ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনূর্ধ্ব–১৭ আইরিশ নারী ফুটবল দলের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আহমেদ হোসেন জনি নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আইরিশ জাতীয় মহিলা দলের খেলোয়াড়রা ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন মাঠে উল্টো দিক করে দাঁড়িয়ে আছে, যা হিব্রু মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। ব্রাভো আইরিশ প্রমিলা ফুটবল দল।’
পোস্টটি আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচশর বেশি শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে ৩৪ হাজারের বেশি। পোস্টটির কমেন্টবক্সে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা দাবিকৃত ঘটনাটির প্রশংসা করে আইরিশ মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ভাইরাল ছবিটির পেছনের গল্প
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম দ্য আইরিশ টাইমসে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওইদিন আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দল।
এই ম্যাচ ঘিরে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সাংবাদিক অভিযোগ তোলেন যে, ম্যাচ শুরুর আগে আইরিশ মেয়েরা ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় উলটো দিকে ফিরে ছিলেন। তবে তাঁদের এই অভিযোগ অসত্য। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত ‘Amhrán na bhFiann (আমহরান না ভফিয়ান)’ বাজানো হচ্ছিল। ঐতিহ্য অনুসারে আইরিশ মেয়েরা ওই সময় তাঁদের মুখ আয়ারল্যান্ডের পতাকার দিকে ঘুরিয়ে নেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফুল ফ্যাক্ট ভাইরাল ছবিটি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, আইরিশ মেয়েদের ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় পিঠ প্রদর্শনের দাবিটি সঠিক নয়। ওই সময় মূলত আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো হচ্ছিল এবং আইরিশ মেয়েরা তাঁদের ঐতিহ্য অনুসারে নিজেদের পতাকার দিকে মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন।
এই প্রতিবেদন সূত্রে আলবেনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ইউটিউব চ্যানেল এফএসএইচএফে আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির পুরো ম্যাচের ভিডিও পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ২ মিনিট থেকে সাড়ে ৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এর মধ্যে প্রথমে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং এই সময় দুই দেশের খেলোয়াড়েরা একই দিকে মুখ করে ছিলেন। ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানো শেষে দেশটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদেরও হাততালি দিতে দেখা যায়। এরপরই আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে এবং আইরিশ মেয়েরা উলটো দিকে ঘুরে দাঁড়ান।
ভিডিওটিতে আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের হাত মেলাতেও দেখা যায়।
এসব তথ্য ও ভিডিওর ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট যে, আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় আইরিশ মেয়েরা উলটো দিকে ঘুরে দাঁড়াননি। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজছিল এবং আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা ঐতিহ্য অনুসারে পতাকার দিকে ফিরে দাঁড়ান।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটে আয়ারল্যান্ড সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার সমালোচনা করেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লিও ভারকডার। তিনি ইসরায়েলের বোমাবর্ষণকে জেনেভা কনভেনশনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তার জন্য ইউরোপের যে দেশগুলো প্রথম যুদ্ধবিরতির দাবিতে আওয়াজ তুলেছিল, আয়ারল্যান্ড তার মধ্যে অন্যতম। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইরিশ সদস্য (এমইপি) ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভূমিকার সমালোচনা করে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলুকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের প্রতি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ইইউ–এরও সমর্থন রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনূর্ধ্ব–১৭ আইরিশ নারী ফুটবল দলের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আহমেদ হোসেন জনি নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আইরিশ জাতীয় মহিলা দলের খেলোয়াড়রা ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন মাঠে উল্টো দিক করে দাঁড়িয়ে আছে, যা হিব্রু মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। ব্রাভো আইরিশ প্রমিলা ফুটবল দল।’
পোস্টটি আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচশর বেশি শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে ৩৪ হাজারের বেশি। পোস্টটির কমেন্টবক্সে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা দাবিকৃত ঘটনাটির প্রশংসা করে আইরিশ মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ভাইরাল ছবিটির পেছনের গল্প
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম দ্য আইরিশ টাইমসে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওইদিন আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দল।
এই ম্যাচ ঘিরে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সাংবাদিক অভিযোগ তোলেন যে, ম্যাচ শুরুর আগে আইরিশ মেয়েরা ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় উলটো দিকে ফিরে ছিলেন। তবে তাঁদের এই অভিযোগ অসত্য। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত ‘Amhrán na bhFiann (আমহরান না ভফিয়ান)’ বাজানো হচ্ছিল। ঐতিহ্য অনুসারে আইরিশ মেয়েরা ওই সময় তাঁদের মুখ আয়ারল্যান্ডের পতাকার দিকে ঘুরিয়ে নেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফুল ফ্যাক্ট ভাইরাল ছবিটি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, আইরিশ মেয়েদের ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় পিঠ প্রদর্শনের দাবিটি সঠিক নয়। ওই সময় মূলত আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো হচ্ছিল এবং আইরিশ মেয়েরা তাঁদের ঐতিহ্য অনুসারে নিজেদের পতাকার দিকে মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন।
এই প্রতিবেদন সূত্রে আলবেনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ইউটিউব চ্যানেল এফএসএইচএফে আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির পুরো ম্যাচের ভিডিও পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ২ মিনিট থেকে সাড়ে ৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এর মধ্যে প্রথমে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং এই সময় দুই দেশের খেলোয়াড়েরা একই দিকে মুখ করে ছিলেন। ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানো শেষে দেশটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদেরও হাততালি দিতে দেখা যায়। এরপরই আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে এবং আইরিশ মেয়েরা উলটো দিকে ঘুরে দাঁড়ান।
ভিডিওটিতে আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের হাত মেলাতেও দেখা যায়।
এসব তথ্য ও ভিডিওর ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট যে, আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় আইরিশ মেয়েরা উলটো দিকে ঘুরে দাঁড়াননি। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজছিল এবং আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা ঐতিহ্য অনুসারে পতাকার দিকে ফিরে দাঁড়ান।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটে আয়ারল্যান্ড সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার সমালোচনা করেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লিও ভারকডার। তিনি ইসরায়েলের বোমাবর্ষণকে জেনেভা কনভেনশনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তার জন্য ইউরোপের যে দেশগুলো প্রথম যুদ্ধবিরতির দাবিতে আওয়াজ তুলেছিল, আয়ারল্যান্ড তার মধ্যে অন্যতম। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইরিশ সদস্য (এমইপি) ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভূমিকার সমালোচনা করে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলুকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের প্রতি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ইইউ–এরও সমর্থন রয়েছে।
ভিডিওতে রাতের বেলা সাদা পাঞ্জাবি-টুপি পরা বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে একটি প্যান্ডেল-মঞ্চের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাদের মঞ্চে উঠে মেঝেতে আঘাত করতে এবং চেয়ার ভাঙচুর করতে দেখা যায়।
২ দিন আগেপুলিশের সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে—এই দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একই ক্যাপশনে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে একজন অর্ধনগ্ন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করছেন—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে পোস্ট করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও একই ভিডিও
৩ দিন আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে মারা গেছেন—এই দাবিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন এক্স ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে। কথিত ওই বিজ্ঞপ্তির ছবিতে পাকিস্তান সরকারের লোগো রয়েছে এবং প্রকাশের তারিখ ১০
৪ দিন আগে