Ajker Patrika

ব্যায়ামের কারণে ব্যথা হলে

উম্মে শায়লা রুমকি
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ১৬
ব্যায়ামের কারণে ব্যথা হলে

ডিলেইড অনসেট মাসেল সোরনেস (ডিওএমএস) বলে একটি বিষয় আছে। যার সহজ অর্থ, জিম বা কঠোর শারীরিক ব্যায়ামের ফলে মাংসপেশির ব্যথা। সাধারণত ব্যায়াম করার ফলে মাংসপেশিতে ব্যথা হয়ে থাকে, যা স্বাভাবিক।

বিশ্রাম নিলে বা ব্যায়াম না করলে এ ব্যথা চলে যায়। কিন্তু ডিওএমএস ব্যায়াম করার ৬-৭ ঘণ্টা পর হয় এবং দুই-তিন দিন থাকে। মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা ছাড়াও তা ফুলে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জয়েন্টের নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এ জন্য অনেক সময় ঊরু, কাঁধ বা ঘাড়, পিঠ বা কোমরের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।

ডিওএমএস হলে করণীয়
ম্যাসাজ: অনেক সময় ব্যথার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাসাজ ভালো কাজ করে। তবে অবশ্যই দক্ষ লোকের ম্যাসাজ হতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় নিজেই সেটা করতে পারলে। তেল বা লোশন দিয়ে ব্যথার পেশিকে হালকা চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করা 
যেতে পারে।

ঠান্ডা বা গরম সেঁক: গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঠান্ডা পানিতে গোসল বা বাথটাবে পুরো শরীর ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে ব্যথার উপশম হয়। ঠান্ডার তাপমাত্রা ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। অন্যদিকে যেসব পেশিতে ব্যথা আছে, সেখানে গরম সেঁক দিলে 
রক্ত চলাচল দ্রুত হয় এবং ব্যথার উপশম হয়।

স্ট্রেচিং: স্ট্রেচিং মাংসপেশির ব্যথা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ধীরে ধীরে প্রতিটি জয়েন্টকে স্ট্রেচ করতে হবে। স্ট্রেচিং করতে গিয়ে যে অবস্থানে মাংসপেশি বাধা পাচ্ছে বলে মনে হয়, সেখানে ৫-১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে ১০ বার স্ট্রেচ করতে হবে। খুব জোর করে টান দেওয়া যাবে না, তাতে পেশি আঘাত পেতে পারে।

দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ডিওএমএস ভালো হয়ে যায়। কিন্তু যদি না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
যেসব লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:
▶    যদি জিম বা ব্যায়াম করার ফলে মাংসপেশির ব্যথা সাত দিন ধরে থাকে।
▶    যদি হাত বা পায়ের কোনো অংশ ফুলে গিয়ে থাকে।
▶    যদি প্রস্রাব গাঢ় হয়ে থাকে।
▶    যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হয়।

যা করতে হবে
▶    জিমে বা কঠোর ব্যায়াম করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
▶    ব্যায়াম করার শুরুতে ১০ মিনিট ওয়ার্মআপ এবং ব্যায়ামের শেষে ২০ মিনিট কুল ডাউন করা দরকার। 
▶    শরীর যাতে পানিশূন্য না হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 
▶    প্রোটিনজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। 
▶    সব সময় আরামদায়ক পরিবেশে ব্যায়াম করতে হবে।

লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত