আজাদুল আদনান, ঢাকা

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
চিকিৎসা না পেয়ে এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন (৫৪)। তাঁর মতো এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী আসেন। চিকিৎসকের ৯টি পদ থাকলেও আছেন মাত্র দুজন। আর ২৬ নার্সের মধ্যে আছেন ২০ জন। চিকিৎসক সংকটের কারণে বেশির ভাগ রোগী দেখেন নার্সেরা। একই চিত্র জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে কীভাবে এত মানুষের সেবা দেব। তাই নার্সদের সহযোগিতা নিতে হয়।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালের। ফলে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি সংকট টেকনোলজিস্টেরও। করোনায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনামতে, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনজন নার্স ও পাঁচজন টেকনিশিয়ান থাকা উচিত। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক ধরলেও ৪৮ হাজারের বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। দরকার দেড় লাখ নার্স ও আড়াই লাখ টেকনিশিয়ান। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সব ক্ষেত্রেই লোকবল অনেক কম। পদ না বাড়ানো, নিয়মিত নিয়োগ না হওয়াই এর অন্যতম কারণ।
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনুবিভাগ দেখভাল করে। সে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান দায় চাপাচ্ছেন প্রশাসন অনুবিভাগের ওপর। তিনি বলেন, তাঁরা নন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ দেখে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় বারবার নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। সেগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক, কান ও গলার বহির্বিভাগে দেখা যায়, চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে শত শত রোগী। প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার শ রোগী আসেন। কিন্তু চিকিৎসক আছেন মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে অসুস্থতা ও বিশেষ ছুটি মিলিয়ে নিয়মিত সেবা দেন তিন চিকিৎসক। ফলে দিনে গড়ে একজনকে ১০০-১৫০ রোগী দেখতে হয়।
নাক-কান-গলা ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটে আছেন ৩২ নার্স। কিন্তু ছুটিসহ নানা কারণে প্রতিদিন তিন শিফটে ২০-২২ জন দায়িত্ব পালন করেন। সকালের শিফটে ১২ জন দায়িত্বে থাকলেও বিকেলে তিনজন এবং রাতে দেড় শ রোগীর সেবায় থাকেন মাত্র দুজন নার্স।
রোগীদের অভিযোগ, দিনে একবার ডাক্তার এলেও কাগজপত্র দেখে চলে যান। নার্সদের ভাষ্য, তাঁদের সেবা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও জনবল সংকটে সেটি হচ্ছে না।
বহির্বিভাগের চিকিৎসক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা নিয়ে নিজেরাই সন্তুষ্ট নই। চিকিৎসক বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালও বাড়ানো জরুরি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন চিকিৎসককে রোগীপ্রতি ন্যূনতম ১০ মিনিট করে সময় দিতে হয়। সে হিসাবে পাঁচ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ রোগী দেখার কথা। অথচ একজন চিকিৎসককে এখন দেখতে হচ্ছে পাঁচ গুণের বেশি।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। তাঁদের মধ্যে এমবিবিএস প্রায় ৯৭ হাজার এবং বিডিএস (ডেন্টাল) ১৩ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এই মুহূর্তে সরকারি ৩৪ হাজার ৭৪৯ পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন ২৬ হাজার ৬৩১ জন। খালি ৮ হাজার ১১৮ পদ। ৪২তম বিসিএসে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ফল প্রকাশ হলেও ঝুলে আছে পদায়ন (পোস্টিং)। কবে নাগাদ পদায়ন হবে, তা-ও জানা নেই কারও।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফ কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত নার্স আছেন। তবে সরকারি পদ আছে ৩৬ হাজার ৭২১টি। এর মধ্যে খালি ৪ হাজার ৪৭৫টি। অন্যদিকে নিবন্ধিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে ৫০ হাজার। তবে সরকারি হাসপাতালে পদ আছে মাত্র ৫ হাজার ৯১৯টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮০ পদে লোকবল আছে, এখনো খালি ২ হাজার ৫৩৯টি।
ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকের মতে, আমাদের স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। সেটি নেই বলে দেশে বেকার চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সরকারি বহু পদ খালি। এ জন্য সরকারকে নিয়মিত নিয়োগ দিতে হবে।

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
