ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট করছেন। দাবি করা হচ্ছে, ১৯৯৯ সালে ইউক্রেন সেনারা একজন মুসলিমকে তাঁর স্ত্রীর সামনে গুলি করে হত্যা করেছিল। এটি সেই ঘটনার ভিডিও।
১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিওটিতে দেখা যায়, কিছু সেনাসদস্য রাইফেল হাতে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় তিন ব্যক্তি একজন আরেকজনকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আহাজারি করছেন।
ভিডিওর ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের সময় একজন সেনাসদস্য পুরুষ ব্যক্তিকে গুলি করেন। নারীটি সে সময় চিৎকার করতে থাকেন। ভিডিওটিতে ওই নারীর মাথায় হিজাব ও পুরুষের মাথায় টুপি দেখা যাচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
ফ্যাক্টচেকের নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার ইনভিডের মাধ্যমে রিভার্স ইমেজ সার্চ প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিওটির মূল ভার্সন খুঁজে পাওয়া যায় ইউটিউবে।
২০২১ সালের ২৯ মার্চ আপলোড করা ইউটিউবের ওই ভিডিওর ক্যাপশনটি গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে অনুবাদ করে জানা যায় এটি ১৯৯৯ সালের যুদ্ধবিধ্বস্ত চেচনিয়ার প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি ফরাসি চলচ্চিত্রের অংশ। ইউটিউবের ক্যাপশনটি রুশ ভাষায় লেখা হয়েছে।
অস্কার জয়ী ফরাসি পরিচালক মাইকেল হ্যাজানাভিকাস (Michel Hazanavicius) ২০১৪ সালে দ্য সার্চ নামের এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ইউটিউবে প্রকাশিত ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ চলচ্চিত্রের শুরুর দিকেই (৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড) সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। চলচ্চিত্রের এই অংশ সত্য ঘটনা অবলম্বনে ফুটেজ আকারে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসলামিক ইন্টারন্যশনাল পিস কিপিং ব্রিগেড (IIPB) দাগেস্তান দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে রাশিয়ান ফেডারেশন ১৯৯৯ সালের ২৬ আগস্ট দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ শুরু করে। ২০০০ সালের মে মাসে চেচনিয়ায় প্রত্যক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা করে রাশিয়া। কিন্তু ককেশাস অঞ্চলজুড়ে চেচেন মুজাহিদদের তীব্র প্রতিরোধ সংগ্রামের কারণে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার ফলশ্রুতিতে ১৬ এপ্রিল ২০০৯ সালে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদ নির্মূল অভিযান’ শেষ করে।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ফেসবুকে ১৯৯৯ সালে ইউক্রেন সেনাদের দ্বারা একজন ব্যক্তিকে হত্যা করার দৃশ্য বলে যে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে, সেটি মূলত একটি চলচ্চিত্র থেকে নেওয়া। চলচ্চিত্রটি ১৯৯৯ সালের যুদ্ধবিধ্বস্ত চেচনিয়ার প্রেক্ষাপটে নির্মিত।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট করছেন। দাবি করা হচ্ছে, ১৯৯৯ সালে ইউক্রেন সেনারা একজন মুসলিমকে তাঁর স্ত্রীর সামনে গুলি করে হত্যা করেছিল। এটি সেই ঘটনার ভিডিও।
১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিওটিতে দেখা যায়, কিছু সেনাসদস্য রাইফেল হাতে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় তিন ব্যক্তি একজন আরেকজনকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আহাজারি করছেন।
ভিডিওর ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের সময় একজন সেনাসদস্য পুরুষ ব্যক্তিকে গুলি করেন। নারীটি সে সময় চিৎকার করতে থাকেন। ভিডিওটিতে ওই নারীর মাথায় হিজাব ও পুরুষের মাথায় টুপি দেখা যাচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
ফ্যাক্টচেকের নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার ইনভিডের মাধ্যমে রিভার্স ইমেজ সার্চ প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিওটির মূল ভার্সন খুঁজে পাওয়া যায় ইউটিউবে।
২০২১ সালের ২৯ মার্চ আপলোড করা ইউটিউবের ওই ভিডিওর ক্যাপশনটি গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে অনুবাদ করে জানা যায় এটি ১৯৯৯ সালের যুদ্ধবিধ্বস্ত চেচনিয়ার প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি ফরাসি চলচ্চিত্রের অংশ। ইউটিউবের ক্যাপশনটি রুশ ভাষায় লেখা হয়েছে।
অস্কার জয়ী ফরাসি পরিচালক মাইকেল হ্যাজানাভিকাস (Michel Hazanavicius) ২০১৪ সালে দ্য সার্চ নামের এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ইউটিউবে প্রকাশিত ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ চলচ্চিত্রের শুরুর দিকেই (৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড) সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। চলচ্চিত্রের এই অংশ সত্য ঘটনা অবলম্বনে ফুটেজ আকারে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসলামিক ইন্টারন্যশনাল পিস কিপিং ব্রিগেড (IIPB) দাগেস্তান দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে রাশিয়ান ফেডারেশন ১৯৯৯ সালের ২৬ আগস্ট দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ শুরু করে। ২০০০ সালের মে মাসে চেচনিয়ায় প্রত্যক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা করে রাশিয়া। কিন্তু ককেশাস অঞ্চলজুড়ে চেচেন মুজাহিদদের তীব্র প্রতিরোধ সংগ্রামের কারণে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার ফলশ্রুতিতে ১৬ এপ্রিল ২০০৯ সালে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদ নির্মূল অভিযান’ শেষ করে।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ফেসবুকে ১৯৯৯ সালে ইউক্রেন সেনাদের দ্বারা একজন ব্যক্তিকে হত্যা করার দৃশ্য বলে যে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে, সেটি মূলত একটি চলচ্চিত্র থেকে নেওয়া। চলচ্চিত্রটি ১৯৯৯ সালের যুদ্ধবিধ্বস্ত চেচনিয়ার প্রেক্ষাপটে নির্মিত।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৩ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে