ইন্টারনেটের হাত ধরে প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। এই দুনিয়ায় তথ্যের প্রবাহ এতটাই বেশি যে, কোনটি তথ্য আর কোনটি অপতথ্য সেটি নিশ্চিত হওয়াই কঠিন। আধুনিক দুনিয়ায় অপতথ্য চিহ্নিত করা এবং তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে অপতথ্য কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ছড়ায় সেটি বোঝা জরুরি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রাক্কালে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এক্স ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সাই ইং-ওয়েনের গোপন ইতিহাস’ নামে হাজারো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে উপস্থাপকেরা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় সাই ও তাঁর দল সম্পর্কে একাধিক মিথ্যা তথ্য হাজির করে।
এমনকি নির্বাচনের দিন চীনপন্থী বলে পরিচিত তেরি গৌয়ের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে গৌকে বলতে শোনা যায়, তিনি নির্বাচনে চীনপন্থী প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। অথচ, তেরি গৌ এমন কোনো বক্তব্য দেননি বলে নিজেই জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, তেরি গৌ নিজেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। পরে অবশ্য নভেম্বরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
এসব ভিডিও ও অডিও ক্লিপ সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই ভিডিও ও অডিও ক্লিপগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছিল চীনা প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম স্প্যামোফ্লাজ, ড্রাগনব্রিজ ও স্টর্ম–১৩৭৬ থেকে। চলতি বছরের এপ্রিলে মাইক্রোসফটের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স নামের একটি দল উল্লেখ করে, এই প্রথমবারের মতো তাঁরা প্রমাণ পেয়েছেন যে—একটি রাষ্ট্র এআই ব্যবহার করে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
সাই ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে যেসব ভিডিও ছড়ানো হয়েছিল, সেখানে যেসব উপস্থাপককে হাজির করা হয়েছিল সেগুলোও বাস্তব কোনো চরিত্র নয়। এগুলো তৈরি করা হয়েছিল ক্যাপকাট নামে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে। যার মালিক প্রতিষ্ঠান চীনের বাইটড্যান্স; এটি আবার টিকটকেরও মাতৃপ্রতিষ্ঠান। এই ভিডিওগুলো এত দ্রুত ছড়িয়েছিল যে, একটা সময় প্রতি মিনিটে ১০০ বারেরও বেশি ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খুব দ্রুতই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরও কিছু মানুষ হয়তো সেই ভিডিওগুলো দেখেছেন।
তাইওয়ানের এক কর্মকর্তা তাইপেই টাইমসকে বলেন, চীন সম্ভবত এই ‘অপতথ্য’ ছড়ানোর কৌশলটি অন্যত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাইওয়ানকে পরীক্ষাক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তাইওয়ানের নির্বাচন সম্ভবত এআই দিয়ে তৈরি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার একটি নমুনামাত্র। তাইওয়ানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যেমন অন্য রাষ্ট্রের অপতথ্য দিয়ে ভরে গিয়েছিল, একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রেরও।
চলতি বছরে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। ঠিক এই সময়ে বিভ্রান্তি তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ করে তুলছে নতুন প্রযুক্তি। ফলে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সমস্যাটি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি অনুভূত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য আগামী দুই বছরে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে। এমনকি যুদ্ধ, চরম আবহাওয়া বা মূল্যস্ফীতির চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হবে।
এই বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে, বর্তমান সময়ে ঠিক কী পরিমাণ অপতথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং তা কীভাবে ব্যক্তির মতামত বা আচরণকে প্রভাবিত করে। তবে গবেষকেরা বিভ্রান্তিকর তথ্যের নেটওয়ার্কগুলো কীভাবে কাজ করে এবং জোয়ারের মতো বাড়তে থাকা অপতথ্য কীভাবে শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব সে উপায়গুলোর বিকাশ ঘটাচ্ছেন। তাইওয়ান, সুইডেন ও ব্রাজিলের মতো কিছু দেশ অপতথ্যের সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু নীতি প্রয়োগ করেছে যা অন্যদের জন্য দরকারি শিক্ষা হতে পারে।
অপতথ্য অনেক রূপ ধারণ করতে পারে এবং তা অনেকগুলো দিককে প্রভাবিত করতে পারে। এ বিষয়ে সাবেক সাংবাদিক ও বর্তমানে অপতথ্য নিয়ে কাজ করা আমিল খান বলেন, অনেক বছর ধরেই অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে লাখ লাখ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। একটিমাত্র নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে একই বার্তা লাইক, শেয়ারের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
আমিল খান জানান, বড় পরিসরে এই ‘কো–অর্ডিনেটেড ইন–অথেনটিক বিহেভিয়র (সিআইবি) ’ বা সমন্বিত অনির্ভরযোগ্য তথ্য ছড়ানোর কৌশল ফেসবুক বা এক্সের কিউরেশন অ্যালগরিদমকে বোকা বানাতে পারে। যার ফলে, এই প্ল্যাটফর্মগুলো মনে করে, অপতথ্য ছড়ানোর কনটেন্টগুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। ফলে অ্যালগরিদম নিজ থেকেই এই কনটেন্টগুলোকে প্রকৃত ব্যবহারকারীদের কাছে আরও বেশি বেশি উপস্থাপন করে।
আমিল খানের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট সিআইবির একটি উদাহরণ হাজির করেছে। কিছুদিন আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ডেওউও ইরাক সরকারের একটি নির্মাণকাজের ঠিকাদারি পায় ২৬০ কোটি ডলারে। কিন্তু চীনা অপতথ্যের প্ল্যাটফর্মগুলো এই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে এবং নেতিবাচক তথ্য প্রচার শুরু করে। যাতে করে, ডেওউও-এর ঠিকাদারি বাতিল হয় এবং শেষ পর্যন্ত কাজটি চীনা কোম্পানি পায়।
ওইসব প্রচারণায় ডেওউওকে ‘ইরাকি সম্পদ শোষণের মার্কিন ফ্রন্ট’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এসব ভিডিওতে কিছু বানোয়াট বক্তব্য মার্কিন কর্মকর্তাদের নামে হাজির করে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, আমেরিকা সিনো-ইরাকি সম্পর্ক বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। যদিও ইরাক ও কাতারের বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান এসব অপতথ্যের ব্যাপারে কাজ করে ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে খুব একটা ফায়দা হয়নি।
আমিল খানের মতে, প্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল এসব সিআইবি কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা খুব সহজ হয়ে গেছে। ফেসবুকের মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটা ইদানীং এই কাজটি বেশ সফলতার সঙ্গে করছে। ধীর গতিতে হলেও এক্সও একই কাজ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মেটা অন্তত তিনটি সিআইবি অপারেশনের ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। এসব সিআইবি অপারেশনের উৎস ছিল চীন, ইউক্রেন ও মিয়ানমার। মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে যেসব সিআইবি অপারেশন চালানো হয়েছে, তা রুশ ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসগুলো খুব দ্রুতই শনাক্ত করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু ২০২২ সালের পর থেকে অপতথ্য ছড়ানোর বিষয়টি নতুন রূপ ধারণ করেছে। এই সময় বিভিন্ন ‘ডিনায়াবল এনটিটি’ যেমন, বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানি এবং ট্রল ফার্ম—যেগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ কোনো যোগসূত্র নেই—এরা ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা বিভিন্ন ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট কনটেন্ট শেয়ার করে।
অপতথ্য নিয়ে কাজ করা মার্কিন সংস্থা নিউজগার্ড জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে অপতথ্য ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এআই দিয়ে ওয়েবসাইটের সংখ্যা ৪৯ থেকে বেড়ে ৮০২–এ পৌঁছেছে। এই সাইটগুলোর বেশির ভাগের কনটেন্ট খুবই নিরীহ গোছের, কিন্তু তাতে মিথ্যা তথ্য মিশ্রিত থাকে, যা পাঠক বা দর্শককে সহজেই বিভ্রান্ত করতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে ডিসি উইকলি নামের ওয়েবসাইটের কথাই ধরা যাক। দেখতে মার্কিন মনে হলেও এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে রুশ অপতথ্য প্রচারণার কেন্দ্রে ছিল। এই ওয়েবসাইট থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে, যুদ্ধের দুর্দশার মধ্যেও ওলেনা যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১১ লাখ ডলারের কেনাকাটা করেছেন।
