অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
ঢাকাসহ সারা দেশে শীতের প্রকোপ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, যেমন সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ভাইরাল ডায়রিয়া ইত্যাদি। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, তত আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এদের মধ্যে সংখ্যায় বেশি নবজাতক।
এ সময় শিশুদের প্রচণ্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা হাওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা বেশি। কেবল সন্ধ্যা নয়, এখন সারা দিন বইছে হিমেল হাওয়া। রোদ উঠলেও তীব্রতা খুব বেশি নয় বলে ঠান্ডা দূর হচ্ছে না। ফলে শিশুদের এই ঠান্ডা থেকে সাবধানে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
একটি কথা আগেই বলে নিই, শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন অভিভাবকদের বুঝতে হবে। শিশু দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে, শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ আর বুকের পাঁজরের নিচের অংশ দেবে যাচ্ছে। সঙ্গে আছে জ্বর, বমি। এসব লক্ষণ মারাত্মক। এমন হলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এমন লক্ষণে নিউমোনিয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
শীতে ডায়রিয়া বাড়ে। এবারও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ভরসা খাওয়ার স্যালাইন। তবে মাত্রা বেশি হলে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। এ ব্যাপারে কোনো হেলাফেলা করা যাবে না।
শিশুকে খাওয়াতে হবে পুষ্টিকর খাবার। খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে মৌসুমি শাকসবজি, ফল ইত্যাদি। এগুলো থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন আসবে। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের মায়ের দুধ পান করাতে হবে নিয়মিত।
এ ছাড়া শিশুর শ্বাসকষ্ট বা ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরিয়ে নিতে ভোলা যাবে না। সঙ্গে উপযুক্ত গরম পোশাক। শিশুকে শীতের পোশাক পরাতে হবে মাথা ঢেকে। তাতে শিশুর মাথায় ঠান্ডা লাগবে না। সঙ্গে হাতমোজা ও মোজা থাকতে হবে। এগুলো শরীর গরম রাখতে সহায়তা করবে। মনে রাখা উচিত, এই শীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের বাইরে নিয়ে যাওয়া বা তাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না।
নবজাতককে অবশ্যই তার মায়ের বুকের সঙ্গে রাখতে হবে। এতে শিশুর শরীর গরম থাকবে। একে বলে ক্যাঙারু মাদার কেয়ার। শীতে এটি বিভিন্নভাবে নবজাতকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। শিশুদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে রাখা যাবে না। গোসল করাতে হবে গরম পানি দিয়ে। সমস্যা হলে স্পঞ্জ করিয়ে দিতে হবে। আর গরম জলে কাপড় ভিজিয়ে নবজাতকদের শরীর মুছিয়ে দিতে হবে।
উষ্ণ রাখার জন্য শিশুর শরীরে তেল মালিশ করতে পারেন সতর্কতার সঙ্গে। শিশুর পোশাক ভিজে গেলে দ্রুত বদলে দিতে হবে।
যা মনে রাখবেন
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
ঢাকাসহ সারা দেশে শীতের প্রকোপ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, যেমন সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ভাইরাল ডায়রিয়া ইত্যাদি। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, তত আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এদের মধ্যে সংখ্যায় বেশি নবজাতক।
এ সময় শিশুদের প্রচণ্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা হাওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা বেশি। কেবল সন্ধ্যা নয়, এখন সারা দিন বইছে হিমেল হাওয়া। রোদ উঠলেও তীব্রতা খুব বেশি নয় বলে ঠান্ডা দূর হচ্ছে না। ফলে শিশুদের এই ঠান্ডা থেকে সাবধানে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
একটি কথা আগেই বলে নিই, শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন অভিভাবকদের বুঝতে হবে। শিশু দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে, শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ আর বুকের পাঁজরের নিচের অংশ দেবে যাচ্ছে। সঙ্গে আছে জ্বর, বমি। এসব লক্ষণ মারাত্মক। এমন হলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এমন লক্ষণে নিউমোনিয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
শীতে ডায়রিয়া বাড়ে। এবারও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ভরসা খাওয়ার স্যালাইন। তবে মাত্রা বেশি হলে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। এ ব্যাপারে কোনো হেলাফেলা করা যাবে না।
শিশুকে খাওয়াতে হবে পুষ্টিকর খাবার। খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে মৌসুমি শাকসবজি, ফল ইত্যাদি। এগুলো থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন আসবে। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের মায়ের দুধ পান করাতে হবে নিয়মিত।
এ ছাড়া শিশুর শ্বাসকষ্ট বা ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরিয়ে নিতে ভোলা যাবে না। সঙ্গে উপযুক্ত গরম পোশাক। শিশুকে শীতের পোশাক পরাতে হবে মাথা ঢেকে। তাতে শিশুর মাথায় ঠান্ডা লাগবে না। সঙ্গে হাতমোজা ও মোজা থাকতে হবে। এগুলো শরীর গরম রাখতে সহায়তা করবে। মনে রাখা উচিত, এই শীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের বাইরে নিয়ে যাওয়া বা তাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না।
নবজাতককে অবশ্যই তার মায়ের বুকের সঙ্গে রাখতে হবে। এতে শিশুর শরীর গরম থাকবে। একে বলে ক্যাঙারু মাদার কেয়ার। শীতে এটি বিভিন্নভাবে নবজাতকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। শিশুদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে রাখা যাবে না। গোসল করাতে হবে গরম পানি দিয়ে। সমস্যা হলে স্পঞ্জ করিয়ে দিতে হবে। আর গরম জলে কাপড় ভিজিয়ে নবজাতকদের শরীর মুছিয়ে দিতে হবে।
উষ্ণ রাখার জন্য শিশুর শরীরে তেল মালিশ করতে পারেন সতর্কতার সঙ্গে। শিশুর পোশাক ভিজে গেলে দ্রুত বদলে দিতে হবে।
যা মনে রাখবেন
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে