ফিচার ডেস্ক
চোখের জন্য উপকারী কিছু পুষ্টি উপাদান; যেমন লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন মানুষের শরীরে তৈরি হয় না। এগুলো শুধু খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চোখের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
পুষ্টিবিদ লিনা আকতার বলেন, সুষম খাদ্য চোখের সাধারণ সুস্থতা এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিজেনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা চোখ ভালো রাখতে বিশেষ উপকার করবে।
কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় অন্যদের তুলনায় বেশি কার্যকর; যেমন লুটেইন, জিয়াজ্যান্থিন, ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং ‘ই’, বিটা ক্যারোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও জিঙ্ক। এই উপাদানগুলো উৎপাদন করার জন্য ভালো খাবারের একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত। যে খাবারগুলো বেশির ভাগই সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামেও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। এগুলো আলাদাভাবে খাওয়া যায় বা বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়।
মাছ
এটা খুবই প্রচলিত একটি সমাধান। যে মাছ খেলে চোখ ভালো থাকে। মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা চোখের পেছনের অংশ রেটিনার জন্য খুবই উপকারী। পাশাপাশি এটি চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সপ্তাহে কয়েক দিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। খামারে চাষ করা মাছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি এবং ওমেগা-৩ কম থাকে। তাই চেষ্টা করুন নদী কিংবা সমুদ্রের মাছ খেতে।
মাছ রান্নার ক্ষেত্রে অনেকে অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করেন। চেষ্টা করুন কম মসলা ব্যবহার করতে। এতে পুষ্টি উপাদানগুলোর পরিমাণ ও কার্যকারিতা বেশি থাকে।
ডিম
ডিম চোখের জন্য দারুণ খাবার। ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন ‘এ’, লুটেইন, জিয়াজ্যান্থিন ও জিঙ্ক। ভিটামিন ‘এ’ কর্নিয়াকে সুরক্ষা দেয়। লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জিঙ্ক রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং রাতে ভালো দেখতে সাহায্য করে। ডিম যেকোনো খাবারে ব্যবহারযোগ্য সেদ্ধ, সালাদে, স্যান্ডউইচে কিংবা নাশতা হিসেবে।
বাদাম
বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে বিশেষ করে কাঠবাদাম চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন ‘ই’, যা কোষ ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রস্তাবিত ভিটামিন ‘ই’র পরিমাণ ১৫ মিলিগ্রাম। ১০০ গ্রাম রোস্ট করা আমন্ডে ১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘ই’ থাকে। ভিটামিন ‘ই’ আরও কিছু বাদামে পাওয়া যায়। যেমন সূর্যমুখীর বীজ, হ্যাজেলনাট ও চিনাবাদাম। তবে সতর্ক থাকতে হবে দিনে ১ থেকে ২ বার বাদাম না খাওয়াই ভালো। কারণ, বাদাম ক্যালরিসমৃদ্ধ।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ ও দই চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন ‘এ’ ও খনিজ জিঙ্ক। ভিটামিন ‘এ’ কর্নিয়া সুরক্ষিত রাখে এবং জিঙ্ক সেই ভিটামিন লিভার থেকে চোখে নিয়ে যায়। জিঙ্ক রেটিনা ও চোখের নিচের টিস্যুতে থাকে।
এই উপাদানগুলো রাতের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ছানি প্রতিরোধ করে। দুধ খেতে পারেন চা বা কফির সঙ্গে কিংবা ওটস বা সরাসরিও পান করতে পারেন। সকালের খাবার হিসেবে দই ভালো খাবার।
কমলা ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল
কমলা ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল ভিটামিন ‘সি’তে সমৃদ্ধ। এগুলো চোখের রক্তনালি সুস্থ রাখে। এটি ছানি ও এএমডি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাজা ফল ও শাকসবজিতে এ ভিটামিন বেশি থাকে।
সূত্র: হেলথ শট
চোখের জন্য উপকারী কিছু পুষ্টি উপাদান; যেমন লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন মানুষের শরীরে তৈরি হয় না। এগুলো শুধু খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চোখের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
পুষ্টিবিদ লিনা আকতার বলেন, সুষম খাদ্য চোখের সাধারণ সুস্থতা এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিজেনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা চোখ ভালো রাখতে বিশেষ উপকার করবে।
কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় অন্যদের তুলনায় বেশি কার্যকর; যেমন লুটেইন, জিয়াজ্যান্থিন, ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং ‘ই’, বিটা ক্যারোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও জিঙ্ক। এই উপাদানগুলো উৎপাদন করার জন্য ভালো খাবারের একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত। যে খাবারগুলো বেশির ভাগই সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামেও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। এগুলো আলাদাভাবে খাওয়া যায় বা বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়।
মাছ
এটা খুবই প্রচলিত একটি সমাধান। যে মাছ খেলে চোখ ভালো থাকে। মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা চোখের পেছনের অংশ রেটিনার জন্য খুবই উপকারী। পাশাপাশি এটি চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সপ্তাহে কয়েক দিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। খামারে চাষ করা মাছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি এবং ওমেগা-৩ কম থাকে। তাই চেষ্টা করুন নদী কিংবা সমুদ্রের মাছ খেতে।
মাছ রান্নার ক্ষেত্রে অনেকে অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করেন। চেষ্টা করুন কম মসলা ব্যবহার করতে। এতে পুষ্টি উপাদানগুলোর পরিমাণ ও কার্যকারিতা বেশি থাকে।
ডিম
ডিম চোখের জন্য দারুণ খাবার। ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন ‘এ’, লুটেইন, জিয়াজ্যান্থিন ও জিঙ্ক। ভিটামিন ‘এ’ কর্নিয়াকে সুরক্ষা দেয়। লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জিঙ্ক রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং রাতে ভালো দেখতে সাহায্য করে। ডিম যেকোনো খাবারে ব্যবহারযোগ্য সেদ্ধ, সালাদে, স্যান্ডউইচে কিংবা নাশতা হিসেবে।
বাদাম
বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে বিশেষ করে কাঠবাদাম চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন ‘ই’, যা কোষ ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রস্তাবিত ভিটামিন ‘ই’র পরিমাণ ১৫ মিলিগ্রাম। ১০০ গ্রাম রোস্ট করা আমন্ডে ১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘ই’ থাকে। ভিটামিন ‘ই’ আরও কিছু বাদামে পাওয়া যায়। যেমন সূর্যমুখীর বীজ, হ্যাজেলনাট ও চিনাবাদাম। তবে সতর্ক থাকতে হবে দিনে ১ থেকে ২ বার বাদাম না খাওয়াই ভালো। কারণ, বাদাম ক্যালরিসমৃদ্ধ।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ ও দই চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকে ভিটামিন ‘এ’ ও খনিজ জিঙ্ক। ভিটামিন ‘এ’ কর্নিয়া সুরক্ষিত রাখে এবং জিঙ্ক সেই ভিটামিন লিভার থেকে চোখে নিয়ে যায়। জিঙ্ক রেটিনা ও চোখের নিচের টিস্যুতে থাকে।
এই উপাদানগুলো রাতের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং ছানি প্রতিরোধ করে। দুধ খেতে পারেন চা বা কফির সঙ্গে কিংবা ওটস বা সরাসরিও পান করতে পারেন। সকালের খাবার হিসেবে দই ভালো খাবার।
কমলা ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল
কমলা ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল ভিটামিন ‘সি’তে সমৃদ্ধ। এগুলো চোখের রক্তনালি সুস্থ রাখে। এটি ছানি ও এএমডি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাজা ফল ও শাকসবজিতে এ ভিটামিন বেশি থাকে।
সূত্র: হেলথ শট
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
১৬ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১৮ ঘণ্টা আগে