আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাজধানী ঢাকার ৫১ শতাংশ বহুতল বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যা গত দুই বছরের চেয়ে বেশি। ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার বর্ষার জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। তবে এবার বর্ষার এই জরিপ হয়েছে গত নভেম্বরে অর্থাৎ হেমন্তকালে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার এডিস মশা নিয়ে এই বর্ষা জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এই জরিপ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআর জানায়, গত ৪ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার তিন হাজার ১৩৪টি বাড়িতে জরিপ করা হয়। এতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে ৫৪৬টি বাড়িতে। এর মধ্যে ২৮০টি বহুতল ভবন বা ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নির্মাণাধীন ৯৮টি বা ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভবনে, ৯৪টি বা ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ একতলা বাড়িতে, ৫২টি বা ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ আধা-পাকা বাড়িতে, ২২টি খালি প্লট বা ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
আইইডিসিআর–এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরসহ তিন বছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে রাজধানীর বহুতল ভবনে এডিসের লার্ভা বাড়ছে। ২০২২ সালের জরিপে ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পাওয়া গেছে ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বহুতল ভবনে। চলতি বছর পাওয়া গেল ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ বহুতল ভবনে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আগাম ধারণা পেতে প্রতি বছর তিনবার–বর্ষার আগে, বর্ষার সময় ও বর্ষার পরে এডিস মশার জরিপ করা হয়। আগে এই জরিপ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা করলেও এবার করেছে আইইডিসিআর।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জরিপে লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ব্রুটো ইনডেক্সে (১০০টি স্থাপনার মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেলে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটির কনটেইনারে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটিতে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ কনটেইনারে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
জরিপে দেখা গেছে, প্লাস্টিকের ড্রাম, সারাক্ষণ ভেজা থাকে এমন মেঝে, প্লাস্টিকের বালতি, পানির ট্যাংক, পানির মিটারের গর্ত, ফুলের টব, লিফটের গর্ত, প্লাস্টিকের মগ পট বা বদনা, বাতিল হওয়া খাবারের প্যাকেট, ব্যবহৃত গাড়ির টায়ারে এডিস মশার লার্ভা বেশি থাকে।
জরিপে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনে, নির্মাণাধীন ভবনে যাতে এডিসের লার্ভা কম পাওয়া যায়, সে জন্য রিহাব, ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সহায়তা নিতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, তরুণ সমাজ এবং স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আক্তার হোসেন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার বাইরে নাগরিক হিসেবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
রাজধানী ঢাকার ৫১ শতাংশ বহুতল বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যা গত দুই বছরের চেয়ে বেশি। ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার বর্ষার জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। তবে এবার বর্ষার এই জরিপ হয়েছে গত নভেম্বরে অর্থাৎ হেমন্তকালে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার এডিস মশা নিয়ে এই বর্ষা জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এই জরিপ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআর জানায়, গত ৪ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার তিন হাজার ১৩৪টি বাড়িতে জরিপ করা হয়। এতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে ৫৪৬টি বাড়িতে। এর মধ্যে ২৮০টি বহুতল ভবন বা ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নির্মাণাধীন ৯৮টি বা ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভবনে, ৯৪টি বা ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ একতলা বাড়িতে, ৫২টি বা ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ আধা-পাকা বাড়িতে, ২২টি খালি প্লট বা ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
আইইডিসিআর–এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরসহ তিন বছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে রাজধানীর বহুতল ভবনে এডিসের লার্ভা বাড়ছে। ২০২২ সালের জরিপে ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পাওয়া গেছে ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বহুতল ভবনে। চলতি বছর পাওয়া গেল ৫১ দশমিক ২৮ শতাংশ বহুতল ভবনে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আগাম ধারণা পেতে প্রতি বছর তিনবার–বর্ষার আগে, বর্ষার সময় ও বর্ষার পরে এডিস মশার জরিপ করা হয়। আগে এই জরিপ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা করলেও এবার করেছে আইইডিসিআর।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জরিপে লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ব্রুটো ইনডেক্সে (১০০টি স্থাপনার মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেলে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটির কনটেইনারে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটিতে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ কনটেইনারে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
জরিপে দেখা গেছে, প্লাস্টিকের ড্রাম, সারাক্ষণ ভেজা থাকে এমন মেঝে, প্লাস্টিকের বালতি, পানির ট্যাংক, পানির মিটারের গর্ত, ফুলের টব, লিফটের গর্ত, প্লাস্টিকের মগ পট বা বদনা, বাতিল হওয়া খাবারের প্যাকেট, ব্যবহৃত গাড়ির টায়ারে এডিস মশার লার্ভা বেশি থাকে।
জরিপে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনে, নির্মাণাধীন ভবনে যাতে এডিসের লার্ভা কম পাওয়া যায়, সে জন্য রিহাব, ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সহায়তা নিতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, তরুণ সমাজ এবং স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আক্তার হোসেন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার বাইরে নাগরিক হিসেবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে শুরুতেই কম বরাদ্দ এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিদ্যমান সাড়ে ১৪ হাজারের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিকের অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্যবহার-অনুপযোগী এ বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের..
১ দিন আগেতীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা যত বাড়ছে, আমেরিকানেরা তত বেশি এসব মিষ্টি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন—এমনটাই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক হতে পারে।
১ দিন আগেএখন জ্বরের মৌসুম চলছে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ এবং মারা গেছে ১১৮ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, একটি এডিস
৪ দিন আগেহৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা ধমনি বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল; বিশেষ করে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনি শক্ত করে। অন্যদিকে হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কিংবা ভালো কোলেস্টেরল শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
৪ দিন আগে