রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ এবং এই রোগে মৃত্যু কমাতে সরকারিভাবে নানা প্রচেষ্টা আছে। রোগটি নির্ণয়ের অন্যতম সহায়ক এক্স-রে মেশিন। অথচ জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে থাকা ১৮৯টি এক্স-রে যন্ত্রের মধ্যে ৫৫টিই বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে অনেক রোগী থাকছে পরীক্ষার বাইরে। ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছে দেশ।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি!’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (এনটিপি ও এসটিডি/এইডস) ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ‘বর্তমানে ৫৫টি নয়, ২৬টি এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট। সেগুলো সচল করতে নিমিউ অ্যান্ড টিসি বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই ওই যন্ত্রগুলো সচল হবে।’
যক্ষ্মা শনাক্তে এক্স-রে যন্ত্রকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে বুকের এক্স-রের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ ও সাশ্রয়ী। ফুসফুসের যক্ষ্মা শনাক্তে এটি সবচেয়ে কার্যকর। অনেক এক্স-রে যন্ত্র অচল থাকায় রোগীদের অনেকেই শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এটি দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রধান অন্তরায়।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃত্যু ৭৫ শতাংশ (২০১৫ সালের তুলনায়) কমাতে হবে। ২০১৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যু ছিল ৭৩ হাজার। সে হিসাবে আগামী দুই বছরের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃত্যু ১৮ হাজারে নামাতে হবে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা থেকেই বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা সংক্রমণ ২০১৫ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য ঠিক করা আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে মোট ১৮৯টি এক্স-রে যন্ত্র আছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের অধীনে কেনা ৫৫টি যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডাইরেক্টর (টিবিএল অ্যান্ড এএসপি) ডা. মো. খুরশীদ আলম ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান নিমিউ অ্যান্ড টিসির চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজারকে চিঠি দেন। সেখানে তিনি ওই ৫৫টি এক্স-রে যন্ত্রের ২৭টি সম্পূর্ণ এবং চারটি আংশিক নষ্ট বলে জানান।
সেটা প্রায় দেড় বছর আগের তথ্য। এরপর এত দিনে ওই প্রকল্পের সব, অর্থাৎ ৫৫টি এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। সেগুলো মেরামতের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। অচল ও অকেজো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪টি, চট্টগ্রামে ৯টি, ঢাকায় ৬টি, খুলনায় ৮টি, ময়মনসিংহে ৪টি, রংপুরে ১৬টি এবং সিলেটে ৮টি।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির এক কর্মকর্তা বলেন, এই ৫৫টি এক্স-রে যন্ত্র সচল থাকলে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হতো। যন্ত্রগুলো নষ্ট থাকায় রোগীদের দূর-দূরান্তে যেতে হয় পরীক্ষার জন্য। সেখানে হয়তো চিকিৎসা থাকে না।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ এবং এই রোগে মৃত্যু কমাতে সরকারিভাবে নানা প্রচেষ্টা আছে। রোগটি নির্ণয়ের অন্যতম সহায়ক এক্স-রে মেশিন। অথচ জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে থাকা ১৮৯টি এক্স-রে যন্ত্রের মধ্যে ৫৫টিই বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে অনেক রোগী থাকছে পরীক্ষার বাইরে। ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছে দেশ।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি!’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (এনটিপি ও এসটিডি/এইডস) ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ‘বর্তমানে ৫৫টি নয়, ২৬টি এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট। সেগুলো সচল করতে নিমিউ অ্যান্ড টিসি বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই ওই যন্ত্রগুলো সচল হবে।’
যক্ষ্মা শনাক্তে এক্স-রে যন্ত্রকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে বুকের এক্স-রের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ ও সাশ্রয়ী। ফুসফুসের যক্ষ্মা শনাক্তে এটি সবচেয়ে কার্যকর। অনেক এক্স-রে যন্ত্র অচল থাকায় রোগীদের অনেকেই শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এটি দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রধান অন্তরায়।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃত্যু ৭৫ শতাংশ (২০১৫ সালের তুলনায়) কমাতে হবে। ২০১৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যু ছিল ৭৩ হাজার। সে হিসাবে আগামী দুই বছরের মধ্যে যক্ষ্মায় মৃত্যু ১৮ হাজারে নামাতে হবে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা থেকেই বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা সংক্রমণ ২০১৫ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য ঠিক করা আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে মোট ১৮৯টি এক্স-রে যন্ত্র আছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের অধীনে কেনা ৫৫টি যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডাইরেক্টর (টিবিএল অ্যান্ড এএসপি) ডা. মো. খুরশীদ আলম ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান নিমিউ অ্যান্ড টিসির চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজারকে চিঠি দেন। সেখানে তিনি ওই ৫৫টি এক্স-রে যন্ত্রের ২৭টি সম্পূর্ণ এবং চারটি আংশিক নষ্ট বলে জানান।
সেটা প্রায় দেড় বছর আগের তথ্য। এরপর এত দিনে ওই প্রকল্পের সব, অর্থাৎ ৫৫টি এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। সেগুলো মেরামতের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। অচল ও অকেজো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪টি, চট্টগ্রামে ৯টি, ঢাকায় ৬টি, খুলনায় ৮টি, ময়মনসিংহে ৪টি, রংপুরে ১৬টি এবং সিলেটে ৮টি।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির এক কর্মকর্তা বলেন, এই ৫৫টি এক্স-রে যন্ত্র সচল থাকলে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হতো। যন্ত্রগুলো নষ্ট থাকায় রোগীদের দূর-দূরান্তে যেতে হয় পরীক্ষার জন্য। সেখানে হয়তো চিকিৎসা থাকে না।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে একজনে মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সর্বশেষ কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ২১০ জন পুরুষ...
১ দিন আগেমানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। হালনাগাদ আইনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশের ভেতরেই বৈধভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া মৃত্যুর পর চিকিৎসার কল্যাণে দেহদানের নিয়মনীতিতেও এসেছে
১ দিন আগেরাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) পুরোনো করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সেটির নির্মাণকাজ। এই অবস্থায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী সিসিইউতে। কিন্তু একটি সিসিইউর জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেখানে তা নেই।
৩ দিন আগে