আলমগীর আলম
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
মৌসুম বদলের সঙ্গে জীবনযাত্রায়ও কিছু বদল আনতে হবে। তাহলে উপভোগ্য হয়ে উঠবে শীত। কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চললে সেটা করা সম্ভব। এগুলোর মধ্যে আছে কুসুম গরম পানি পান করা। পুরো মৌসুম সুস্থ থাকতে পারবেন শুধু কুসুম গরম পানি পান করে।
শীতকালে সাধারণ শারীরিক সমস্যা
ঠান্ডা, কাশি, জ্বর: শীতকালে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এসব সমস্যা হয়।
গলাব্যথা: শুষ্ক বাতাসের কারণে গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণে এ সমস্যা হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে। এ ছাড়া একজিমা কিংবা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা খারাপ হতে পারে।
হাঁপানি: শীতকালে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
হাইপোথার্মিয়া: অতিরিক্ত ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে গিয়ে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে।
রেনোডস ডিজিজ: তীব্র শীতে অনেকের রেনোডস ডিজিজ হতে পারে। এ রোগে হাতের আঙুল নীল হয়ে যায়। কুসুম গরম পানি পান করা এই শীতে ভালো থাকার একটি সহজ ও কার্যকরী উপায়।
কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা
দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: শীতকালে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে কুসুম গরম পানি সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: শীতে হজমশক্তি কমতে থাকে। ফলে কুসুম গরম পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এটি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা কিংবা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত পদার্থ বের করে: কুসুম গরম পানি
পান করলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। এটি কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রক্ত পরিষ্কার করে: কুসুম গরম পানি রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।
এটি ত্বকের জন্যও উপকারী। এ পানি ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
ওজন কমানোতে সাহায্য করে: কুসুম গরম পানি পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে এবং ক্যালরি ব্যয় হয়। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: শীতে দাঁতের সমস্যা বাড়ে। কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে: শীতে মাথাব্যথা বাড়ে এবং নাক বন্ধ হয়ে যায়। মাথাব্যথা হলে কুসুম গরম পানি পানে উপকার পাবেন।
গলাব্যথা কমায়: শীতে অনেকের গলাব্যথা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এ সময় কুসুম গরম পানি পান করা এবং গরম পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা থাকে না। গার্গল করার সময় যেন মুখ দিয়ে ঘন লালা বের হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গলা থেকে যত লালা বের করা যাবে, তত দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কীভাবে কুসুম গরম পানি পান করবেন
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। খাবার খাওয়ার আগে বা পরে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে হজম ভালো হয়। শারীরিক পরিশ্রমের পর কুসুম গরম পানি পান করলে শক্তি পাওয়া যায়। সারা দিনে প্রতি আধা ঘণ্টা পর এ পানি পান করলে শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। শীত
তখন বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠবে।দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এই পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। সেই সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
যেমন কমলালেবু, লেবু,আমলকী, পেয়ারা ইত্যাদি। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত হাত ধুতে হবে।এতে শীতকাল মজার ও উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
মৌসুম বদলের সঙ্গে জীবনযাত্রায়ও কিছু বদল আনতে হবে। তাহলে উপভোগ্য হয়ে উঠবে শীত। কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চললে সেটা করা সম্ভব। এগুলোর মধ্যে আছে কুসুম গরম পানি পান করা। পুরো মৌসুম সুস্থ থাকতে পারবেন শুধু কুসুম গরম পানি পান করে।
শীতকালে সাধারণ শারীরিক সমস্যা
ঠান্ডা, কাশি, জ্বর: শীতকালে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এসব সমস্যা হয়।
গলাব্যথা: শুষ্ক বাতাসের কারণে গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণে এ সমস্যা হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে। এ ছাড়া একজিমা কিংবা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা খারাপ হতে পারে।
হাঁপানি: শীতকালে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
হাইপোথার্মিয়া: অতিরিক্ত ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে গিয়ে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে।
রেনোডস ডিজিজ: তীব্র শীতে অনেকের রেনোডস ডিজিজ হতে পারে। এ রোগে হাতের আঙুল নীল হয়ে যায়। কুসুম গরম পানি পান করা এই শীতে ভালো থাকার একটি সহজ ও কার্যকরী উপায়।
কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা
দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: শীতকালে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে কুসুম গরম পানি সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: শীতে হজমশক্তি কমতে থাকে। ফলে কুসুম গরম পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এটি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা কিংবা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
বিষাক্ত পদার্থ বের করে: কুসুম গরম পানি
পান করলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। এটি কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রক্ত পরিষ্কার করে: কুসুম গরম পানি রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।
এটি ত্বকের জন্যও উপকারী। এ পানি ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
ওজন কমানোতে সাহায্য করে: কুসুম গরম পানি পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে এবং ক্যালরি ব্যয় হয়। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: শীতে দাঁতের সমস্যা বাড়ে। কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে: শীতে মাথাব্যথা বাড়ে এবং নাক বন্ধ হয়ে যায়। মাথাব্যথা হলে কুসুম গরম পানি পানে উপকার পাবেন।
গলাব্যথা কমায়: শীতে অনেকের গলাব্যথা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এ সময় কুসুম গরম পানি পান করা এবং গরম পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা থাকে না। গার্গল করার সময় যেন মুখ দিয়ে ঘন লালা বের হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গলা থেকে যত লালা বের করা যাবে, তত দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কীভাবে কুসুম গরম পানি পান করবেন
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। খাবার খাওয়ার আগে বা পরে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে হজম ভালো হয়। শারীরিক পরিশ্রমের পর কুসুম গরম পানি পান করলে শক্তি পাওয়া যায়। সারা দিনে প্রতি আধা ঘণ্টা পর এ পানি পান করলে শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। শীত
তখন বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠবে।দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এই পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। সেই সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
যেমন কমলালেবু, লেবু,আমলকী, পেয়ারা ইত্যাদি। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত হাত ধুতে হবে।এতে শীতকাল মজার ও উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৪ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
৪ দিন আগে