আমিল খানের ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে, এই প্রক্রিয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, ব্রিটেনে কট্টর ডানপন্থী কনটেন্ট ছড়ানোর আগে, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ব্রিটিশ রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন মুখরোচক গল্প প্রচার/প্রকাশ করে ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করেছে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার হয়ে যাওয়ার পর এই স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ভোল পাল্টে ফেলে।
মাইক্রোসফটের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স দেখতে পেয়েছে, চীনা স্টর্ম–১৩৭৬ এই নতুন বিতরণ পদ্ধতি অনুসরণ করেই হাওয়াইয়ের দাবানলের ব্যাপারে গুজব ছড়িয়েছিল। একই সঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে জাপান সরকারের সমালোচনাও করেছে। এমনকি, ২০২৩ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পেছনেও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছে এই চীনা প্ল্যাটফর্ম থেকে।
যখন অনেকগুলো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কোনো একটি বিষয়ে ঠিক একই ধরনের শব্দ বা শব্দবন্ধ ব্যবহার করে—তখন সেখান থেকে সিআইবি বা কো–অর্ডিনেটেড ইন–অথেনটিক বিহেভিয়র বা সমন্বিতভাবে অপতথ্য ছড়ানোর কৌশলকে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়। যেমন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো একটি ন্যারেটিভ বা বয়ান ভাইরাল বা ‘ট্রেন্ডে’ পরিণত হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন নির্দিষ্ট ওই ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় একই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে পোস্ট শেয়ার করা হয়, তখন বুঝতে হবে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’!
এই অবস্থায় অপতথ্য নিয়ে কাজ করা পক্ষগুলোর জন্য সেগুলোর উৎস সন্ধানের বিষয়টি তুলনামূলক সহজ হয়। বিশেষ করে, যখন একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ধরনের অপতথ্য শেয়ার করা হয়, তখন অপতথ্য শনাক্তকারী পক্ষগুলো বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে যে নির্দিষ্ট একটি কনটেন্ট সৃষ্টি ও শেয়ার করা হয়েছে সেটির দিন–তারিখ ও ফলোয়ার সংখ্যা যাচাই বাছাই করে দেখতে পারে। সাধারণত, এসব স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ ভুয়া ফলোয়ার কিনে রাখে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা উপস্থাপনের জন্য।
কিন্তু নতুন যে পদ্ধতিতে বর্তমানে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সেখানে সিডার ও স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কারণ, সিডাররা একটি নির্দিষ্ট ন্যারেটিভ প্রচার করে। কিন্তু স্প্রেডাররা যেসব কনটেন্ট প্রচার করে, সেগুলোর সঙ্গে সিডারদের কনটেন্টের গুণগত তফাৎ থাকে।
ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট এআই ব্যবহার করে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম ‘আরিয়াডনে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নির্দিষ্ট কোনো একটি ইস্যুর কনটেন্ট নিয়ে তা সূক্ষ্মভাবে যাচাইবাছাই করে দেখে। সেই কনটেন্টগুলো অস্বাভাবিক কিন্তু সমন্বিত কার্যক্রমের ওপর নজরদারি চালিয়ে সেগুলোর সাধারণ বয়ান ও মতাদর্শ শনাক্ত করে। এ বিষয়ে আমিল খান বলেন, ‘আগে যেখানে নির্দিষ্ট কী–ওয়ার্ড ধরে কাজ করা হতো, সেখানে এখন মতাদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে কাজ করা হয়, যা আমরা আগে কখনো করিনি।’
সামাজিক মাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার ঘটানো অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করার আরও একটি উপায় বাতলেছে ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক মারিয়াম সাইদি ও তাঁর সহকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ ফারসি ভাষার ৬ কোটি ২০ লাখ টুইট পরীক্ষা করে দেখেছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়কার পোস্ট ছিল সেগুলো। মূলত, সে সময় কোন কোন অ্যাকাউন্ট অপতথ্যের স্প্রেডার হিসেবে কাজ করেছে তা এআইয়ের সহায়তায় শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁরা। মারিয়াম এবং তাঁর সহকর্মীরা দেখেছেন, এ ক্ষেত্রে স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো প্রথম দিকে সরকারবিরোধীদের পক্ষে ছিল। কিন্তু পরে আস্থা অর্জন করে সরকারের পক্ষে কনটেন্ট প্রচার করতে শুরু করে।
