মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পিঁপড়াখালী গ্রামে পায়রা নদীর ধারেই টিনের বাড়ি হারুন সিকদারের। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে তাঁর আতঙ্কে দিন কাটে। বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এবারও তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে ঘরের অবস্থা কেমন হবে, তা ভাবাচ্ছে তাঁকে।
বেড়িবাঁধের চিত্র দেখতে গত রোববার পিঁপড়াখালী গ্রামে গেলে কথা হয় হারুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘খবরে হোনলাম, বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বেড়িবাঁধটা ভাঙা। এইবার বান আইলে কোম্মে যামু আল্লায় জানে। নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পটুয়াখালী কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশ মির্জাগঞ্জে। আর ঝুঁকিপূর্ণ ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ ও কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবারের ঘরবাড়ি। মির্জাগঞ্জের হারুন সিকদারসহ গত রোববার রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়।
তাঁরা জানান, রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙ্গা, চরমোন্তাজ, চর আন্ডা; কলাপাড়ায় নিজামপুর, চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, দেবপুর এবং মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালিকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরা এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। ফলে প্রতিবছরই এসব এলাকা ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে অনেকে জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। ফসলের সম্ভাব্য ক্ষতি যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারাও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফাহিম হোসেন বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৫ গ্রাম তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িসহ পুকুর ও ধানখেতে। অর্থাৎ জোয়ারে ডুবে থাকে এবং ভাটায় জেগে ওঠে এই ইউনিয়ন।
উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বসবাস প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের। এ তথ্য জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে সামশুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ইউনিয়নটি সাগরের একেবারে কাছে হলেও অনেক স্থানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে ঝড়, বন্যা হলে এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকে।
মির্জাগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার বলেন, সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নির্দেশনা দেওয়ামাত্র পূর্বপ্রস্তুতি শুরু করা হবে।
আর বেহাল বেড়িবাঁধ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন কলাপাড়ার লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হোসেন। বলেন, ‘১৪-১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় চলছে। এরপরও মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা লাঘবে টেকসই কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ।’
এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংস্কার করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আছে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
আর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ৭০৩টির বেশি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পিঁপড়াখালী গ্রামে পায়রা নদীর ধারেই টিনের বাড়ি হারুন সিকদারের। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে তাঁর আতঙ্কে দিন কাটে। বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এবারও তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে ঘরের অবস্থা কেমন হবে, তা ভাবাচ্ছে তাঁকে।
বেড়িবাঁধের চিত্র দেখতে গত রোববার পিঁপড়াখালী গ্রামে গেলে কথা হয় হারুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘খবরে হোনলাম, বড় একটা বান (ঝড়) আইতে আছে। বানের কথা হোনলে চোহে মোহে আর ঘুম থাহে না। বেড়িবাঁধটা ভাঙা। এইবার বান আইলে কোম্মে যামু আল্লায় জানে। নদীতে ভাসা ছাড়া আর উপায় নাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পটুয়াখালী কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশ মির্জাগঞ্জে। আর ঝুঁকিপূর্ণ ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ ও কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবারের ঘরবাড়ি। মির্জাগঞ্জের হারুন সিকদারসহ গত রোববার রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়।
তাঁরা জানান, রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙ্গা, চরমোন্তাজ, চর আন্ডা; কলাপাড়ায় নিজামপুর, চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, দেবপুর এবং মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালিকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরা এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। ফলে প্রতিবছরই এসব এলাকা ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে অনেকে জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। ফসলের সম্ভাব্য ক্ষতি যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারাও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফাহিম হোসেন বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৫ গ্রাম তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে পড়ে মানুষের ঘরবাড়িসহ পুকুর ও ধানখেতে। অর্থাৎ জোয়ারে ডুবে থাকে এবং ভাটায় জেগে ওঠে এই ইউনিয়ন।
উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বসবাস প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের। এ তথ্য জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে সামশুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ইউনিয়নটি সাগরের একেবারে কাছে হলেও অনেক স্থানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে ঝড়, বন্যা হলে এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকে।
মির্জাগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার বলেন, সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নির্দেশনা দেওয়ামাত্র পূর্বপ্রস্তুতি শুরু করা হবে।
আর বেহাল বেড়িবাঁধ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন কলাপাড়ার লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হোসেন। বলেন, ‘১৪-১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় চলছে। এরপরও মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা লাঘবে টেকসই কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ।’
এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংস্কার করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আছে। ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
আর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ৭০৩টির বেশি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