চিকিৎসা না পেয়ে এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন (৫৪)। তাঁর মতো এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী আসেন। চিকিৎসকের ৯টি পদ থাকলেও আছেন মাত্র দুজন। আর ২৬ নার্সের মধ্যে আছেন ২০ জন। চিকিৎসক সংকটের কারণে বেশির ভাগ রোগী দেখেন নার্সেরা। একই চিত্র জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে কীভাবে এত মানুষের সেবা দেব। তাই নার্সদের সহযোগিতা নিতে হয়।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালের। ফলে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি সংকট টেকনোলজিস্টেরও। করোনায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনামতে, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনজন নার্স ও পাঁচজন টেকনিশিয়ান থাকা উচিত। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক ধরলেও ৪৮ হাজারের বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। দরকার দেড় লাখ নার্স ও আড়াই লাখ টেকনিশিয়ান। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সব ক্ষেত্রেই লোকবল অনেক কম। পদ না বাড়ানো, নিয়মিত নিয়োগ না হওয়াই এর অন্যতম কারণ।
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনুবিভাগ দেখভাল করে। সে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান দায় চাপাচ্ছেন প্রশাসন অনুবিভাগের ওপর। তিনি বলেন, তাঁরা নন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ দেখে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় বারবার নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। সেগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক, কান ও গলার বহির্বিভাগে দেখা যায়, চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে শত শত রোগী। প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার শ রোগী আসেন। কিন্তু চিকিৎসক আছেন মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে অসুস্থতা ও বিশেষ ছুটি মিলিয়ে নিয়মিত সেবা দেন তিন চিকিৎসক। ফলে দিনে গড়ে একজনকে ১০০-১৫০ রোগী দেখতে হয়।
নাক-কান-গলা ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটে আছেন ৩২ নার্স। কিন্তু ছুটিসহ নানা কারণে প্রতিদিন তিন শিফটে ২০-২২ জন দায়িত্ব পালন করেন। সকালের শিফটে ১২ জন দায়িত্বে থাকলেও বিকেলে তিনজন এবং রাতে দেড় শ রোগীর সেবায় থাকেন মাত্র দুজন নার্স।
রোগীদের অভিযোগ, দিনে একবার ডাক্তার এলেও কাগজপত্র দেখে চলে যান। নার্সদের ভাষ্য, তাঁদের সেবা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও জনবল সংকটে সেটি হচ্ছে না।
বহির্বিভাগের চিকিৎসক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা নিয়ে নিজেরাই সন্তুষ্ট নই। চিকিৎসক বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালও বাড়ানো জরুরি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন চিকিৎসককে রোগীপ্রতি ন্যূনতম ১০ মিনিট করে সময় দিতে হয়। সে হিসাবে পাঁচ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ রোগী দেখার কথা। অথচ একজন চিকিৎসককে এখন দেখতে হচ্ছে পাঁচ গুণের বেশি।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। তাঁদের মধ্যে এমবিবিএস প্রায় ৯৭ হাজার এবং বিডিএস (ডেন্টাল) ১৩ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এই মুহূর্তে সরকারি ৩৪ হাজার ৭৪৯ পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন ২৬ হাজার ৬৩১ জন। খালি ৮ হাজার ১১৮ পদ। ৪২তম বিসিএসে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ফল প্রকাশ হলেও ঝুলে আছে পদায়ন (পোস্টিং)। কবে নাগাদ পদায়ন হবে, তা-ও জানা নেই কারও।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফ কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত নার্স আছেন। তবে সরকারি পদ আছে ৩৬ হাজার ৭২১টি। এর মধ্যে খালি ৪ হাজার ৪৭৫টি। অন্যদিকে নিবন্ধিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে ৫০ হাজার। তবে সরকারি হাসপাতালে পদ আছে মাত্র ৫ হাজার ৯১৯টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮০ পদে লোকবল আছে, এখনো খালি ২ হাজার ৫৩৯টি।
ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকের মতে, আমাদের স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। সেটি নেই বলে দেশে বেকার চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সরকারি বহু পদ খালি। এ জন্য সরকারকে নিয়মিত নিয়োগ দিতে হবে।
আজাদুল আদনান, ঢাকা

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
চিকিৎসা না পেয়ে এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন (৫৪)। তাঁর মতো এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী আসেন। চিকিৎসকের ৯টি পদ থাকলেও আছেন মাত্র দুজন। আর ২৬ নার্সের মধ্যে আছেন ২০ জন। চিকিৎসক সংকটের কারণে বেশির ভাগ রোগী দেখেন নার্সেরা। একই চিত্র জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে কীভাবে এত মানুষের সেবা দেব। তাই নার্সদের সহযোগিতা নিতে হয়।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালের। ফলে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি সংকট টেকনোলজিস্টেরও। করোনায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনামতে, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনজন নার্স ও পাঁচজন টেকনিশিয়ান থাকা উচিত। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক ধরলেও ৪৮ হাজারের বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। দরকার দেড় লাখ নার্স ও আড়াই লাখ টেকনিশিয়ান। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সব ক্ষেত্রেই লোকবল অনেক কম। পদ না বাড়ানো, নিয়মিত নিয়োগ না হওয়াই এর অন্যতম কারণ।
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনুবিভাগ দেখভাল করে। সে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান দায় চাপাচ্ছেন প্রশাসন অনুবিভাগের ওপর। তিনি বলেন, তাঁরা নন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ দেখে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় বারবার নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। সেগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক, কান ও গলার বহির্বিভাগে দেখা যায়, চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে শত শত রোগী। প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার শ রোগী আসেন। কিন্তু চিকিৎসক আছেন মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে অসুস্থতা ও বিশেষ ছুটি মিলিয়ে নিয়মিত সেবা দেন তিন চিকিৎসক। ফলে দিনে গড়ে একজনকে ১০০-১৫০ রোগী দেখতে হয়।
নাক-কান-গলা ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটে আছেন ৩২ নার্স। কিন্তু ছুটিসহ নানা কারণে প্রতিদিন তিন শিফটে ২০-২২ জন দায়িত্ব পালন করেন। সকালের শিফটে ১২ জন দায়িত্বে থাকলেও বিকেলে তিনজন এবং রাতে দেড় শ রোগীর সেবায় থাকেন মাত্র দুজন নার্স।
রোগীদের অভিযোগ, দিনে একবার ডাক্তার এলেও কাগজপত্র দেখে চলে যান। নার্সদের ভাষ্য, তাঁদের সেবা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও জনবল সংকটে সেটি হচ্ছে না।
বহির্বিভাগের চিকিৎসক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা নিয়ে নিজেরাই সন্তুষ্ট নই। চিকিৎসক বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালও বাড়ানো জরুরি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন চিকিৎসককে রোগীপ্রতি ন্যূনতম ১০ মিনিট করে সময় দিতে হয়। সে হিসাবে পাঁচ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ রোগী দেখার কথা। অথচ একজন চিকিৎসককে এখন দেখতে হচ্ছে পাঁচ গুণের বেশি।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। তাঁদের মধ্যে এমবিবিএস প্রায় ৯৭ হাজার এবং বিডিএস (ডেন্টাল) ১৩ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এই মুহূর্তে সরকারি ৩৪ হাজার ৭৪৯ পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন ২৬ হাজার ৬৩১ জন। খালি ৮ হাজার ১১৮ পদ। ৪২তম বিসিএসে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ফল প্রকাশ হলেও ঝুলে আছে পদায়ন (পোস্টিং)। কবে নাগাদ পদায়ন হবে, তা-ও জানা নেই কারও।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফ কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত নার্স আছেন। তবে সরকারি পদ আছে ৩৬ হাজার ৭২১টি। এর মধ্যে খালি ৪ হাজার ৪৭৫টি। অন্যদিকে নিবন্ধিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে ৫০ হাজার। তবে সরকারি হাসপাতালে পদ আছে মাত্র ৫ হাজার ৯১৯টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮০ পদে লোকবল আছে, এখনো খালি ২ হাজার ৫৩৯টি।
ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকের মতে, আমাদের স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। সেটি নেই বলে দেশে বেকার চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সরকারি বহু পদ খালি। এ জন্য সরকারকে নিয়মিত নিয়োগ দিতে হবে।

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
চিকিৎসা না পেয়ে এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন (৫৪)। তাঁর মতো এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী আসেন। চিকিৎসকের ৯টি পদ থাকলেও আছেন মাত্র দুজন। আর ২৬ নার্সের মধ্যে আছেন ২০ জন। চিকিৎসক সংকটের কারণে বেশির ভাগ রোগী দেখেন নার্সেরা। একই চিত্র জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে কীভাবে এত মানুষের সেবা দেব। তাই নার্সদের সহযোগিতা নিতে হয়।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালের। ফলে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি সংকট টেকনোলজিস্টেরও। করোনায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনামতে, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনজন নার্স ও পাঁচজন টেকনিশিয়ান থাকা উচিত। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক ধরলেও ৪৮ হাজারের বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। দরকার দেড় লাখ নার্স ও আড়াই লাখ টেকনিশিয়ান। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সব ক্ষেত্রেই লোকবল অনেক কম। পদ না বাড়ানো, নিয়মিত নিয়োগ না হওয়াই এর অন্যতম কারণ।
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনুবিভাগ দেখভাল করে। সে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) নাজমুল হক খান দায় চাপাচ্ছেন প্রশাসন অনুবিভাগের ওপর। তিনি বলেন, তাঁরা নন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ দেখে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় বারবার নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। সেগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক, কান ও গলার বহির্বিভাগে দেখা যায়, চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে শত শত রোগী। প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার শ রোগী আসেন। কিন্তু চিকিৎসক আছেন মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে অসুস্থতা ও বিশেষ ছুটি মিলিয়ে নিয়মিত সেবা দেন তিন চিকিৎসক। ফলে দিনে গড়ে একজনকে ১০০-১৫০ রোগী দেখতে হয়।
নাক-কান-গলা ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটে আছেন ৩২ নার্স। কিন্তু ছুটিসহ নানা কারণে প্রতিদিন তিন শিফটে ২০-২২ জন দায়িত্ব পালন করেন। সকালের শিফটে ১২ জন দায়িত্বে থাকলেও বিকেলে তিনজন এবং রাতে দেড় শ রোগীর সেবায় থাকেন মাত্র দুজন নার্স।
রোগীদের অভিযোগ, দিনে একবার ডাক্তার এলেও কাগজপত্র দেখে চলে যান। নার্সদের ভাষ্য, তাঁদের সেবা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও জনবল সংকটে সেটি হচ্ছে না।
বহির্বিভাগের চিকিৎসক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা নিয়ে নিজেরাই সন্তুষ্ট নই। চিকিৎসক বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালও বাড়ানো জরুরি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন চিকিৎসককে রোগীপ্রতি ন্যূনতম ১০ মিনিট করে সময় দিতে হয়। সে হিসাবে পাঁচ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ রোগী দেখার কথা। অথচ একজন চিকিৎসককে এখন দেখতে হচ্ছে পাঁচ গুণের বেশি।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। তাঁদের মধ্যে এমবিবিএস প্রায় ৯৭ হাজার এবং বিডিএস (ডেন্টাল) ১৩ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এই মুহূর্তে সরকারি ৩৪ হাজার ৭৪৯ পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন ২৬ হাজার ৬৩১ জন। খালি ৮ হাজার ১১৮ পদ। ৪২তম বিসিএসে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ফল প্রকাশ হলেও ঝুলে আছে পদায়ন (পোস্টিং)। কবে নাগাদ পদায়ন হবে, তা-ও জানা নেই কারও।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফ কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত নার্স আছেন। তবে সরকারি পদ আছে ৩৬ হাজার ৭২১টি। এর মধ্যে খালি ৪ হাজার ৪৭৫টি। অন্যদিকে নিবন্ধিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে ৫০ হাজার। তবে সরকারি হাসপাতালে পদ আছে মাত্র ৫ হাজার ৯১৯টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮০ পদে লোকবল আছে, এখনো খালি ২ হাজার ৫৩৯টি।
ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকের মতে, আমাদের স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। সেটি নেই বলে দেশে বেকার চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সরকারি বহু পদ খালি। এ জন্য সরকারকে নিয়মিত নিয়োগ দিতে হবে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০২ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৭০, ৪০, ৪৮, ৫০, ৭৫, ৪৫, ৫০, ৮০ ও ৬০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০২ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৭০, ৪০, ৪৮, ৫০, ৭৫, ৪৫, ৫০, ৮০ ও ৬০ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
১২ অক্টোবর ২০২১
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
১২ অক্টোবর ২০২১
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
১২ অক্টোবর ২০২১
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

‘পায়ে পচন (ঘা) ধরছে। হাসপাতালত গেইলে ডাক্তার নাই, ওষুধও নাই। টেকার অভাবে বাইরত ডাক্তার দ্যাকপার পাই না। এলা এই ওইদদ (রোদ) আসিয়া দেহং হাসপাতালত ডাক্তার নাই। একটা/দুইটা ডাক্তার উগি (রোগী) দেখে, ভিড়ও অনেক। ডাক্তার বেশি হইলে চর এলাকার মাইনষের উপকার হবো।’
১২ অক্টোবর ২০২১
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ দিন আগে