এ ধরনের অ্যাকাউন্টগুলোকে গবেষকেরা ‘প্রতারক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সাধারণ বিবেচনায়ও তাঁরা কিছু স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছিলেন। এরপরই মূলত নিজেদের তৈরি অ্যালগরিদম দিয়ে এ ধরনের সাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের বিপুলসংখ্যক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পান। অ্যাকাউন্টগুলোর পোস্ট করার ধরন, ফলোয়ারের সংখ্যা, নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগের ব্যবহার, অ্যাকাউন্টগুলো তৈরির দিন–তারিখ এবং অন্যান্য বিষয় শনাক্ত করেন। এরপর গবেষকেরা নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে প্রায় ৯৪ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো শনাক্ত করেন। যেমন, একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অন্য অ্যাকাউন্টের কী ধরনের সম্পর্ক আছে সেগুলো তাঁরা এআইয়ের সাহায্যে খুব সহজেই বের করতে পারেন।
গবেষকেরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে অপতথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা আছে কিংবা যেসব অ্যাকাউন্ট অপতথ্য ছড়ায় তা সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। তাঁরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এই নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিস পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট থেকে কী পরিমাণ প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে তা হিসাব করতে পারবে। এমনকি চাইলে প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে এসব অ্যাকাউন্টের চরিত্র উন্মোচন করতে পারবে।
তবে গবেষকেরা এখনই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন না। তাঁরা বলছেন, এখনো এই প্রতারক শনাক্তকরণ অ্যালগরিদমের উন্নয়ন সম্ভব। বিশেষ করে, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এবং ডিপ লার্নিংয়ের সহায়তায় এই অ্যালগরিদমের উন্নতি আরও দ্রুত করা সম্ভব।
কোনো সন্দেহ নেই যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের বিশ্লেষণ এরই মধ্যে করছে। তবে, তারা সাধারণত তাদের বিশ্লেষণের ডেটা অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে খুব একটা আগ্রহী নয়। যেমন, মেটা কেবল জানিয়েছে যে, তারা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতে এর যেসব নীতিমালা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বহু বছর ধরে ‘ইনটিগ্রিটি সিস্টেমে’ এআই ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গবেষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সব ধরনের অপতথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য কোনো একক পদ্ধতি কাজে আসবে না।
তবে এআই একটি ভিন্ন উপায়ে অপতথ্য মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে, বিভিন্ন পোস্ট, নিবন্ধ, অডিও ক্লিপ বা ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কনটেন্ট সরাসরি চিহ্নিত করতে পারে এআই। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সের বিশেষ প্রকল্প—গবেষণা শাখা (ডারপা) ‘সিম্যান্টিক ফরেনসিকস’—প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জাল বা বিকৃত বৈশিষ্ট্যযুক্ত কনটেন্ট শনাক্ত করার গবেষণায় অর্থায়ন করছে।
চলতি বছরের মার্চে ডারপা ওপেন সোর্স রিপোজিটরি প্রকাশ করেছে। যেখানে ডাউনলোডযোগ্য সোর্স কোডের লিংকসহ ‘ডিপফেক’ শনাক্তকরণের একটি অ্যালগরিদম রয়েছে। এর লক্ষ্য হলো, একাডেমিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের অপতথ্য ছড়াতে ভূমিকা রাখা অ্যাকাউন্টগুলোকে শনাক্ত করার প্রয়োজনীয় টুলগুলোর সমন্বয় করতে, উন্নত করতে উৎসাহিত করা।
এ বিষয়ে ডারপার ড. উইল করভি বলেন, সাধারণত অপতথ্য শনাক্তকরণে একক কোনো টুল বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু অনেকগুলো টুল একত্র করলে অপতথ্য শনাক্ত করার ক্ষেত্রে নির্ভুলতা বাড়তে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কোনো একজন রাজনীতিবিদের ফাঁস হওয়া ভিডিও বা অডিও আসল কিনা—তা যাচাই করা কঠিন। কারণ, সেই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য পাওয়া নাও যেতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রামাণিক তথ্য ব্যবহার করে এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।
এআইকে ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য শিখিয়ে—যেমন কথা বলার সময় ব্যক্তি মাথা নাড়ায় কিনা, তাঁর মুখের নড়াচড়ার ধরন কেমন ইত্যাদি—এরপর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সন্দেহজনক ডিপফেক কনটেন্ট বিশ্লেষণে ব্যবহার করা যেতে পারে। আরও ভালো ফল পাওয়ার জন্য ব্যক্তির হার্টবিট পর্যন্ত রেকর্ড করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে উল কার্ভি বলেন, এটি অন্যান্য কৌশলগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে। কারণ ভিডিও থেকে হার্টবিট শনাক্ত করা সম্ভব এবং প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি জাল করা কঠিন। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কপালের ভাঁজ বা কুঞ্চন পর্যন্ত রেকর্ড করে ডিপফেকের সঙ্গে মিলিয়ে পাঠ করা যেতে পারে। যা নির্ভুলতা আরও বাড়াবে।
এমন সমন্বিত উদ্যোগের ক্ষেত্রে ডারপাই একমাত্র জায়গা নয়। অ্যালেন ইনস্টিটিউট ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাবেক প্রধান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ওরেন ইটিজিওনি ট্রুমিডিয়া নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অপতথ্য শনাক্তকরণ টুলগুলোতে সবার প্রবেশাধিকার প্রসারিত করতে তিনি এই উদ্যোগ নেন। গত ২ এপ্রিল ট্রুমিডিয়া একটি ওয়েবসাইট উন্মোচন করেছে যা বিনা মূল্যের ওয়েব ইন্টারফেসের মাধ্যমে ওপেন–সোর্স ও বাণিজ্যিক টুলগুলোকে ব্যবহার করে সিনথেটিক বা ম্যানিপুলেটেড ছবি, ভিডিও ও অডিও শনাক্ত করার জন্য একটি ওয়ান–স্টপ পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে।
মেটার হেড অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স নিক ক্লেগ বলছেন, নেতিবাচক কনটেন্টের কথা এলে এআই একই সঙ্গে তলোয়ার এবং ঢাল হিসেবেই কাজ করে। অনেকটা যেন, ‘সর্প হইয়া দংশন করও, ওঝা হইয়া ঝাড়ো’–এর মতো। ড. উইল কার্ভি বলছেন, তিনি আশাবাদী যে, এআই–চালিত প্রতিরক্ষামূলক শনাক্তকরণ টুলগুলো অপতথ্য উৎপাদক টুলগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে।
তবে হতাশাবাদী লোকও আছেন। যেমন স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরিতে ‘তথ্যপ্রবাহ অধ্যয়নের’ গবেষক রেনে দিরেস্তা বলেন, আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নই। বর্তমানের শনাক্তকরণ টুলগুলো একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভালো কাজ করতে পারে। মূলত, যখন এই টুলগুলোর হাতে অনেক বেশি সময় থাকে তখন ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই টুলগুলোকে দ্রুত কাজ করতে দিলে তা থেকে খুব দ্রুত ফল আসে না।
রেনে দিরেস্তার মতে, আরও গভীর সংকট আছে। সেটি হলো মানুষের মনস্তত্ত্ব। তিনি বলছেন, ধরা যাক, যথা সময়েই ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করা সম্ভব হলো। কিন্তু এরপরও অনেকে বিশ্বাস করবে না যে, এটি ফেক। উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ার নির্বাচনের সময় ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপের কথা উল্লেখ করেন। যে ক্লিপে কয়েকজন রাজনীতিবিদকে নির্বাচনে জালিয়াতি করার বিষয়ে এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনা করতে শোনা যায়। পরে সেই রাজনীতিবিদ নির্বাচনে হেরে যান। অথচ সেই অডিও ক্লিপ তাঁর ছিলই না, যা পরে প্রমাণিত হয়।
রেনে দিরেস্তা বলছেন, ‘সাধারণত মানুষ ফ্যাক্টচেকারকে পছন্দ না করলে, তাঁর বা তাদের ফ্যাক্টচেকিংও পছন্দ না করে না। তারা ফ্যাক্টচেক আমলেই নিতে চায় না। সোজা কথায়, বিভ্রান্তি প্রশমনের জন্য কেবল প্রযুক্তি নয়, আরও অনেক বেশি কিছু প্রয়োজন।’
চলবে...
আমিল খানের ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে, এই প্রক্রিয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, ব্রিটেনে কট্টর ডানপন্থী কনটেন্ট ছড়ানোর আগে, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ব্রিটিশ রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন মুখরোচক গল্প প্রচার/প্রকাশ করে ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করেছে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার হয়ে যাওয়ার পর এই স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ভোল পাল্টে ফেলে।
মাইক্রোসফটের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স দেখতে পেয়েছে, চীনা স্টর্ম–১৩৭৬ এই নতুন বিতরণ পদ্ধতি অনুসরণ করেই হাওয়াইয়ের দাবানলের ব্যাপারে গুজব ছড়িয়েছিল। একই সঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে জাপান সরকারের সমালোচনাও করেছে। এমনকি, ২০২৩ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পেছনেও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছে এই চীনা প্ল্যাটফর্ম থেকে।
যখন অনেকগুলো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কোনো একটি বিষয়ে ঠিক একই ধরনের শব্দ বা শব্দবন্ধ ব্যবহার করে—তখন সেখান থেকে সিআইবি বা কো–অর্ডিনেটেড ইন–অথেনটিক বিহেভিয়র বা সমন্বিতভাবে অপতথ্য ছড়ানোর কৌশলকে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়। যেমন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো একটি ন্যারেটিভ বা বয়ান ভাইরাল বা ‘ট্রেন্ডে’ পরিণত হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন নির্দিষ্ট ওই ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় একই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে পোস্ট শেয়ার করা হয়, তখন বুঝতে হবে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’!
এই অবস্থায় অপতথ্য নিয়ে কাজ করা পক্ষগুলোর জন্য সেগুলোর উৎস সন্ধানের বিষয়টি তুলনামূলক সহজ হয়। বিশেষ করে, যখন একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ধরনের অপতথ্য শেয়ার করা হয়, তখন অপতথ্য শনাক্তকারী পক্ষগুলো বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে যে নির্দিষ্ট একটি কনটেন্ট সৃষ্টি ও শেয়ার করা হয়েছে সেটির দিন–তারিখ ও ফলোয়ার সংখ্যা যাচাই বাছাই করে দেখতে পারে। সাধারণত, এসব স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ ভুয়া ফলোয়ার কিনে রাখে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা উপস্থাপনের জন্য।
কিন্তু নতুন যে পদ্ধতিতে বর্তমানে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সেখানে সিডার ও স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কারণ, সিডাররা একটি নির্দিষ্ট ন্যারেটিভ প্রচার করে। কিন্তু স্প্রেডাররা যেসব কনটেন্ট প্রচার করে, সেগুলোর সঙ্গে সিডারদের কনটেন্টের গুণগত তফাৎ থাকে।
ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট এআই ব্যবহার করে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম ‘আরিয়াডনে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নির্দিষ্ট কোনো একটি ইস্যুর কনটেন্ট নিয়ে তা সূক্ষ্মভাবে যাচাইবাছাই করে দেখে। সেই কনটেন্টগুলো অস্বাভাবিক কিন্তু সমন্বিত কার্যক্রমের ওপর নজরদারি চালিয়ে সেগুলোর সাধারণ বয়ান ও মতাদর্শ শনাক্ত করে। এ বিষয়ে আমিল খান বলেন, ‘আগে যেখানে নির্দিষ্ট কী–ওয়ার্ড ধরে কাজ করা হতো, সেখানে এখন মতাদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে কাজ করা হয়, যা আমরা আগে কখনো করিনি।’
সামাজিক মাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার ঘটানো অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করার আরও একটি উপায় বাতলেছে ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক মারিয়াম সাইদি ও তাঁর সহকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ ফারসি ভাষার ৬ কোটি ২০ লাখ টুইট পরীক্ষা করে দেখেছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়কার পোস্ট ছিল সেগুলো। মূলত, সে সময় কোন কোন অ্যাকাউন্ট অপতথ্যের স্প্রেডার হিসেবে কাজ করেছে তা এআইয়ের সহায়তায় শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁরা। মারিয়াম এবং তাঁর সহকর্মীরা দেখেছেন, এ ক্ষেত্রে স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো প্রথম দিকে সরকারবিরোধীদের পক্ষে ছিল। কিন্তু পরে আস্থা অর্জন করে সরকারের পক্ষে কনটেন্ট প্রচার করতে শুরু করে।
এ ধরনের অ্যাকাউন্টগুলোকে গবেষকেরা ‘প্রতারক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সাধারণ বিবেচনায়ও তাঁরা কিছু স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছিলেন। এরপরই মূলত নিজেদের তৈরি অ্যালগরিদম দিয়ে এ ধরনের সাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের বিপুলসংখ্যক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পান। অ্যাকাউন্টগুলোর পোস্ট করার ধরন, ফলোয়ারের সংখ্যা, নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগের ব্যবহার, অ্যাকাউন্টগুলো তৈরির দিন–তারিখ এবং অন্যান্য বিষয় শনাক্ত করেন। এরপর গবেষকেরা নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে প্রায় ৯৪ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো শনাক্ত করেন। যেমন, একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অন্য অ্যাকাউন্টের কী ধরনের সম্পর্ক আছে সেগুলো তাঁরা এআইয়ের সাহায্যে খুব সহজেই বের করতে পারেন।
গবেষকেরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে অপতথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা আছে কিংবা যেসব অ্যাকাউন্ট অপতথ্য ছড়ায় তা সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। তাঁরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এই নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিস পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট থেকে কী পরিমাণ প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে তা হিসাব করতে পারবে। এমনকি চাইলে প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে এসব অ্যাকাউন্টের চরিত্র উন্মোচন করতে পারবে।
তবে গবেষকেরা এখনই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন না। তাঁরা বলছেন, এখনো এই প্রতারক শনাক্তকরণ অ্যালগরিদমের উন্নয়ন সম্ভব। বিশেষ করে, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এবং ডিপ লার্নিংয়ের সহায়তায় এই অ্যালগরিদমের উন্নতি আরও দ্রুত করা সম্ভব।
কোনো সন্দেহ নেই যে, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের বিশ্লেষণ এরই মধ্যে করছে। তবে, তারা সাধারণত তাদের বিশ্লেষণের ডেটা অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে খুব একটা আগ্রহী নয়। যেমন, মেটা কেবল জানিয়েছে যে, তারা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতে এর যেসব নীতিমালা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বহু বছর ধরে ‘ইনটিগ্রিটি সিস্টেমে’ এআই ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গবেষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সব ধরনের অপতথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য কোনো একক পদ্ধতি কাজে আসবে না।
তবে এআই একটি ভিন্ন উপায়ে অপতথ্য মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে, বিভিন্ন পোস্ট, নিবন্ধ, অডিও ক্লিপ বা ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কনটেন্ট সরাসরি চিহ্নিত করতে পারে এআই। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সের বিশেষ প্রকল্প—গবেষণা শাখা (ডারপা) ‘সিম্যান্টিক ফরেনসিকস’—প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জাল বা বিকৃত বৈশিষ্ট্যযুক্ত কনটেন্ট শনাক্ত করার গবেষণায় অর্থায়ন করছে।
চলতি বছরের মার্চে ডারপা ওপেন সোর্স রিপোজিটরি প্রকাশ করেছে। যেখানে ডাউনলোডযোগ্য সোর্স কোডের লিংকসহ ‘ডিপফেক’ শনাক্তকরণের একটি অ্যালগরিদম রয়েছে। এর লক্ষ্য হলো, একাডেমিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের অপতথ্য ছড়াতে ভূমিকা রাখা অ্যাকাউন্টগুলোকে শনাক্ত করার প্রয়োজনীয় টুলগুলোর সমন্বয় করতে, উন্নত করতে উৎসাহিত করা।
এ বিষয়ে ডারপার ড. উইল করভি বলেন, সাধারণত অপতথ্য শনাক্তকরণে একক কোনো টুল বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু অনেকগুলো টুল একত্র করলে অপতথ্য শনাক্ত করার ক্ষেত্রে নির্ভুলতা বাড়তে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কোনো একজন রাজনীতিবিদের ফাঁস হওয়া ভিডিও বা অডিও আসল কিনা—তা যাচাই করা কঠিন। কারণ, সেই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য পাওয়া নাও যেতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রামাণিক তথ্য ব্যবহার করে এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।
এআইকে ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য শিখিয়ে—যেমন কথা বলার সময় ব্যক্তি মাথা নাড়ায় কিনা, তাঁর মুখের নড়াচড়ার ধরন কেমন ইত্যাদি—এরপর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সন্দেহজনক ডিপফেক কনটেন্ট বিশ্লেষণে ব্যবহার করা যেতে পারে। আরও ভালো ফল পাওয়ার জন্য ব্যক্তির হার্টবিট পর্যন্ত রেকর্ড করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে উল কার্ভি বলেন, এটি অন্যান্য কৌশলগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে। কারণ ভিডিও থেকে হার্টবিট শনাক্ত করা সম্ভব এবং প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি জাল করা কঠিন। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কপালের ভাঁজ বা কুঞ্চন পর্যন্ত রেকর্ড করে ডিপফেকের সঙ্গে মিলিয়ে পাঠ করা যেতে পারে। যা নির্ভুলতা আরও বাড়াবে।
