্থিতি তিনি হয়তো বদলাতে পারবেন না। কিন্তু সচেতন হলে পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব থেকে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। এ জন্য তাঁকে নিশ্বাসের ধরন বদলাতে হবে, যা খুবই কার্যকর।
যেভাবে করবেন
প্রথমে সমপরিমাণ নিশ্বাস নিয়ে সমপরিমাণ নিশ্বাস ছাড়ুন। যেমন ৩ সেকেন্ড নিশ্বাস নিলে ৩ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পর পর তিনবার করুন। এরপর নিশ্বাস নেওয়ার দ্বিগুণ সময় ধরে নিশ্বাস ছাড়ুন। অর্থাৎ ৩ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস নিয়ে ৬ সেকেন্ড সময় ধরে ছাড়ুন। এভাবে তিনবার করুন। যতক্ষণ ভালো লাগে, এ ব্যায়াম করা যাবে।
এ ছাড়া যখন স্ট্রেস অনুভূত হবে, তখনই করতে পারলে ভালো। এতে করে শরীরে অক্সিজেন চলাচল ভালো হবে। বিষণ্নতা দূর করতে এটি ভালো কাজ করে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বাংলাদেশ
আরও পড়ুন:
মাঝে মাঝে মন খারাপ হওয়া এবং সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া, দুটো ভিন্ন বিষয়। এই দীর্ঘমেয়াদি মন খারাপকে আমলে না নিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তা ছড়িয়ে পড়তে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। দেখা দিতে পারে দাম্পত্য সমস্যা, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা, হীনম্মন্যতায় ভোগা, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি। এই দীর্ঘমেয়াদি মন খারাপ হলো বিষণ্নতা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বিষণ্নতা মস্তিষ্কের গঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মানুষের মস্তিষ্কে ধূসর ও সাদা-দুই ধরনের পদার্থ থাকে। দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা মস্তিষ্কের সাদা পদার্থকে সংকুচিত করে। এই সাদা পদার্থ বিভিন্ন ফাইবার দিয়ে জালের মতো সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে ইলেকট্রিক সিগন্যালের মাধ্যমে। ফলে এটি সংকুচিত হলে আবেগ-অনুভূতি ও চিন্তার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এ কারণে ব্যক্তি মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, শূন্যতাবোধে ভুগতে পারেন।
বিষণ্নতায় ক্ষতি
নিশ্বাসের ব্যায়াম
দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা থেকে মুক্ত থাকতে নিজের যত্ন নিতে হবে। সে জন্য মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। নিশ্বাসের ব্যায়াম এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। যখনই কেউ বিষণ্নতায় ভুগলে পরিস্থিতি তিনি হয়তো বদলাতে পারবেন না। কিন্তু সচেতন হলে পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব থেকে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। এ জন্য তাঁকে নিশ্বাসের ধরন বদলাতে হবে, যা খুবই কার্যকর।
যেভাবে করবেন
প্রথমে সমপরিমাণ নিশ্বাস নিয়ে সমপরিমাণ নিশ্বাস ছাড়ুন। যেমন ৩ সেকেন্ড নিশ্বাস নিলে ৩ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পর পর তিনবার করুন। এরপর নিশ্বাস নেওয়ার দ্বিগুণ সময় ধরে নিশ্বাস ছাড়ুন। অর্থাৎ ৩ সেকেন্ড ধরে নিশ্বাস নিয়ে ৬ সেকেন্ড সময় ধরে ছাড়ুন। এভাবে তিনবার করুন। যতক্ষণ ভালো লাগে, এ ব্যায়াম করা যাবে।
এ ছাড়া যখন স্ট্রেস অনুভূত হবে, তখনই করতে পারলে ভালো। এতে করে শরীরে অক্সিজেন চলাচল ভালো হবে। বিষণ্নতা দূর করতে এটি ভালো কাজ করে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বাংলাদেশ
আরও পড়ুন:
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
৮ ঘণ্টা আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
১৪ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
১৫ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
১৬ ঘণ্টা আগে