ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া মানবকোষের সবচেয়ে বিস্তারিত (ডিটেইলড) ছবি।
বাংলাদেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতে ছবিটি বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই একই দাবিতে পোস্ট করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এক সপ্তাহ ধরে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে কয়েক শ আইডি, গ্রুপ ও পেজে ছবিটি পোস্ট করতে দেখা গেছে। শেয়ার হয়েছে কয়েক হাজার।
ফ্যাক্টচেক
মানবকোষের সবচেয়ে নিখুঁত ছবি বলে দাবি করা হলেও ছবিটির উৎস সম্পর্কে পোস্টগুলোতে কিছুই বলা হয়নি।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে ছবিটির উৎস খুঁজে পাওয়া যায়। গেইল ম্যাকগিল ডট আর্ট স্টেশন নামের একটি ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, এটি কম্পিউটারে থ্রিডি প্রযুক্তিতে আঁকা ইউক্যারিওটিক কোষের (আদর্শ কোষ) ছবি।
মার্কিন বৈজ্ঞানিক অ্যানিমেটর ইভান ইঙ্গারসোল ও গেইল ম্যাকগিল ছবিটি তৈরি করেন। সেল সিগন্যালিং টেকনোলজি নামের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য ছবিটি তৈরি করা হয়। বিষয়টি সমন্বয় করে বৈজ্ঞানিক শিল্পকর্ম বিষয়ক সংস্থা ডিজি জাইম।
ওই ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা যায়, ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড এস গুডসেলের কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আঁকা। গুডসেল মানবকোষের অভ্যন্তরের ছবিকে ওয়াটার কালার পেইন্টিং-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
আর্ট স্টেশন নামের একটি ওয়েবসাইটে ছবিটি বিক্রি করতেও দেখা যায়। ওই ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা আছে, ছবিটি গেইল ম্যাকগিল ও ইভান ইঙ্গারসোলের আঁকা।
অ্যাংস্ট্রম থ্রিডি নামের একটি ওয়েবসাইটে কয়েকটি ভাগে ছবিটির বিভিন্ন অংশের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের বাইরে আগেই ছবিটি বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ভাইরাল হলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে (এএপি) গত ১১ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটির দুজন নির্মাতার একজন ইভান ইঙ্গারসোল বলেন, ছবিটিতে তাঁরা একটি কোষের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অণু এঁকেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ছবিতে কোষের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অংশ সঠিক মাপে বসানো হয়নি। বরং দৃষ্টিনন্দন করার জন্য এবং কম জায়গায় সব দেখানোর জন্য বিভিন্ন প্রান্তের অণুগুলোকে কাছাকাছি এনে দেখানো হয়েছে। এই ছবিতে বিভিন্ন উপাদান একসঙ্গে দেখানো হয়েছে মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধার জন্য।
বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা থেকে জানা যায়, অধিকাংশ কোষ স্বচ্ছ কিংবা বর্ণহীন। ব্যবহারিক ক্লাসে অনেক সময় কোষের বিভিন্ন অংশ স্পষ্ট করে বোঝানোর জন্য এতে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করে রঙিন করে তোলা হয়।
সিদ্ধান্ত
‘এখন পর্যন্ত পাওয়া মানব কোষের সবচেয়ে ডিটেইল ছবি’ দাবিতে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি মূলত কম্পিউটারে আঁকা থ্রিডি ডিজাইন। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজের অংশ হিসেবে মার্কিন বৈজ্ঞানিক অ্যানিমেটর ইভান ইঙ্গারসোল ও গেইল ম্যাকগিল ছবিটি তৈরি করেন।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া মানবকোষের সবচেয়ে বিস্তারিত (ডিটেইলড) ছবি।
বাংলাদেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতে ছবিটি বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই একই দাবিতে পোস্ট করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এক সপ্তাহ ধরে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে কয়েক শ আইডি, গ্রুপ ও পেজে ছবিটি পোস্ট করতে দেখা গেছে। শেয়ার হয়েছে কয়েক হাজার।
ফ্যাক্টচেক
