ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। পূজাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু থেকেই বিভিন্ন দাবিতে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি। এসব ভিডিও, ছবির মধ্যে সত্য ঘটনা যেমন আছে, তেমনি ছড়িয়েছে বিভিন্ন ভুল, বিভ্রান্তিকর তথ্য।
আজ রোববার দুপুর থেকে ফেসবুকে এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বোরকা পরিহিত এক তরুণী পূজামণ্ডপে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এ সময় মণ্ডপের পুরোহিত তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই তরুণী পরে বোরকা খুলে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় পূজার কাজ সম্পন্ন করেন।
‘সুষুপ্ত পাঠক’ নামের ৩০ হাজার ফলোয়ারের পেজে আজ দুপুর সোয়া একটায় ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে দাবি করা হয়, বোরকা পরে ওই তরুণী দুর্গাপূজা করতে মণ্ডপে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখোমুখি হন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভিডিওতে হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এটি দেখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার; কমেন্ট পড়েছে প্রায় ২০০। এ ঘটনাটি সত্য ভেবে কমেন্ট করেছেন। কেউ ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানতে চেয়েছেন।
রাজেশ সিংহ নামে একজন লিখেছেন, ‘এমন ধর্মীয় উদারতা শুধুই সনাতন ধর্মের মানুষদের মাঝেই দেখা যায়। এই কারণেই সনাতন সংস্কৃতির উৎসবগুলো প্রায়ই সর্বজনীন হয়ে থাকে।’ সুমিত অধিকারী নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এই মেয়েটি ধর্মান্তরিত হতে পারে। আগে হিন্দু ছিল পরে নওমুসলিম হয়েছে। তবে আমি শিওর না। কিন্তু পুরোহিত যা করেছেন, সেটাও ভালো। মেয়েটির বোরকার ভেতর বোমা থাকতে পারত। বোরকার ভেতর কুরআন শরীফ নিয়ে প্রতিমার পায়ে রেখে দিতে পারত।’
ভিডিওটি দেখে আপাত মনে হচ্ছে, এটি একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ফুটেজটিতে তারিখ উল্লেখ করা ৩০ সেপ্টেম্বর। পোস্টটিতে ঘটনাটির স্থান উল্লেখ নেই।
পরে ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চে ‘সঞ্জনা গালরানি (Sanjjanaa Galrani)’ নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পাওয়া যায়। পেজটির পরিচয়ে লেখা, সঞ্জনা গালরানি একজন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী। ভিডিওটি পেজটিতে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পোস্ট করা হয়।
পোস্টের ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখা, এটি অপ্রত্যাশিত ছিল। ক্যাপশনের নিচেই একটি ডিসক্লেইমার দেওয়া রয়েছে। এতে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই পেজে অনেক সাজানো ভিডিও, প্যারোডি এবং সচেতনতামূলক ভিডিও রয়েছে। এই শর্ট ফিল্মগুলো শুধু বিনোদন এবং শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ভিডিওগুলোতে ফুটিয়ে তোলা সমস্ত চরিত্র ও পরিস্থিতি কাল্পনিক এবং সচেতনতা বৃদ্ধি, বিনোদন ও মানুষকে শিক্ষিত করাই এসব ভিডিওর উদ্দেশ্যে। পেজটি ঘুরে এমন ডিসক্লেইমার দেওয়া একাধিক ভিডিও পাওয়া যায়।
ভারতীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান নিউজ মিটারের অনুসন্ধানেও ভিডিওটি সাজানো বলে জানানো হয়েছে।
সুতরাং, বোরকা পরে তরুণীর দুর্গাপূজা করতে মণ্ডপে যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়, সাজানো ভিডিও।
আরও পড়ুন:
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। পূজাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু থেকেই বিভিন্ন দাবিতে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি। এসব ভিডিও, ছবির মধ্যে সত্য ঘটনা যেমন আছে, তেমনি ছড়িয়েছে বিভিন্ন ভুল, বিভ্রান্তিকর তথ্য।
আজ রোববার দুপুর থেকে ফেসবুকে এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বোরকা পরিহিত এক তরুণী পূজামণ্ডপে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এ সময় মণ্ডপের পুরোহিত তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই তরুণী পরে বোরকা খুলে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় পূজার কাজ সম্পন্ন করেন।
‘সুষুপ্ত পাঠক’ নামের ৩০ হাজার ফলোয়ারের পেজে আজ দুপুর সোয়া একটায় ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে দাবি করা হয়, বোরকা পরে ওই তরুণী দুর্গাপূজা করতে মণ্ডপে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখোমুখি হন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভিডিওতে হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এটি দেখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার; কমেন্ট পড়েছে প্রায় ২০০। এ ঘটনাটি সত্য ভেবে কমেন্ট করেছেন। কেউ ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানতে চেয়েছেন।
রাজেশ সিংহ নামে একজন লিখেছেন, ‘এমন ধর্মীয় উদারতা শুধুই সনাতন ধর্মের মানুষদের মাঝেই দেখা যায়। এই কারণেই সনাতন সংস্কৃতির উৎসবগুলো প্রায়ই সর্বজনীন হয়ে থাকে।’ সুমিত অধিকারী নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এই মেয়েটি ধর্মান্তরিত হতে পারে। আগে হিন্দু ছিল পরে নওমুসলিম হয়েছে। তবে আমি শিওর না। কিন্তু পুরোহিত যা করেছেন, সেটাও ভালো। মেয়েটির বোরকার ভেতর বোমা থাকতে পারত। বোরকার ভেতর কুরআন শরীফ নিয়ে প্রতিমার পায়ে রেখে দিতে পারত।’
ভিডিওটি দেখে আপাত মনে হচ্ছে, এটি একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ফুটেজটিতে তারিখ উল্লেখ করা ৩০ সেপ্টেম্বর। পোস্টটিতে ঘটনাটির স্থান উল্লেখ নেই।
পরে ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চে ‘সঞ্জনা গালরানি (Sanjjanaa Galrani)’ নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পাওয়া যায়। পেজটির পরিচয়ে লেখা, সঞ্জনা গালরানি একজন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী। ভিডিওটি পেজটিতে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পোস্ট করা হয়।
পোস্টের ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখা, এটি অপ্রত্যাশিত ছিল। ক্যাপশনের নিচেই একটি ডিসক্লেইমার দেওয়া রয়েছে। এতে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই পেজে অনেক সাজানো ভিডিও, প্যারোডি এবং সচেতনতামূলক ভিডিও রয়েছে। এই শর্ট ফিল্মগুলো শুধু বিনোদন এবং শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ভিডিওগুলোতে ফুটিয়ে তোলা সমস্ত চরিত্র ও পরিস্থিতি কাল্পনিক এবং সচেতনতা বৃদ্ধি, বিনোদন ও মানুষকে শিক্ষিত করাই এসব ভিডিওর উদ্দেশ্যে। পেজটি ঘুরে এমন ডিসক্লেইমার দেওয়া একাধিক ভিডিও পাওয়া যায়।
ভারতীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান নিউজ মিটারের অনুসন্ধানেও ভিডিওটি সাজানো বলে জানানো হয়েছে।
সুতরাং, বোরকা পরে তরুণীর দুর্গাপূজা করতে মণ্ডপে যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়, সাজানো ভিডিও।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে