গরমকাল শুরু হলেই মশার উৎপাত বেড়ে যায়। মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের জীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এসব রোগ না হলেও মশার কামড়ে ত্বক চুলকায়।
মশা মানুষের রক্ত চুষে নেয়, ফলে ত্বক ফুলে ওঠে ও লাল দাগ দেখা যায়। প্রাণঘাতী রোগের জীবাণু দেহে প্রবেশ করানো ছাড়া মশার কামড়ে ত্বকে কোনো দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয় না। তবে অল্প সময়ের জন্য ত্বকে হালকা জ্বালা ও চুলকানি হয়। আর এই চুলকানির জন্য দায়ী হলো মশার লালা।
মানুষের শরীর থেকে দ্রুত রক্ত বের করার জন্য মশা লালা ব্যবহার করে। একটি মশার মুখের অংশ একাধিক নালি দিয়ে গঠিত। মশা রক্ত ঝরাতে একটি নালি ব্যবহার করে। আরেকটি নালি রক্তনালিতে লালা প্রবেশ করতে ব্যবহার করে। লালা একটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত সহজে প্রবাহিত হয় ও মশারা দ্রুত রক্ত শোষণ করতে পারে।
মশার লালার কিছু প্রোটিনে মানুষের অ্যালার্জি হয়। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এসব প্রোটিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল। লালার প্রতিক্রিয়ায় মানুষের শরীর থেকে হিস্টামিন নিঃসরিত হয়। আঘাতের স্থানে শ্বেত রক্তকণিকা, রক্তের প্লাজমা প্রোটিন এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার টুলগুলো আগমনের সুবিধার্থে রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করতে এই জৈবিক উপাদানটি কাজ করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিস্টামিন ত্বকে চুলকানি ও প্রদাহ সৃষ্টি করে।
মশার লালা ক্ষতিকর না হলেও মশার কামড়ে প্রাণঘাতী রোগ হতে পারে।
কীটতত্ত্ববিদদের তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১০০ প্রজাতি রোগ ছড়ায়। মশার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০ টির মতো রোগ ছড়ায়। সেগুলোর মধ্যে কিছু রোগ প্রাণঘাতী। বাংলাদেশে ১২৩ প্রজাতির মশার খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকাতেই ১৪টি প্রজাতির মশার বিচরণ রয়েছে। বাংলাদেশে এ যাবৎ মশাবাহিত পাঁচটি রোগের বিস্তার ঘটেছে—ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জাপানিজ এনসেফালাইটিস। তাই মশা থেকে বাঁচার জন্য নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলতে পারেন—
১. ঘরে মশার প্রবেশ ঠেকাতে জানালাতে নেটের পর্দা ব্যবহার করুন।
২. হাত–পা ঢেকে রাখবে রাতে এমন পোশাক পরুন।
৩. মশকনাশক স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করুন।
৪. ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে নিন।
৫. ঘরের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৬. কোনো খালি পাত্রে যেন পানি জমে না থাকে খেয়াল রাখুন। কারণ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ানো মশা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে।
তথ্যসূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, ব্রিটানিকা
গরমকাল শুরু হলেই মশার উৎপাত বেড়ে যায়। মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের জীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এসব রোগ না হলেও মশার কামড়ে ত্বক চুলকায়।
মশা মানুষের রক্ত চুষে নেয়, ফলে ত্বক ফুলে ওঠে ও লাল দাগ দেখা যায়। প্রাণঘাতী রোগের জীবাণু দেহে প্রবেশ করানো ছাড়া মশার কামড়ে ত্বকে কোনো দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয় না। তবে অল্প সময়ের জন্য ত্বকে হালকা জ্বালা ও চুলকানি হয়। আর এই চুলকানির জন্য দায়ী হলো মশার লালা।
মানুষের শরীর থেকে দ্রুত রক্ত বের করার জন্য মশা লালা ব্যবহার করে। একটি মশার মুখের অংশ একাধিক নালি দিয়ে গঠিত। মশা রক্ত ঝরাতে একটি নালি ব্যবহার করে। আরেকটি নালি রক্তনালিতে লালা প্রবেশ করতে ব্যবহার করে। লালা একটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত সহজে প্রবাহিত হয় ও মশারা দ্রুত রক্ত শোষণ করতে পারে।
মশার লালার কিছু প্রোটিনে মানুষের অ্যালার্জি হয়। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এসব প্রোটিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল। লালার প্রতিক্রিয়ায় মানুষের শরীর থেকে হিস্টামিন নিঃসরিত হয়। আঘাতের স্থানে শ্বেত রক্তকণিকা, রক্তের প্লাজমা প্রোটিন এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার টুলগুলো আগমনের সুবিধার্থে রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করতে এই জৈবিক উপাদানটি কাজ করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিস্টামিন ত্বকে চুলকানি ও প্রদাহ সৃষ্টি করে।
মশার লালা ক্ষতিকর না হলেও মশার কামড়ে প্রাণঘাতী রোগ হতে পারে।
কীটতত্ত্ববিদদের তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১০০ প্রজাতি রোগ ছড়ায়। মশার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০ টির মতো রোগ ছড়ায়। সেগুলোর মধ্যে কিছু রোগ প্রাণঘাতী। বাংলাদেশে ১২৩ প্রজাতির মশার খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকাতেই ১৪টি প্রজাতির মশার বিচরণ রয়েছে। বাংলাদেশে এ যাবৎ মশাবাহিত পাঁচটি রোগের বিস্তার ঘটেছে—ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জাপানিজ এনসেফালাইটিস। তাই মশা থেকে বাঁচার জন্য নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলতে পারেন—
১. ঘরে মশার প্রবেশ ঠেকাতে জানালাতে নেটের পর্দা ব্যবহার করুন।
২. হাত–পা ঢেকে রাখবে রাতে এমন পোশাক পরুন।
৩. মশকনাশক স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করুন।
৪. ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে নিন।
৫. ঘরের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৬. কোনো খালি পাত্রে যেন পানি জমে না থাকে খেয়াল রাখুন। কারণ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ানো মশা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে।
তথ্যসূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, ব্রিটানিকা
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৬ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
৬ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে