ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশ জুড়ে চলছে বিভিন্ন কর্মসূচি। গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) তাঁদের প্রার্থনা ও ছাত্রজনতার গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। সিলেটে এ কর্মসূচি পালনকালে আখালিয়া, মদিনা মার্কেট এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক কিশোরও আহত হয়। আহত ওই কিশোরকে এক পুলিশ সদস্য জড়িয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
দাবি করা হচ্ছে, ওই কিশোর সিলেট মহানগর ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক আহমদের গুলিতে কিশোর আহত হয়েছে। মাসুক আহমদের ছবি দাবিতে অস্ত্র হাতে হেলমেট পরিহিতি এক ব্যক্তির ছবি প্রচার করা হচ্ছে। ছবি দুটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টা ২২ মিনিটে একই দাবিতে পোস্ট করা হয়।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামি ছাত্র শিবিরের সিলেট মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবিতে ভাইরাল ছবিটি মূলত কক্সবাজারের চকরিয়ার যুবলীগ কর্মী। ভাইরাল ছবিটি তোলা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘটা সংঘর্ষের ঘটনায়। ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট চকরিয়ার পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ‘যুবলীগ নেতার’ অস্ত্র হাতে একটি ছবি ভাইরাল হয়। ভাইরাল এ ছবিকেই সিলেট মহানগর ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক আহমদের সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলি চালানোর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
অস্ত্র হাতে এ যুবলীগ নেতা কে?
অস্ত্র হাতে ভাইরাল এ যুবলীগ নেতার পরিচয় নিয়ে ওই সময় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা। ১৭ আগস্ট ‘কক্সবাজারে সংঘর্ষে ‘যুবলীগ নেতার’ অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অস্ত্র হাতে ওই যুবকের নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি পৌরসভা যুবলীগের আওতাধীন ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
তবে বেলাল উদ্দিন ওই সময় দাবি করেন, ভাইরাল ছবিটি তাঁর নয়। বেলাল বলেন, সংঘর্ষের সময় তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। ছবির ব্যক্তিটি তিনি, সেটি প্রমাণ করতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি ওই সময়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা মিথ্যাচার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দেন বেলাল।
পরে আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল এ ব্যক্তির নাম আব্দুল জলিল। তিনি চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের পশ্চিম সওদাগরঘোনা বাটামনিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন অস্ত্র কারিগর। দেহরক্ষীর মতো করে তিনি সার্বক্ষণিক এমপির সঙ্গেই থাকেন।
এসব প্রতিবেদন থেকে এটি নিশ্চিত যে, সিলেটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলি চালানোর দাবিতে প্রচার করা ভাইরাল ছবিটি ২০২৩ সালে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তোলা এবং এ ব্যক্তি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশ জুড়ে চলছে বিভিন্ন কর্মসূচি। গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) তাঁদের প্রার্থনা ও ছাত্রজনতার গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। সিলেটে এ কর্মসূচি পালনকালে আখালিয়া, মদিনা মার্কেট এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক কিশোরও আহত হয়। আহত ওই কিশোরকে এক পুলিশ সদস্য জড়িয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
দাবি করা হচ্ছে, ওই কিশোর সিলেট মহানগর ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক আহমদের গুলিতে কিশোর আহত হয়েছে। মাসুক আহমদের ছবি দাবিতে অস্ত্র হাতে হেলমেট পরিহিতি এক ব্যক্তির ছবি প্রচার করা হচ্ছে। ছবি দুটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টা ২২ মিনিটে একই দাবিতে পোস্ট করা হয়।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামি ছাত্র শিবিরের সিলেট মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবিতে ভাইরাল ছবিটি মূলত কক্সবাজারের চকরিয়ার যুবলীগ কর্মী। ভাইরাল ছবিটি তোলা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘটা সংঘর্ষের ঘটনায়। ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট চকরিয়ার পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ‘যুবলীগ নেতার’ অস্ত্র হাতে একটি ছবি ভাইরাল হয়। ভাইরাল এ ছবিকেই সিলেট মহানগর ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক আহমদের সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলি চালানোর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
অস্ত্র হাতে এ যুবলীগ নেতা কে?
অস্ত্র হাতে ভাইরাল এ যুবলীগ নেতার পরিচয় নিয়ে ওই সময় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা। ১৭ আগস্ট ‘কক্সবাজারে সংঘর্ষে ‘যুবলীগ নেতার’ অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অস্ত্র হাতে ওই যুবকের নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি পৌরসভা যুবলীগের আওতাধীন ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
তবে বেলাল উদ্দিন ওই সময় দাবি করেন, ভাইরাল ছবিটি তাঁর নয়। বেলাল বলেন, সংঘর্ষের সময় তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। ছবির ব্যক্তিটি তিনি, সেটি প্রমাণ করতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি ওই সময়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা মিথ্যাচার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দেন বেলাল।
পরে আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল এ ব্যক্তির নাম আব্দুল জলিল। তিনি চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের পশ্চিম সওদাগরঘোনা বাটামনিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন অস্ত্র কারিগর। দেহরক্ষীর মতো করে তিনি সার্বক্ষণিক এমপির সঙ্গেই থাকেন।
এসব প্রতিবেদন থেকে এটি নিশ্চিত যে, সিলেটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলি চালানোর দাবিতে প্রচার করা ভাইরাল ছবিটি ২০২৩ সালে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তোলা এবং এ ব্যক্তি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন:
ভিডিওতে একটি স্থাপনার মেঝে ও সিঁড়িতে ভাঙা ইট ছড়ানো এবং আধভাঙা ইটের দেয়াল দেখা যাচ্ছে। টুকরো ইটের ওপরে মই ও ড্রিল মেশিন দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর শেষের দিকে কিছু স্থাপনার স্থিরচিত্রে একটি নামফলক দেখা যাচ্ছে, যেটিতে লেখা ‘মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন’।
১৪ ঘণ্টা আগেভিডিওতে শাড়ি পরিহিত এক নারীকে মাটিতে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তাঁকে ঘিরে রেখেছে একদল শিশু, তরুণ ও মধ্যবয়সী। একটু দূরে কিছুটা নিচু জায়গায় দাঁড়িয়ে নারীদের একটি দল সেই দৃশ্য দেখছে। ভিডিওটির একপর্যায়ে নারীটির দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা যায়। ঢিল নিক্ষেপকারীদের তিনজন মাথায় টুপি, সাদা পাঞ্জাবি
২ দিন আগেযুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৫ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৬ দিন আগে