আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১৯ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
এই বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নেচার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে। সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্সএলার্ট জানিয়েছে, কানাডা ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল গবেষক এমন এক ‘সর্বজনীন’ কিডনি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা তাত্ত্বিকভাবে যেকোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষণার অংশ হিসেবে এই কিডনি এক ব্রেইন-ডেড রোগীর (যে অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্ক কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কৃত্রিমভাবে চালু রাখা হয়) দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়েই এটি করা হয়েছিল। কিডনিটি কয়েক দিন ধরে কার্যকর অবস্থায় ছিল।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জৈব রসায়নবিদ স্টিফেন উইদার্স বলেন, ‘মানুষের দেহে এই প্রক্রিয়া সফলভাবে কাজ করতে দেখা এটাই প্রথম। এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ফল আরও উন্নত করার বিষয়ে অমূল্য ধারণা দিচ্ছে।’
বর্তমানে রক্তের গ্রুপ টাইপ ‘ও’ যাঁদের, তাঁরা কেবল টাইপ ‘ও’ দাতার কাছ থেকে কিডনি নিতে পারেন। কিন্তু যেহেতু টাইপ ‘ও’ কিডনি অন্য রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরেও কাজ করতে পারে, তাই এ ধরনের কিডনির চাহিদা বেশি, জোগান কম। ফলে অপেক্ষার তালিকার অর্ধেকের বেশি মানুষ টাইপ ‘ও’ কিডনির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
রক্তের ভিন্ন গ্রুপের কিডনি প্রতিস্থাপন এখন সম্ভব হলেও সেটি অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এতে সময় লাগে অনেক, ঝুঁকিও বেশি। পাশাপাশি এতে জীবিত দাতা দরকার হয়। কারণ, গ্রহীতার শরীরকে আগেই প্রস্তুত করতে হয়। গবেষকেরা এবার এমন এক কৌশল ব্যবহার করেছেন, যেখানে বিশেষ এনজাইম দিয়ে টাইপ ‘এ’ কিডনিকে টাইপ ‘ও’ কিডনিতে রূপান্তর করা যায়। এই এনজাইমগুলো টাইপ ‘এ’ রক্তের বিশেষ সুগার মলিকিউল বা চিনির অণু (অ্যান্টিজেন) কেটে সরিয়ে দেয়।
গবেষকেরা এই এনজাইমগুলোর তুলনা করেছেন ‘আণবিক কাঁচি’র সঙ্গে। উইদার্স বলেন, ‘যেভাবে গাড়ির লাল রং ঘষে তুলে নিলে নিচের নিরপেক্ষ প্রাইমার দেখা যায়, ঠিক সেভাবেই এই প্রক্রিয়ায় কিডনির ওপর থেকে রক্তের গ্রুপের চিহ্ন মুছে দেওয়া যায়। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা আর কিডনিটিকে ‘বাইরের অপরিচিত’ অঙ্গ হিসেবে বিচার করে না।’
তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি। জীবিত মানুষের শরীরে এই পরীক্ষা শুরু করার আগে আরও গবেষণা দরকার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তৃতীয় দিনে কিডনিতে আবার টাইপ ‘এ’-ব্লাড গ্রুপের কিডনির কিছু চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করে। ফলে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে প্রতিক্রিয়াটি সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল, বরং শরীর কিডনিটিকে সহ্য করার চেষ্টা করছিল বলেও ইঙ্গিত পেয়েছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন মানুষ কিডনি না পেয়ে মারা যান, আর তাঁদের অধিকাংশই টাইপ ‘ও’ কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। এমনকি শূকরের কিডনি ব্যবহার বা নতুন অ্যান্টিবডি তৈরি করে এই সংকট কমানোর চেষ্টা চলছে।
উইদার্স বলেন, ‘বছরের পর বছর মৌলিক বিজ্ঞানের কাজ শেষ পর্যন্ত যখন রোগীর চিকিৎসায় কাজে লাগে, তখনই বোঝা যায়, আমরা কত দূর এসেছি। আমাদের আবিষ্কার এখন বাস্তবের কাছাকাছি—এটাই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়।’
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
এই বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নেচার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে। সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্সএলার্ট জানিয়েছে, কানাডা ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল গবেষক এমন এক ‘সর্বজনীন’ কিডনি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা তাত্ত্বিকভাবে যেকোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষণার অংশ হিসেবে এই কিডনি এক ব্রেইন-ডেড রোগীর (যে অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্ক কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কৃত্রিমভাবে চালু রাখা হয়) দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়েই এটি করা হয়েছিল। কিডনিটি কয়েক দিন ধরে কার্যকর অবস্থায় ছিল।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জৈব রসায়নবিদ স্টিফেন উইদার্স বলেন, ‘মানুষের দেহে এই প্রক্রিয়া সফলভাবে কাজ করতে দেখা এটাই প্রথম। এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ফল আরও উন্নত করার বিষয়ে অমূল্য ধারণা দিচ্ছে।’
বর্তমানে রক্তের গ্রুপ টাইপ ‘ও’ যাঁদের, তাঁরা কেবল টাইপ ‘ও’ দাতার কাছ থেকে কিডনি নিতে পারেন। কিন্তু যেহেতু টাইপ ‘ও’ কিডনি অন্য রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরেও কাজ করতে পারে, তাই এ ধরনের কিডনির চাহিদা বেশি, জোগান কম। ফলে অপেক্ষার তালিকার অর্ধেকের বেশি মানুষ টাইপ ‘ও’ কিডনির জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
রক্তের ভিন্ন গ্রুপের কিডনি প্রতিস্থাপন এখন সম্ভব হলেও সেটি অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এতে সময় লাগে অনেক, ঝুঁকিও বেশি। পাশাপাশি এতে জীবিত দাতা দরকার হয়। কারণ, গ্রহীতার শরীরকে আগেই প্রস্তুত করতে হয়। গবেষকেরা এবার এমন এক কৌশল ব্যবহার করেছেন, যেখানে বিশেষ এনজাইম দিয়ে টাইপ ‘এ’ কিডনিকে টাইপ ‘ও’ কিডনিতে রূপান্তর করা যায়। এই এনজাইমগুলো টাইপ ‘এ’ রক্তের বিশেষ সুগার মলিকিউল বা চিনির অণু (অ্যান্টিজেন) কেটে সরিয়ে দেয়।
গবেষকেরা এই এনজাইমগুলোর তুলনা করেছেন ‘আণবিক কাঁচি’র সঙ্গে। উইদার্স বলেন, ‘যেভাবে গাড়ির লাল রং ঘষে তুলে নিলে নিচের নিরপেক্ষ প্রাইমার দেখা যায়, ঠিক সেভাবেই এই প্রক্রিয়ায় কিডনির ওপর থেকে রক্তের গ্রুপের চিহ্ন মুছে দেওয়া যায়। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা আর কিডনিটিকে ‘বাইরের অপরিচিত’ অঙ্গ হিসেবে বিচার করে না।’
তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি। জীবিত মানুষের শরীরে এই পরীক্ষা শুরু করার আগে আরও গবেষণা দরকার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তৃতীয় দিনে কিডনিতে আবার টাইপ ‘এ’-ব্লাড গ্রুপের কিডনির কিছু চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করে। ফলে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে প্রতিক্রিয়াটি সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল, বরং শরীর কিডনিটিকে সহ্য করার চেষ্টা করছিল বলেও ইঙ্গিত পেয়েছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন মানুষ কিডনি না পেয়ে মারা যান, আর তাঁদের অধিকাংশই টাইপ ‘ও’ কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। এমনকি শূকরের কিডনি ব্যবহার বা নতুন অ্যান্টিবডি তৈরি করে এই সংকট কমানোর চেষ্টা চলছে।
উইদার্স বলেন, ‘বছরের পর বছর মৌলিক বিজ্ঞানের কাজ শেষ পর্যন্ত যখন রোগীর চিকিৎসায় কাজে লাগে, তখনই বোঝা যায়, আমরা কত দূর এসেছি। আমাদের আবিষ্কার এখন বাস্তবের কাছাকাছি—এটাই আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়।’
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১৯ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৯৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৯, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা, একজন ময়মনসিংহ ও অন্য দুজন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৪০, ৭০ ও ৩২ বছর।
চলতি বছরের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬০ হাজার ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবরে আজ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৪৯ জন ভর্তি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭০২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে ৭াত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৯৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৯, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা, একজন ময়মনসিংহ ও অন্য দুজন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৪০, ৭০ ও ৩২ বছর।
চলতি বছরের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬০ হাজার ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবরে আজ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৪৯ জন ভর্তি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭০২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে ৭াত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গ্রেইলের গ্যালেরি টেস্ট নামে এই পরীক্ষাটি উত্তর আমেরিকায় প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন অনেক ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব যেগুলোর মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশের জন্য এখনো কোনো নিয়মিত স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। যে পর্যায়ে ক্যানসারটি সহজে চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য অবস্থায় থাকে। এই পরীক্ষাটি টিউমার থেকে ভেঙে রক্তে মিশে যাওয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী ডিএনএ-এর অংশ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এই ট্রায়ালে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ১০০ জনে একজনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্যানসার নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরীক্ষাটি সঠিকভাবে ক্যানসার না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পেরেছিল।
স্তন, অন্ত্র ও জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে এই রক্ত পরীক্ষা যুক্ত করা হলে ক্যানসার শনাক্তের হার ৭ গুণ বেড়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের তিন-চতুর্থাংশই ছিল ডিম্বাশয়, যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের জটিল অংশগুলোর ক্যানসার, যেগুলোর জন্য বর্তমানে কোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম নেই।
এই রক্ত পরীক্ষাটি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৯ টির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্যানসারের উৎস সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এই চমকপ্রদ ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে এই রক্ত পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত নন এমন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমাতে পারবে কিনা, তা প্রমাণ করতে আরও শক্ত প্রমাণের প্রয়োজন।
গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য এখনো কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। এর প্রাথমিক ফলাফল বার্লিনে ইউরোপীয় সোসাইটি ফর মেডিকেল অনকোলোজি কংগ্রেসে প্রকাশ করা হবে।
তবে এই পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস-এর ১ লাখ ৪০ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত তিন বছরের একটি বড় ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর, যা আগামী বছর প্রকাশিত হবে। এনএইচএস আগে জানিয়েছিল, যদি ফলাফল সফল হয়, তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিমা নবাবিজাদেহ বলেন, এই নতুন তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পরীক্ষা আমাদের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে বদলে দিতে পারে। কারণ এটি অনেক ধরনের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে, যে পর্যায়ে চিকিৎসা বা সম্পূর্ণ আরোগ্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের ট্রান্সলেশনাল ক্যানসার জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার টার্নবুল সতর্ক করে বলেন, ‘গ্যালেরি টেস্ট দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলেও, এটি ক্যানসারজনিত মৃত্যু কমাতে আদৌ কোনো সুবিধা দেয় কিনা, তা বোঝার জন্য মৃত্যুর হারকে ভিত্তি ধরে র্যান্ডমাইজড স্টাডি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবক গ্রেইল কোম্পানির বায়োফার্মা বিভাগের প্রেসিডেন্ট হারপাল কুমার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ফলাফলগুলো অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক ক্যানসার, বিশেষ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারগুলো আগেই শনাক্ত করতে পারব এবং চিকিৎসা ও আরোগ্যও সম্ভব হতে পারে।
তবে ক্যানসার রিসার্চ ইউকের নাসের তুরাবি বলেন, ‘যে ক্যানসারগুলো হয়তো ক্ষতিকর নয়, সেগুলো যাতে এই বাড়তি শনাক্তকরণে আওতায় না আসে সেটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইউকে ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এই পরীক্ষাগুলো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএসের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গ্রেইলের গ্যালেরি টেস্ট নামে এই পরীক্ষাটি উত্তর আমেরিকায় প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন অনেক ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব যেগুলোর মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশের জন্য এখনো কোনো নিয়মিত স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছে। যে পর্যায়ে ক্যানসারটি সহজে চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য অবস্থায় থাকে। এই পরীক্ষাটি টিউমার থেকে ভেঙে রক্তে মিশে যাওয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী ডিএনএ-এর অংশ শনাক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এই ট্রায়ালে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ১০০ জনে একজনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে ক্যানসার নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল, তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের ক্ষেত্রেই পরীক্ষাটি সঠিকভাবে ক্যানসার না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পেরেছিল।
স্তন, অন্ত্র ও জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে এই রক্ত পরীক্ষা যুক্ত করা হলে ক্যানসার শনাক্তের হার ৭ গুণ বেড়ে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শনাক্ত হওয়া ক্যানসারের তিন-চতুর্থাংশই ছিল ডিম্বাশয়, যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয়ের মতো দেহের জটিল অংশগুলোর ক্যানসার, যেগুলোর জন্য বর্তমানে কোনো স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম নেই।
এই রক্ত পরীক্ষাটি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৯ টির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্যানসারের উৎস সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এই চমকপ্রদ ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে এই রক্ত পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত নন এমন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমাতে পারবে কিনা, তা প্রমাণ করতে আরও শক্ত প্রমাণের প্রয়োজন।
গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য এখনো কোনো স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। এর প্রাথমিক ফলাফল বার্লিনে ইউরোপীয় সোসাইটি ফর মেডিকেল অনকোলোজি কংগ্রেসে প্রকাশ করা হবে।
তবে এই পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস-এর ১ লাখ ৪০ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত তিন বছরের একটি বড় ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর, যা আগামী বছর প্রকাশিত হবে। এনএইচএস আগে জানিয়েছিল, যদি ফলাফল সফল হয়, তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিমা নবাবিজাদেহ বলেন, এই নতুন তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পরীক্ষা আমাদের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে বদলে দিতে পারে। কারণ এটি অনেক ধরনের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে, যে পর্যায়ে চিকিৎসা বা সম্পূর্ণ আরোগ্যের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
তবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের ট্রান্সলেশনাল ক্যানসার জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার টার্নবুল সতর্ক করে বলেন, ‘গ্যালেরি টেস্ট দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলেও, এটি ক্যানসারজনিত মৃত্যু কমাতে আদৌ কোনো সুবিধা দেয় কিনা, তা বোঝার জন্য মৃত্যুর হারকে ভিত্তি ধরে র্যান্ডমাইজড স্টাডি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্ভাবক গ্রেইল কোম্পানির বায়োফার্মা বিভাগের প্রেসিডেন্ট হারপাল কুমার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ফলাফলগুলো অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক ক্যানসার, বিশেষ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারগুলো আগেই শনাক্ত করতে পারব এবং চিকিৎসা ও আরোগ্যও সম্ভব হতে পারে।
তবে ক্যানসার রিসার্চ ইউকের নাসের তুরাবি বলেন, ‘যে ক্যানসারগুলো হয়তো ক্ষতিকর নয়, সেগুলো যাতে এই বাড়তি শনাক্তকরণে আওতায় না আসে সেটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইউকে ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, এই পরীক্ষাগুলো ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএসের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১৯ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
৩ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ। কিন্তু এখন অল্প বয়সী তরুণদের মধ্যেও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদের মধ্যে টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু—উভয় ধরনের ডায়াবেটিসই দেখা যায়। তবে টাইপ টুর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশের প্রায় ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২৫ জনে ১ জন তরুণ-তরুণী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশি জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে শুরুতে কোনো লক্ষণ থাকে না।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
জটিলতা
দীর্ঘ মেয়াদে রক্তে উচ্চমাত্রার সুগার থাকলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিস ফুটের মতো জটিল সমস্যা। এখন তরুণদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে এসব সমস্যা বাড়ছে; যা তরুণদের অল্প বয়সে বৃদ্ধদের কাতারে ফেলে দিচ্ছে। এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে তরুণদের ডায়াবেটিস বাড়তি হতাশা যোগ করেছে। অল্প বয়সে দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে তারা পরিবার এবং দেশের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঝুঁকিতে কারা