মানবকোষের সবচেয়ে নিখুঁত ছবি বলে দাবি করা হলেও ছবিটির উৎস সম্পর্কে পোস্টগুলোতে কিছুই বলা হয়নি।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে ছবিটির উৎস খুঁজে পাওয়া যায়। গেইল ম্যাকগিল ডট আর্ট স্টেশন নামের একটি ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, এটি কম্পিউটারে থ্রিডি প্রযুক্তিতে আঁকা ইউক্যারিওটিক কোষের (আদর্শ কোষ) ছবি।
মার্কিন বৈজ্ঞানিক অ্যানিমেটর ইভান ইঙ্গারসোল ও গেইল ম্যাকগিল ছবিটি তৈরি করেন। সেল সিগন্যালিং টেকনোলজি নামের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য ছবিটি তৈরি করা হয়। বিষয়টি সমন্বয় করে বৈজ্ঞানিক শিল্পকর্ম বিষয়ক সংস্থা ডিজি জাইম।
ওই ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা যায়, ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড এস গুডসেলের কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আঁকা। গুডসেল মানবকোষের অভ্যন্তরের ছবিকে ওয়াটার কালার পেইন্টিং-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
আর্ট স্টেশন নামের একটি ওয়েবসাইটে ছবিটি বিক্রি করতেও দেখা যায়। ওই ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা আছে, ছবিটি গেইল ম্যাকগিল ও ইভান ইঙ্গারসোলের আঁকা।
অ্যাংস্ট্রম থ্রিডি নামের একটি ওয়েবসাইটে কয়েকটি ভাগে ছবিটির বিভিন্ন অংশের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের বাইরে আগেই ছবিটি বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ভাইরাল হলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে (এএপি) গত ১১ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটির দুজন নির্মাতার একজন ইভান ইঙ্গারসোল বলেন, ছবিটিতে তাঁরা একটি কোষের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অণু এঁকেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ছবিতে কোষের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অংশ সঠিক মাপে বসানো হয়নি। বরং দৃষ্টিনন্দন করার জন্য এবং কম জায়গায় সব দেখানোর জন্য বিভিন্ন প্রান্তের অণুগুলোকে কাছাকাছি এনে দেখানো হয়েছে। এই ছবিতে বিভিন্ন উপাদান একসঙ্গে দেখানো হয়েছে মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধার জন্য।
বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা থেকে জানা যায়, অধিকাংশ কোষ স্বচ্ছ কিংবা বর্ণহীন। ব্যবহারিক ক্লাসে অনেক সময় কোষের বিভিন্ন অংশ স্পষ্ট করে বোঝানোর জন্য এতে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করে রঙিন করে তোলা হয়।
সিদ্ধান্ত
‘এখন পর্যন্ত পাওয়া মানব কোষের সবচেয়ে ডিটেইল ছবি’ দাবিতে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি মূলত কম্পিউটারে আঁকা থ্রিডি ডিজাইন। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজের অংশ হিসেবে মার্কিন বৈজ্ঞানিক অ্যানিমেটর ইভান ইঙ্গারসোল ও গেইল ম্যাকগিল ছবিটি তৈরি করেন।
ভিডিওতে আধাপাকা ঘরের ভেতরে একজন বয়স্ক ব্যক্তির গলায় জুতার মালা ঝুলতে দেখা যায়। সেই ব্যক্তির পরনে জুব্বা ও মাথায় টুপি। মুখে পাকা দাড়ি। পাশেই আরেকজন সাদা পাঞ্জাবি-লুঙ্গি পরা মাঝ বয়সী ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটির শেষ দিকে গ্রাম পুলিশের শার্ট সদৃশ জামা ও লুঙ্গি পরে এক ব্যক্তিকে জুতার...
১২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে সেনাবাহিনীর একজন মেজরের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন—এই দাবিতে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের নামে পেপার কাটিংয়ের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ এবং এক্স অ্যাকাউটেও পোস্ট করা হয়েছে
১ দিন আগেঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠের ফেসবুক পেজে গতকাল শুক্রবার (২ মে) রাত ৯টায় প্রকাশিত ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এরা কারা; কিভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
২ দিন আগেএক ব্যক্তি ঘরের মধ্যে এক নারীকে ঝাড়ু দিয়ে পেটাচ্ছে—এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজে পোস্ট করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি পাকা ঘরের মধ্যে নারীকে ঝাড়ু দিয়ে সজোরে আঘাত করছেন এক লোক। আর ওই নারী ব্যথার চোটে মেঝেতে বসে পড়েছেন।
৩ দিন আগে