পরে অবশ্য সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা এই প্রচারণাকে ভুয়া প্রমাণ করেন। গবেষকেরা দেখেছেন, ওলেনার বিরুদ্ধে এই প্রোপাগান্ডা ইউটিউবের একটি ভিডিওর মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং পরে তা বেশ কয়েকটি আফ্রিকান ফেক নিউজ ওয়েবসাইট এবং এআই দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত/প্রকাশিত হয়। এরপর রুশ প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্মগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। ওলেনাকে নিয়ে এ সংক্রান্ত কনটেন্টগুলো অন্তত ২০ হাজারবার শেয়ার হয়।
যেসব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট প্রাথমিকভাবে এসব অপতথ্য উৎপাদন ও শেয়ার শুরু করছে সেগুলোকে আমিল খান ‘সিডারস’ বা সূত্রপাতকারী বলে উল্লেখ করছেন এবং যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে কনটেন্টগুলো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলোকে ‘স্প্রেডার’ বা বিস্তারকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। অপতথ্য উৎপাদকেরা এ ধরনের স্প্রেডার ব্যবহার করেই অপতথ্যকে বানের জলের মতো ডিজিটাল পরিসরে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আমিল খানের মতে, এ ধরনের স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো প্রথম দিকে মূলত খেলাধুলা ও স্বল্পবসনা নারীদের ছবি/ভিডিও ব্যবহার করে ফলোয়ার সংগ্রহ করে। এরপর হঠাৎ একদিন সেগুলো ভোল পাল্টে ফেলে এবং সিডার অ্যাকাউন্টগুলোর কনটেন্ট লাইক বা শেয়ার করার মাধ্যমে অপতথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার সহযোগী হয়ে ওঠে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত মেটার থ্রেট রিপোর্টে (ঝুঁকি বিষয়ক প্রতিবেদন) উল্লেখ করা হয়, চীনের স্প্যামোফ্লাজ, স্টর্ম-১৩৭৬-এর মতো অর্ধশতাধিক প্ল্যাটফর্ম মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে তাদের অপতথ্যের কনটেন্ট শেয়ার করার আগে বিভিন্ন ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম—মিডিয়াম, রেডিট ও কৌরায় শেয়ার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কম বয়সী ও প্রযুক্তি বোঝা তরুণেরা স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট তৈরির বড় উৎস। আমিল খান বলছেন, দরিদ্র দেশগুলোতে অপতথ্যের কনটেন্ট ছড়ানোর ক্ষেত্রে রীতিমতো ‘কুটির শিল্প’ দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেমন, এই তরুণেরা বিভিন্ন পেজ তৈরি করে এবং সেগুলোর ফলোয়ার ১ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর তারা টাকার বিনিময়ে সেই অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন অপতথ্য শেয়ারকারী সিডারের কাছে বিক্রি করে।
এই প্রক্রিয়াটিই অপতথ্যের মূল উৎস খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে। কারণ, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলোর মালিকেরা প্রায়ই প্রযুক্তি বিষয়ে অতটা দক্ষ হয় না। এ ছাড়া যে অপতথ্য শেয়ারের মাধ্যমে উপার্জন করে সেটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রায়ই তারা অবগত থাকে না বা থাকার প্রয়োজনও মনে করে না।
স্প্রেডারদে শনাক্ত করা বেশ কঠিন, কারণ তাদের আচরণে কোনো উদ্দেশ্য বা সন্দেহ করার মতো উপাদান থাকে না। অন্তত একটি স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট তৈরির শুরুটা নিছক কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মই থাকে। এই স্প্রেডাররা অপতথ্যের উৎসও নয়। এরা মূলত বড় পরিসরে কনটেন্টের প্রচারকারী। আবার সচেতনভাবে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে অপতথ্য ছড়ানো হয়, সেগুলো একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ে কনটেন্টও শেয়ার করে এবং ধরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে মাঝে মাঝে অপতথ্য ও অন্যান্য কনটেন্ট মিশিয়ে শেয়ার করে।
চলবে...
ইন্টারনেটের হাত ধরে প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। এই দুনিয়ায় তথ্যের প্রবাহ এতটাই বেশি যে, কোনটি তথ্য আর কোনটি অপতথ্য সেটি নিশ্চিত হওয়াই কঠিন। আধুনিক দুনিয়ায় অপতথ্য চিহ্নিত করা এবং তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে অপতথ্য কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ছড়ায় সেটি বোঝা জরুরি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রাক্কালে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এক্স ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সাই ইং-ওয়েনের গোপন ইতিহাস’ নামে হাজারো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে উপস্থাপকেরা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় সাই ও তাঁর দল সম্পর্কে একাধিক মিথ্যা তথ্য হাজির করে।
এমনকি নির্বাচনের দিন চীনপন্থী বলে পরিচিত তেরি গৌয়ের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে গৌকে বলতে শোনা যায়, তিনি নির্বাচনে চীনপন্থী প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। অথচ, তেরি গৌ এমন কোনো বক্তব্য দেননি বলে নিজেই জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, তেরি গৌ নিজেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। পরে অবশ্য নভেম্বরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
এসব ভিডিও ও অডিও ক্লিপ সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই ভিডিও ও অডিও ক্লিপগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছিল চীনা প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম স্প্যামোফ্লাজ, ড্রাগনব্রিজ ও স্টর্ম–১৩৭৬ থেকে। চলতি বছরের এপ্রিলে মাইক্রোসফটের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স নামের একটি দল উল্লেখ করে, এই প্রথমবারের মতো তাঁরা প্রমাণ পেয়েছেন যে—একটি রাষ্ট্র এআই ব্যবহার করে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
সাই ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে যেসব ভিডিও ছড়ানো হয়েছিল, সেখানে যেসব উপস্থাপককে হাজির করা হয়েছিল সেগুলোও বাস্তব কোনো চরিত্র নয়। এগুলো তৈরি করা হয়েছিল ক্যাপকাট নামে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে। যার মালিক প্রতিষ্ঠান চীনের বাইটড্যান্স; এটি আবার টিকটকেরও মাতৃপ্রতিষ্ঠান। এই ভিডিওগুলো এত দ্রুত ছড়িয়েছিল যে, একটা সময় প্রতি মিনিটে ১০০ বারেরও বেশি ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খুব দ্রুতই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরও কিছু মানুষ হয়তো সেই ভিডিওগুলো দেখেছেন।
তাইওয়ানের এক কর্মকর্তা তাইপেই টাইমসকে বলেন, চীন সম্ভবত এই ‘অপতথ্য’ ছড়ানোর কৌশলটি অন্যত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাইওয়ানকে পরীক্ষাক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তাইওয়ানের নির্বাচন সম্ভবত এআই দিয়ে তৈরি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার একটি নমুনামাত্র। তাইওয়ানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যেমন অন্য রাষ্ট্রের অপতথ্য দিয়ে ভরে গিয়েছিল, একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রেরও।
চলতি বছরে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। ঠিক এই সময়ে বিভ্রান্তি তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ করে তুলছে নতুন প্রযুক্তি। ফলে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সমস্যাটি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি অনুভূত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য আগামী দুই বছরে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে। এমনকি যুদ্ধ, চরম আবহাওয়া বা মূল্যস্ফীতির চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হবে।
এই বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে, বর্তমান সময়ে ঠিক কী পরিমাণ অপতথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং তা কীভাবে ব্যক্তির মতামত বা আচরণকে প্রভাবিত করে। তবে গবেষকেরা বিভ্রান্তিকর তথ্যের নেটওয়ার্কগুলো কীভাবে কাজ করে এবং জোয়ারের মতো বাড়তে থাকা অপতথ্য কীভাবে শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব সে উপায়গুলোর বিকাশ ঘটাচ্ছেন। তাইওয়ান, সুইডেন ও ব্রাজিলের মতো কিছু দেশ অপতথ্যের সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু নীতি প্রয়োগ করেছে যা অন্যদের জন্য দরকারি শিক্ষা হতে পারে।
অপতথ্য অনেক রূপ ধারণ করতে পারে এবং তা অনেকগুলো দিককে প্রভাবিত করতে পারে। এ বিষয়ে সাবেক সাংবাদিক ও বর্তমানে অপতথ্য নিয়ে কাজ করা আমিল খান বলেন, অনেক বছর ধরেই অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে লাখ লাখ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। একটিমাত্র নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে একই বার্তা লাইক, শেয়ারের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
আমিল খান জানান, বড় পরিসরে এই ‘কো–অর্ডিনেটেড ইন–অথেনটিক বিহেভিয়র (সিআইবি) ’ বা সমন্বিত অনির্ভরযোগ্য তথ্য ছড়ানোর কৌশল ফেসবুক বা এক্সের কিউরেশন অ্যালগরিদমকে বোকা বানাতে পারে। যার ফলে, এই প্ল্যাটফর্মগুলো মনে করে, অপতথ্য ছড়ানোর কনটেন্টগুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। ফলে অ্যালগরিদম নিজ থেকেই এই কনটেন্টগুলোকে প্রকৃত ব্যবহারকারীদের কাছে আরও বেশি বেশি উপস্থাপন করে।
আমিল খানের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ভ্যালেন্ট প্রজেক্ট সিআইবির একটি উদাহরণ হাজির করেছে। কিছুদিন আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ডেওউও ইরাক সরকারের একটি নির্মাণকাজের ঠিকাদারি পায় ২৬০ কোটি ডলারে। কিন্তু চীনা অপতথ্যের প্ল্যাটফর্মগুলো এই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে এবং নেতিবাচক তথ্য প্রচার শুরু করে। যাতে করে, ডেওউও-এর ঠিকাদারি বাতিল হয় এবং শেষ পর্যন্ত কাজটি চীনা কোম্পানি পায়।
ওইসব প্রচারণায় ডেওউওকে ‘ইরাকি সম্পদ শোষণের মার্কিন ফ্রন্ট’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এসব ভিডিওতে কিছু বানোয়াট বক্তব্য মার্কিন কর্মকর্তাদের নামে হাজির করে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, আমেরিকা সিনো-ইরাকি সম্পর্ক বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। যদিও ইরাক ও কাতারের বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান এসব অপতথ্যের ব্যাপারে কাজ করে ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে খুব একটা ফায়দা হয়নি।
আমিল খানের মতে, প্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল এসব সিআইবি কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা খুব সহজ হয়ে গেছে। ফেসবুকের মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটা ইদানীং এই কাজটি বেশ সফলতার সঙ্গে করছে। ধীর গতিতে হলেও এক্সও একই কাজ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মেটা অন্তত তিনটি সিআইবি অপারেশনের ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। এসব সিআইবি অপারেশনের উৎস ছিল চীন, ইউক্রেন ও মিয়ানমার। মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে যেসব সিআইবি অপারেশন চালানো হয়েছে, তা রুশ ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসগুলো খুব দ্রুতই শনাক্ত করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু ২০২২ সালের পর থেকে অপতথ্য ছড়ানোর বিষয়টি নতুন রূপ ধারণ করেছে। এই সময় বিভিন্ন ‘ডিনায়াবল এনটিটি’ যেমন, বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানি এবং ট্রল ফার্ম—যেগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ কোনো যোগসূত্র নেই—এরা ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা বিভিন্ন ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট কনটেন্ট শেয়ার করে।
অপতথ্য নিয়ে কাজ করা মার্কিন সংস্থা নিউজগার্ড জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে অপতথ্য ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এআই দিয়ে ওয়েবসাইটের সংখ্যা ৪৯ থেকে বেড়ে ৮০২–এ পৌঁছেছে। এই সাইটগুলোর বেশির ভাগের কনটেন্ট খুবই নিরীহ গোছের, কিন্তু তাতে মিথ্যা তথ্য মিশ্রিত থাকে, যা পাঠক বা দর্শককে সহজেই বিভ্রান্ত করতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে ডিসি উইকলি নামের ওয়েবসাইটের কথাই ধরা যাক। দেখতে মার্কিন মনে হলেও এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে রুশ অপতথ্য প্রচারণার কেন্দ্রে ছিল। এই ওয়েবসাইট থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে, যুদ্ধের দুর্দশার মধ্যেও ওলেনা যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১১ লাখ ডলারের কেনাকাটা করেছেন।
পরে অবশ্য সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা এই প্রচারণাকে ভুয়া প্রমাণ করেন। গবেষকেরা দেখেছেন, ওলেনার বিরুদ্ধে এই প্রোপাগান্ডা ইউটিউবের একটি ভিডিওর মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং পরে তা বেশ কয়েকটি আফ্রিকান ফেক নিউজ ওয়েবসাইট এবং এআই দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত/প্রকাশিত হয়। এরপর রুশ প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্মগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। ওলেনাকে নিয়ে এ সংক্রান্ত কনটেন্টগুলো অন্তত ২০ হাজারবার শেয়ার হয়।
যেসব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট প্রাথমিকভাবে এসব অপতথ্য উৎপাদন ও শেয়ার শুরু করছে সেগুলোকে আমিল খান ‘সিডারস’ বা সূত্রপাতকারী বলে উল্লেখ করছেন এবং যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে কনটেন্টগুলো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলোকে ‘স্প্রেডার’ বা বিস্তারকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। অপতথ্য উৎপাদকেরা এ ধরনের স্প্রেডার ব্যবহার করেই অপতথ্যকে বানের জলের মতো ডিজিটাল পরিসরে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আমিল খানের মতে, এ ধরনের স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলো প্রথম দিকে মূলত খেলাধুলা ও স্বল্পবসনা নারীদের ছবি/ভিডিও ব্যবহার করে ফলোয়ার সংগ্রহ করে। এরপর হঠাৎ একদিন সেগুলো ভোল পাল্টে ফেলে এবং সিডার অ্যাকাউন্টগুলোর কনটেন্ট লাইক বা শেয়ার করার মাধ্যমে অপতথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার সহযোগী হয়ে ওঠে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত মেটার থ্রেট রিপোর্টে (ঝুঁকি বিষয়ক প্রতিবেদন) উল্লেখ করা হয়, চীনের স্প্যামোফ্লাজ, স্টর্ম-১৩৭৬-এর মতো অর্ধশতাধিক প্ল্যাটফর্ম মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে তাদের অপতথ্যের কনটেন্ট শেয়ার করার আগে বিভিন্ন ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম—মিডিয়াম, রেডিট ও কৌরায় শেয়ার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কম বয়সী ও প্রযুক্তি বোঝা তরুণেরা স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট তৈরির বড় উৎস। আমিল খান বলছেন, দরিদ্র দেশগুলোতে অপতথ্যের কনটেন্ট ছড়ানোর ক্ষেত্রে রীতিমতো ‘কুটির শিল্প’ দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেমন, এই তরুণেরা বিভিন্ন পেজ তৈরি করে এবং সেগুলোর ফলোয়ার ১ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর তারা টাকার বিনিময়ে সেই অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন অপতথ্য শেয়ারকারী সিডারের কাছে বিক্রি করে।
এই প্রক্রিয়াটিই অপতথ্যের মূল উৎস খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে। কারণ, স্প্রেডার অ্যাকাউন্টগুলোর মালিকেরা প্রায়ই প্রযুক্তি বিষয়ে অতটা দক্ষ হয় না। এ ছাড়া যে অপতথ্য শেয়ারের মাধ্যমে উপার্জন করে সেটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রায়ই তারা অবগত থাকে না বা থাকার প্রয়োজনও মনে করে না।
স্প্রেডারদে শনাক্ত করা বেশ কঠিন, কারণ তাদের আচরণে কোনো উদ্দেশ্য বা সন্দেহ করার মতো উপাদান থাকে না। অন্তত একটি স্প্রেডার অ্যাকাউন্ট তৈরির শুরুটা নিছক কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মই থাকে। এই স্প্রেডাররা অপতথ্যের উৎসও নয়। এরা মূলত বড় পরিসরে কনটেন্টের প্রচারকারী। আবার সচেতনভাবে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে অপতথ্য ছড়ানো হয়, সেগুলো একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ে কনটেন্টও শেয়ার করে এবং ধরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে মাঝে মাঝে অপতথ্য ও অন্যান্য কনটেন্ট মিশিয়ে শেয়ার করে।
চলবে...
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।
সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।
সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
ইন্টারনেটের হাত ধরে প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। এই দুনিয়ায় তথ্যের প্রবাহ এতটাই বেশি যে, কোনটি তথ্য আর কোনটি অপতথ্য সেটি নিশ্চিত হওয়াই কঠিন। আধুনিক দুনিয়ায়, অপতথ্য চিহ্নিত করা এবং তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে অপতথ্য কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ছড়ায় সেটি বোঝা জরু
০৭ মে ২০২৪গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫বাসস
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’
ইন্টারনেটের হাত ধরে প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। এই দুনিয়ায় তথ্যের প্রবাহ এতটাই বেশি যে, কোনটি তথ্য আর কোনটি অপতথ্য সেটি নিশ্চিত হওয়াই কঠিন। আধুনিক দুনিয়ায়, অপতথ্য চিহ্নিত করা এবং তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে অপতথ্য কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ছড়ায় সেটি বোঝা জরু
০৭ মে ২০২৪একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।
ইন্টারনেটের হাত ধরে প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। এই দুনিয়ায় তথ্যের প্রবাহ এতটাই বেশি যে, কোনটি তথ্য আর কোনটি অপতথ্য সেটি নিশ্চিত হওয়াই কঠিন। আধুনিক দুনিয়ায়, অপতথ্য চিহ্নিত করা এবং তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে অপতথ্য কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ছড়ায় সেটি বোঝা জরু
০৭ মে ২০২৪একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)
সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)
সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
ইন্টারনেটের হাত ধরে প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। এই দুনিয়ায় তথ্যের প্রবাহ এতটাই বেশি যে, কোনটি তথ্য আর কোনটি অপতথ্য সেটি নিশ্চিত হওয়াই কঠিন। আধুনিক দুনিয়ায়, অপতথ্য চিহ্নিত করা এবং তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে অপতথ্য কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ছড়ায় সেটি বোঝা জরু
০৭ মে ২০২৪একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