বেশির ভাগ তরুণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিসের শুরুতে রক্তে উচ্চমাত্রায় সুগার পাওয়া যায়। কারণ, তারা বা পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করে না যে এত অল্প বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের শুরুতেই তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যদি কোনো লক্ষণ দেখাও যায়, সে ক্ষেত্রে তরুণেরা এটাকে শারীরিক দুর্বলতা ভাবে। এই দুর্বলতা কাটাতে তারা নিজেরা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে সুগার আরও বাড়তে থাকে।
প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সবার আগে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়ামসহ সবকিছুতে তরুণদের ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়; যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও ত্বরান্বিত করছে।
বর্তমান সময়ে তরুণদের খাবারের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে ফাস্ট ফুড। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার কারণে তারা অল্প বয়সে মুটিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সব ফাস্ট ফুডই উচ্চ শর্করা এবং ট্রান্সফ্যাটযুক্ত; যা তাদের ওবেসিটির অন্যতম কারণ। এর ফলে তাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ছে, উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে, মেয়েদের পিসিওএস হচ্ছে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে আরও ত্বরান্বিত করছে। তাই তরুণদের ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে, বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তরুণদের জীবনযাপনের আরেকটি খারাপ অভ্যাস হচ্ছে ঘুম। তাঁরা বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। বেশির ভাগ তরুণই রাত ৩টা বা ৪টার আগে ঘুমান না। আমরা জানি, রাতে দেরি করে ঘুমালে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলেই হয়ে থাকে।
তাই তাদের রাতের আঁধারে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে এখন মানসিক বিষণ্নতাও বাড়ছে। বর্তমান সময়ে বাবা-মায়েরা তরুণদের স্কুল/কলেজ, কোচিং, টিউশনের বাইরে অন্য কোনো কোথাও রাখতে চান না। এ জন্য তাদের ডিভাইস আসক্তি বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের খেলাধুলার সময় এবং জায়গা—কোনোটাই থাকে না। নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগও তেমন থাকে না; যা তরুণদের বিষণ্নতার অন্যতম কারণ।
করণীয়
ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। এটি কখনো ভালো হয় না, তবে চাইলে ভালো রাখা যায়। তবে ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগ—এই তিন জিনিসের সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। তবে আপনি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
সে কারণে তরুণদের ডাক্তারের পরামর্শের পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে এই রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সারা দিনের খাদ্যতালিকা ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হেলথ চেকআপ করাতে হবে। প্রয়োজন হলে ওষুধ/ইনসুলিন নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাতের প্রথম ভাগে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তবেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
তরুণদের এই ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। তরুণেরা আগামীর কান্ডারি। তারা এত অল্প বয়সে এমন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়বে। কারণ, দেশের প্রতিটি কল্যাণকর এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সুস্থ তরুণদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকতে হবে।
লেখক: সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ। কিন্তু এখন অল্প বয়সী তরুণদের মধ্যেও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদের মধ্যে টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু—উভয় ধরনের ডায়াবেটিসই দেখা যায়। তবে টাইপ টুর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশের প্রায় ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২৫ জনে ১ জন তরুণ-তরুণী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশি জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে শুরুতে কোনো লক্ষণ থাকে না।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
জটিলতা
দীর্ঘ মেয়াদে রক্তে উচ্চমাত্রার সুগার থাকলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথি, ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিস ফুটের মতো জটিল সমস্যা। এখন তরুণদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে এসব সমস্যা বাড়ছে; যা তরুণদের অল্প বয়সে বৃদ্ধদের কাতারে ফেলে দিচ্ছে। এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে তরুণদের ডায়াবেটিস বাড়তি হতাশা যোগ করেছে। অল্প বয়সে দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে তারা পরিবার এবং দেশের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঝুঁকিতে কারা
বেশির ভাগ তরুণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিসের শুরুতে রক্তে উচ্চমাত্রায় সুগার পাওয়া যায়। কারণ, তারা বা পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করে না যে এত অল্প বয়সে ডায়াবেটিস হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের শুরুতেই তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যদি কোনো লক্ষণ দেখাও যায়, সে ক্ষেত্রে তরুণেরা এটাকে শারীরিক দুর্বলতা ভাবে। এই দুর্বলতা কাটাতে তারা নিজেরা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে সুগার আরও বাড়তে থাকে।
প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সবার আগে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়ামসহ সবকিছুতে তরুণদের ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়; যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও ত্বরান্বিত করছে।
বর্তমান সময়ে তরুণদের খাবারের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে ফাস্ট ফুড। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার কারণে তারা অল্প বয়সে মুটিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সব ফাস্ট ফুডই উচ্চ শর্করা এবং ট্রান্সফ্যাটযুক্ত; যা তাদের ওবেসিটির অন্যতম কারণ। এর ফলে তাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ছে, উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে, মেয়েদের পিসিওএস হচ্ছে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে আরও ত্বরান্বিত করছে। তাই তরুণদের ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে, বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
তরুণদের জীবনযাপনের আরেকটি খারাপ অভ্যাস হচ্ছে ঘুম। তাঁরা বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। বেশির ভাগ তরুণই রাত ৩টা বা ৪টার আগে ঘুমান না। আমরা জানি, রাতে দেরি করে ঘুমালে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলেই হয়ে থাকে।
তাই তাদের রাতের আঁধারে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে এখন মানসিক বিষণ্নতাও বাড়ছে। বর্তমান সময়ে বাবা-মায়েরা তরুণদের স্কুল/কলেজ, কোচিং, টিউশনের বাইরে অন্য কোনো কোথাও রাখতে চান না। এ জন্য তাদের ডিভাইস আসক্তি বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের খেলাধুলার সময় এবং জায়গা—কোনোটাই থাকে না। নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগও তেমন থাকে না; যা তরুণদের বিষণ্নতার অন্যতম কারণ।
করণীয়
ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। এটি কখনো ভালো হয় না, তবে চাইলে ভালো রাখা যায়। তবে ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগ—এই তিন জিনিসের সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। তবে আপনি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
সে কারণে তরুণদের ডাক্তারের পরামর্শের পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে এই রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সারা দিনের খাদ্যতালিকা ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হেলথ চেকআপ করাতে হবে। প্রয়োজন হলে ওষুধ/ইনসুলিন নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাতের প্রথম ভাগে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তবেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
তরুণদের এই ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। তরুণেরা আগামীর কান্ডারি। তারা এত অল্প বয়সে এমন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়বে। কারণ, দেশের প্রতিটি কল্যাণকর এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সুস্থ তরুণদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকতে হবে।
লেখক: সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের গবেষণার পর কিডনি প্রতিস্থাপনে এক বড় অগ্রগতির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার এমন এক যুগান্তকারী সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাতে দাতার ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে। এতে অপেক্ষার সময় অনেক কমবে, আর অসংখ্য প্রাণ বাঁচানো যাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ।
১৯ ঘণ্টা আগেএকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
৩ দিন আগে