এমন সমন্বিত উদ্যোগের ক্ষেত্রে ডারপাই একমাত্র জায়গা নয়। অ্যালেন ইনস্টিটিউট ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাবেক প্রধান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ওরেন ইটিজিওনি ট্রুমিডিয়া নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অপতথ্য শনাক্তকরণ টুলগুলোতে সবার প্রবেশাধিকার প্রসারিত করতে তিনি এই উদ্যোগ নেন। গত ২ এপ্রিল ট্রুমিডিয়া একটি ওয়েবসাইট উন্মোচন করেছে যা বিনা মূল্যের ওয়েব ইন্টারফেসের মাধ্যমে ওপেন–সোর্স ও বাণিজ্যিক টুলগুলোকে ব্যবহার করে সিনথেটিক বা ম্যানিপুলেটেড ছবি, ভিডিও ও অডিও শনাক্ত করার জন্য একটি ওয়ান–স্টপ পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে।
মেটার হেড অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স নিক ক্লেগ বলছেন, নেতিবাচক কনটেন্টের কথা এলে এআই একই সঙ্গে তলোয়ার এবং ঢাল হিসেবেই কাজ করে। অনেকটা যেন, ‘সর্প হইয়া দংশন করও, ওঝা হইয়া ঝাড়ো’–এর মতো। ড. উইল কার্ভি বলছেন, তিনি আশাবাদী যে, এআই–চালিত প্রতিরক্ষামূলক শনাক্তকরণ টুলগুলো অপতথ্য উৎপাদক টুলগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে।
তবে হতাশাবাদী লোকও আছেন। যেমন স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরিতে ‘তথ্যপ্রবাহ অধ্যয়নের’ গবেষক রেনে দিরেস্তা বলেন, আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নই। বর্তমানের শনাক্তকরণ টুলগুলো একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভালো কাজ করতে পারে। মূলত, যখন এই টুলগুলোর হাতে অনেক বেশি সময় থাকে তখন ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই টুলগুলোকে দ্রুত কাজ করতে দিলে তা থেকে খুব দ্রুত ফল আসে না।
রেনে দিরেস্তার মতে, আরও গভীর সংকট আছে। সেটি হলো মানুষের মনস্তত্ত্ব। তিনি বলছেন, ধরা যাক, যথা সময়েই ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করা সম্ভব হলো। কিন্তু এরপরও অনেকে বিশ্বাস করবে না যে, এটি ফেক। উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ার নির্বাচনের সময় ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপের কথা উল্লেখ করেন। যে ক্লিপে কয়েকজন রাজনীতিবিদকে নির্বাচনে জালিয়াতি করার বিষয়ে এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনা করতে শোনা যায়। পরে সেই রাজনীতিবিদ নির্বাচনে হেরে যান। অথচ সেই অডিও ক্লিপ তাঁর ছিলই না, যা পরে প্রমাণিত হয়।
রেনে দিরেস্তা বলছেন, ‘সাধারণত মানুষ ফ্যাক্টচেকারকে পছন্দ না করলে, তাঁর বা তাদের ফ্যাক্টচেকিংও পছন্দ না করে না। তারা ফ্যাক্টচেক আমলেই নিতে চায় না। সোজা কথায়, বিভ্রান্তি প্রশমনের জন্য কেবল প্রযুক্তি নয়, আরও অনেক বেশি কিছু প্রয়োজন।’
চলবে...
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।
সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।
সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
আমিল খানের ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে, এই প্রক্রিয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, ব্রিটেনে কট্টর ডানপন্থী কনটেন্ট ছড়ানোর আগে, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ব্রিটিশ রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন মুখরোচক গল্প প্রচার/প্রকাশ করে ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করেছ
০৮ মে ২০২৪গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫বাসস
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’
আমিল খানের ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে, এই প্রক্রিয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, ব্রিটেনে কট্টর ডানপন্থী কনটেন্ট ছড়ানোর আগে, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ব্রিটিশ রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন মুখরোচক গল্প প্রচার/প্রকাশ করে ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করেছ
০৮ মে ২০২৪একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।
আমিল খানের ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে, এই প্রক্রিয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, ব্রিটেনে কট্টর ডানপন্থী কনটেন্ট ছড়ানোর আগে, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ব্রিটিশ রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন মুখরোচক গল্প প্রচার/প্রকাশ করে ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করেছ
০৮ মে ২০২৪একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)
সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)
সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
আমিল খানের ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে, এই প্রক্রিয়ার আরও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে রাশিয়া থেকে ইউরোপে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে, ব্রিটেনে কট্টর ডানপন্থী কনটেন্ট ছড়ানোর আগে, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো ব্রিটিশ রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন মুখরোচক গল্প প্রচার/প্রকাশ করে ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করেছ
০৮ মে ২০২৪একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