ডা. মুনতাসীর মারুফ
মজা করে খাওয়ার সময় হেঁচকি উঠলে কী যে বিষম অস্বস্তিতে পড়তে হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। অস্বস্তিকর সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। তাতে কখনো হেঁচকি দূর হয়, কখনো হয় না।
কেন হয় হেঁচকি
দেহের ভেতরে বুক ও পেটের মাঝখানে ডায়াফ্রাম নামের একটি মাংসল পর্দা রয়েছে। ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর ওপরের দিকে থাকা দুই ফুসফুসও নির্দিষ্ট ছন্দে সংকুচিত-প্রসারিত হয় বলে স্বাভাবিক শ্বাসের জন্য ডায়াফ্রামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে ডায়াফ্রামের নির্দিষ্ট ছন্দে বাধা পড়লে এটি দ্রুত সংকুচিত হয়। ফলে গলার ভোকাল কর্ড দ্রুত বন্ধ হয়ে হেঁচকি ওঠে। বেশি খাওয়া, দ্রুত খাওয়া, গরম বা অতিরিক্ত ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার, গরম খাবারের সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান, রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমে যাওয়া প্রভৃতি কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। দীর্ঘক্ষণ হাসি বা কান্নাও কিছু ক্ষেত্রে হেঁচকির জন্য দায়ী। কোনো কারণে ঘাবড়ে গেলে বা উদ্বিগ্ন হলেও হেঁচকি উঠতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য হেঁচকির নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
হেঁচকি দূর করার প্রচলিত পদ্ধতি
অধিকাংশ ক্ষেত্রে হেঁচকির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াই তা আপনাআপনি কমে বা বন্ধ হয়ে যায়। তবে নানা অঞ্চলে হেঁচকির সমস্যা কমানোর নানা টোটকা বা ঘরোয়া পদ্ধতি প্রচলিত আছে। অনেকের মতে, কয়েক ঢোক পানি পান করলেই হেঁচকি সেরে যায়। কোথাও বা হেঁচকি হলে এক চামচ চিনি বা মাখন খাইয়ে দেওয়া হয়। গরম পানিতে এক চামচ মধু, আদা কুচি করে মুখে রাখা, গরম পানিতে এলাচ মিশিয়ে পান করা ইত্যাদি পদ্ধতিও প্রচলিত কোথাও কোথাও।
যাদের হেঁচকি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতেই থাকে, তাঁদের জন্য কারও উপদেশ, একটি ছিদ্রবিহীন কাগজের ছোট ঠোঙা বা ব্যাগে নাক-মুখ ঢুকিয়ে তার ভেতর স্বাভাবিক গতিতে শ্বাস ছাড়তে ও নিতে থাকুন। এক-দুই মিনিট পর সেটি সরিয়ে স্বাভাবিক বাতাসে কয়েকবার শ্বাস নিয়ে আবার ব্যাগের ভেতর শ্বাস নিন। এভাবে পাঁচ-ছয়বার করলে হেঁচকি থেমে যেতে পারে। আবার ব্যাগ ছাড়াই লম্বা শ্বাস বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাখার পরে ধীরে ধীরে ছেড়েও অনেকে উপকার পান। বিছানায় বসে লম্বা শ্বাস নিয়ে দুই হাঁটু মুড়ে বুকের কাছে এনে পেটের তলদেশে চাপ দিয়ে হেঁচকি বন্ধ করার পদ্ধতির কথাও শোনা যায়। উদ্বেগের কারণে ওঠা হেঁচকি থামাতে মনোযোগ অন্য কিছুতে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, এসব পদ্ধতি কতটা বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। হেঁচকির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেই হবে। কিছু ক্ষেত্রে পাকস্থলী ও খাদ্যনালির কিছু রোগে হেঁচকি সমস্যা হতে পারে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
মজা করে খাওয়ার সময় হেঁচকি উঠলে কী যে বিষম অস্বস্তিতে পড়তে হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। অস্বস্তিকর সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। তাতে কখনো হেঁচকি দূর হয়, কখনো হয় না।
কেন হয় হেঁচকি
দেহের ভেতরে বুক ও পেটের মাঝখানে ডায়াফ্রাম নামের একটি মাংসল পর্দা রয়েছে। ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর ওপরের দিকে থাকা দুই ফুসফুসও নির্দিষ্ট ছন্দে সংকুচিত-প্রসারিত হয় বলে স্বাভাবিক শ্বাসের জন্য ডায়াফ্রামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে ডায়াফ্রামের নির্দিষ্ট ছন্দে বাধা পড়লে এটি দ্রুত সংকুচিত হয়। ফলে গলার ভোকাল কর্ড দ্রুত বন্ধ হয়ে হেঁচকি ওঠে। বেশি খাওয়া, দ্রুত খাওয়া, গরম বা অতিরিক্ত ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার, গরম খাবারের সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান, রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমে যাওয়া প্রভৃতি কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। দীর্ঘক্ষণ হাসি বা কান্নাও কিছু ক্ষেত্রে হেঁচকির জন্য দায়ী। কোনো কারণে ঘাবড়ে গেলে বা উদ্বিগ্ন হলেও হেঁচকি উঠতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য হেঁচকির নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
হেঁচকি দূর করার প্রচলিত পদ্ধতি
অধিকাংশ ক্ষেত্রে হেঁচকির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াই তা আপনাআপনি কমে বা বন্ধ হয়ে যায়। তবে নানা অঞ্চলে হেঁচকির সমস্যা কমানোর নানা টোটকা বা ঘরোয়া পদ্ধতি প্রচলিত আছে। অনেকের মতে, কয়েক ঢোক পানি পান করলেই হেঁচকি সেরে যায়। কোথাও বা হেঁচকি হলে এক চামচ চিনি বা মাখন খাইয়ে দেওয়া হয়। গরম পানিতে এক চামচ মধু, আদা কুচি করে মুখে রাখা, গরম পানিতে এলাচ মিশিয়ে পান করা ইত্যাদি পদ্ধতিও প্রচলিত কোথাও কোথাও।
যাদের হেঁচকি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতেই থাকে, তাঁদের জন্য কারও উপদেশ, একটি ছিদ্রবিহীন কাগজের ছোট ঠোঙা বা ব্যাগে নাক-মুখ ঢুকিয়ে তার ভেতর স্বাভাবিক গতিতে শ্বাস ছাড়তে ও নিতে থাকুন। এক-দুই মিনিট পর সেটি সরিয়ে স্বাভাবিক বাতাসে কয়েকবার শ্বাস নিয়ে আবার ব্যাগের ভেতর শ্বাস নিন। এভাবে পাঁচ-ছয়বার করলে হেঁচকি থেমে যেতে পারে। আবার ব্যাগ ছাড়াই লম্বা শ্বাস বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাখার পরে ধীরে ধীরে ছেড়েও অনেকে উপকার পান। বিছানায় বসে লম্বা শ্বাস নিয়ে দুই হাঁটু মুড়ে বুকের কাছে এনে পেটের তলদেশে চাপ দিয়ে হেঁচকি বন্ধ করার পদ্ধতির কথাও শোনা যায়। উদ্বেগের কারণে ওঠা হেঁচকি থামাতে মনোযোগ অন্য কিছুতে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, এসব পদ্ধতি কতটা বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। হেঁচকির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেই হবে। কিছু ক্ষেত্রে পাকস্থলী ও খাদ্যনালির কিছু রোগে হেঁচকি সমস্যা হতে পারে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ রোববার (৩ আগস্ট) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ বরিশাল বিভা
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ জনে। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৭২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেএডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০৯ জন রোগী।
২ দিন আগেযেকোনো অপারেশনের আগে রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ভয় বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। এই ভয় অমূলকও নয়। কারণ, অপারেশন মানেই কাটাছেঁড়া, অজ্ঞান থেকে জ্ঞান ফিরবে কি না, সে চিন্তা মাথায় কাজ করে। তা ছাড়া অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়ে জানাশোনা ও সতর্কতার স্পষ্ট ধারণা থাকে না বেশির ভাগ মানুষের।
২ দিন আগে