ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে করতে ক্লান্তি আসলে শরীরের আড়মোড়া ভাংগতে অনেকেই হাতের আঙুল ফুটিয়ে থাকেন। কারও কারও দাবি, এভাবে আঙুল ফোটানো আর্থরাইটিস বা বাতরোগের কারণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে এই তথ্য প্রায়ই ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই দাবি কি সত্যি, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতরোগের সম্পর্ক আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস ফর মেডিকেল সায়েন্সের (ইউএএমএস) ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থোপেডিকস বিভাগের বরাত দিয়ে এ প্রসঙ্গে বলা হয়, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ক্রমাগত আঙুল ফোটানোর ফলে আঙ্গুলের জয়েন্ট বা গাঁটে সাময়িক ব্যথার কারণ হতে পারে। এই গাঁটগুলো সিনোভিয়াল ফ্লুইড নামে ঘন, পরিষ্কার তরল দ্বারা বেষ্টিত ও পিচ্ছিল থাকে। আঙুল ফোটানোর ফলে হাড়ের সংযোগস্থলে ফাঁক বেড়ে যায় বা শূন্যস্থান তৈরি হয়ে সিনোভিয়াল ফ্লুইডে বুদ্বুদ তৈরি হয় এবং তা ফেটে শব্দ সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে আঙুল ফোটানোর সঙ্গে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স আর্থরাইটিস সেন্টার তাদের ওয়েবসাইটে আঙুল ফোটানো সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর বিভাগে জানায়, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা অভ্যাসবশত আঙুল ফোটান আর যাঁরা ফোটান না—উভয়ের ক্ষেত্রেই আর্থরাইটিস বা বাতের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। অর্থাৎ উভয়ের জন্যই হয় ঝুঁকি নেই কিংবা সমান। তবে দীর্ঘদিন আঙুল ফোটানোর অভ্যাস গড়ে তোলার ফলে যারা আঙুল ফোটান না, তাদের তুলনায় এ ব্যক্তিদের হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি কমে যায়।
আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে চিকিৎসাবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডেতে দুইটি গবেষণাপত্র উদ্ধৃত করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক ডি এল আনগার নিজে দীর্ঘদিন আঙুল ফুটিয়ে গবেষণা করেন। তিনি ৫০ বছর দিনে অন্তত দুইবার তার বাম হাতের আঙুল ফোটাতেন। তবে ডান হাতে এ অভ্যাস গড়া থেকে বিরত থাকেন। তিনি তার কোনো হাতেই বাত রোগ হতে দেখেননি এবং দুই হাতের মধ্যে কোনো পার্থক্যও দেখেননি। পরিশেষে তিনি সিদ্ধান্তে আসেন, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বাতের কোনো সম্পর্ক নেই।
২০১১ সালে হওয়া আরেকটি গবেষণায় বাত আক্রান্ত ২১৫ রোগীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ ২১৫ জনের মধ্যে ২০ শতাংশ ছিলেন, যারা নিয়মিত আঙুল ফোটাতেন। এদের মধ্যে আঙুল ফোটাতেন না, কিন্তু বাতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। অপরদিকে যারা আঙুল ফোটাতেন, তাদের সংখ্যা ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এই গবেষকেরা এসব ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আসেন যে, যাঁরা অভ্যাসবশত আঙুল ফোটান আর যাঁরা ফোটান না—উভয়ের ক্ষেত্রেই আর্থরাইটিস বা বাতের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সমান।
কানাডার আর্থরাইটিস সোসাইটি আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বাতের সম্পর্ককে প্রচলিত ধারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ফিজিওথেরাপিস্ট অশিমা নারায়ণ বলেন, আঙুল ফোটানোর ফলে বাত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে অতিরিক্ত আঙুল ফোটালে আঙ্গুলের লিগামেন্ট বা টেন্ডনের ক্ষতি হতে পারে এবং এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি হ্রাস পেতে পারে।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের ওয়েবসাইটেও একই তথ্য দেওয়া হয়েছে। আঙুল ফোটানোর ফলে বাত হয় না। তবে এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করা উচিত। কারণ প্রতিনিয়ত আঙুল ফোটানো হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
সিদ্ধান্ত
ঘুম থেকে উঠে বা একটানা কাজের পর শরীরের জড়তা কাটাতে মানুষ আঙুল ফোটায়। এসময় আঙুল ফোটানো ও ফোটার মট মট শব্দ ব্যক্তিকে প্রশান্তি দেয়, অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। যদিও বলা হয়, আঙুল ফোটানো বাতরোগ বা আর্থরাইটিস দিকে ঠেলে দেয়। তবে চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বাত রোগের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা আঙুল ফোটান ও যারা ফোটান না—উভয়ের ক্ষেত্রেই আর্থরাইটিস বা বাতের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সমান। তবে অতিরিক্ত আঙুল ফোটানো হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে করতে ক্লান্তি আসলে শরীরের আড়মোড়া ভাংগতে অনেকেই হাতের আঙুল ফুটিয়ে থাকেন। কারও কারও দাবি, এভাবে আঙুল ফোটানো আর্থরাইটিস বা বাতরোগের কারণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে এই তথ্য প্রায়ই ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই দাবি কি সত্যি, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতরোগের সম্পর্ক আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস ফর মেডিকেল সায়েন্সের (ইউএএমএস) ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থোপেডিকস বিভাগের বরাত দিয়ে এ প্রসঙ্গে বলা হয়, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ক্রমাগত আঙুল ফোটানোর ফলে আঙ্গুলের জয়েন্ট বা গাঁটে সাময়িক ব্যথার কারণ হতে পারে। এই গাঁটগুলো সিনোভিয়াল ফ্লুইড নামে ঘন, পরিষ্কার তরল দ্বারা বেষ্টিত ও পিচ্ছিল থাকে। আঙুল ফোটানোর ফলে হাড়ের সংযোগস্থলে ফাঁক বেড়ে যায় বা শূন্যস্থান তৈরি হয়ে সিনোভিয়াল ফ্লুইডে বুদ্বুদ তৈরি হয় এবং তা ফেটে শব্দ সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে আঙুল ফোটানোর সঙ্গে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স আর্থরাইটিস সেন্টার তাদের ওয়েবসাইটে আঙুল ফোটানো সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর বিভাগে জানায়, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা অভ্যাসবশত আঙুল ফোটান আর যাঁরা ফোটান না—উভয়ের ক্ষেত্রেই আর্থরাইটিস বা বাতের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। অর্থাৎ উভয়ের জন্যই হয় ঝুঁকি নেই কিংবা সমান। তবে দীর্ঘদিন আঙুল ফোটানোর অভ্যাস গড়ে তোলার ফলে যারা আঙুল ফোটান না, তাদের তুলনায় এ ব্যক্তিদের হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি কমে যায়।
আঙুল ফোটানোর সঙ্গে আর্থরাইটিস বা বাতের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে চিকিৎসাবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডেতে দুইটি গবেষণাপত্র উদ্ধৃত করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক ডি এল আনগার নিজে দীর্ঘদিন আঙুল ফুটিয়ে গবেষণা করেন। তিনি ৫০ বছর দিনে অন্তত দুইবার তার বাম হাতের আঙুল ফোটাতেন। তবে ডান হাতে এ অভ্যাস গড়া থেকে বিরত থাকেন। তিনি তার কোনো হাতেই বাত রোগ হতে দেখেননি এবং দুই হাতের মধ্যে কোনো পার্থক্যও দেখেননি। পরিশেষে তিনি সিদ্ধান্তে আসেন, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বাতের কোনো সম্পর্ক নেই।
২০১১ সালে হওয়া আরেকটি গবেষণায় বাত আক্রান্ত ২১৫ রোগীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ ২১৫ জনের মধ্যে ২০ শতাংশ ছিলেন, যারা নিয়মিত আঙুল ফোটাতেন। এদের মধ্যে আঙুল ফোটাতেন না, কিন্তু বাতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। অপরদিকে যারা আঙুল ফোটাতেন, তাদের সংখ্যা ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এই গবেষকেরা এসব ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আসেন যে, যাঁরা অভ্যাসবশত আঙুল ফোটান আর যাঁরা ফোটান না—উভয়ের ক্ষেত্রেই আর্থরাইটিস বা বাতের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সমান।
কানাডার আর্থরাইটিস সোসাইটি আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বাতের সম্পর্ককে প্রচলিত ধারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ফিজিওথেরাপিস্ট অশিমা নারায়ণ বলেন, আঙুল ফোটানোর ফলে বাত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে অতিরিক্ত আঙুল ফোটালে আঙ্গুলের লিগামেন্ট বা টেন্ডনের ক্ষতি হতে পারে এবং এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি হ্রাস পেতে পারে।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের ওয়েবসাইটেও একই তথ্য দেওয়া হয়েছে। আঙুল ফোটানোর ফলে বাত হয় না। তবে এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করা উচিত। কারণ প্রতিনিয়ত আঙুল ফোটানো হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
সিদ্ধান্ত
ঘুম থেকে উঠে বা একটানা কাজের পর শরীরের জড়তা কাটাতে মানুষ আঙুল ফোটায়। এসময় আঙুল ফোটানো ও ফোটার মট মট শব্দ ব্যক্তিকে প্রশান্তি দেয়, অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। যদিও বলা হয়, আঙুল ফোটানো বাতরোগ বা আর্থরাইটিস দিকে ঠেলে দেয়। তবে চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আঙুল ফোটানোর সঙ্গে বাত রোগের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা আঙুল ফোটান ও যারা ফোটান না—উভয়ের ক্ষেত্রেই আর্থরাইটিস বা বাতের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সমান। তবে অতিরিক্ত আঙুল ফোটানো হাত মুষ্টিবদ্ধ করার শক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে