শিপুল ইসলাম, রংপুর
চার বছর আগেও রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ছিল খানাখন্দ ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। বড় বড় গর্তে জমে থাকা হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো যাত্রীদের। সেই দিন বদলে গেছে। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দ্বিতল ভবনের দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল নজর কাড়ছে যাত্রী, পথচারী, চালক ও বাসশ্রমিকদের।
যাত্রী ও পথচারীরা নান্দনিক এ বাস টার্মিনালে এসে ছবি তুলছেন, ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তবে দীর্ঘ নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগ উন্নয়ন কমিটির অর্থায়ন এবং ১৯৮১ সালে রংপুর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় এই বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়। এরপর ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোনো সংস্কার না হওয়ায় বড় গর্ত আর কাদাপানিতে একাকার হয়ে থাকত টার্মিনালটি। এসব অসুবিধা দূর করতে ২০১৮ সালে শুরু হয় আধুনিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ। এখন দৃশ্যমান দৃষ্টিনন্দন এই টার্মিনালে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন যাত্রীসাধারণসহ পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট সবাই।
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, জাইকা ও জিওবির অর্থায়নে ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩০ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু হলেও শেষ হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকায়। ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২৯ হাজার ৬৪৫ বর্গফুট আয়তনের দ্বিতল নবনির্মিত রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মূল ভবনে রয়েছে ওয়ার্কশপ, ড্রাইভার ও কন্ডাক্টর রিফ্রেশমেন্ট এবং পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা।
এ ছাড়া নিচতলায় ১৪টি টিকিট কাউন্টার, তিনটি এটিএম বুথ, নারীদের নামাজঘর, একটি ডে-কেয়ার সেন্টার, ছয়টি খাবারের দোকান, একটি ওষুধের দোকান, দুটি পাবলিক টয়লেট, যাত্রীদের বসার স্থান এবং একটি লাগেজ এরিয়া। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় থাকছে একটি অত্যাধুনিক মানসম্মত খাবার হোটেল, শিশুদের খেলার রুম, সাতটি দোকান, অত্যাধুনিক ট্রাফিক বিভাগ, কন্ট্রোল রুম, টেকনিক্যাল বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ, অত্যাধুনিক সভাকক্ষ, একটি পাবলিক টয়লেট, ভিআইপি লাউঞ্জ ও ভিআইপি রুম।
বাহন পরিবহনের সুপারভাইজার বাবু বলেন, ‘আমাদের কষ্ট ঘুচেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঝকঝকে-চকচকে বাস টার্মিনাল হলো। এখন আর কাদাপানির ঝামেলা নেই। নবনির্মিত সর্বাধুনিক এই বাস টার্মিনাল নির্মাণের ফলে এখন মহাসড়কে যানজট নিরসন হওয়ার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মানও বাড়বে।’
দিনাজপুরগামী যাত্রী কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়ামিন আরা বলেন, ‘আগে টার্মিনালে এলে ময়লা, কাদা আর দুর্গন্ধে দুর্ভোগে পড়তে হতো। বৃষ্টি এলে তো গা লুকানোরও জায়গা ছিল না। এখন সেই অবস্থা বদলে গেছে। গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।’
জানতে চাইলে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের কষ্ট লাঘব করতেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রীর শিডিউল না মেলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পরেও উদ্বোধন করা হচ্ছে না। তবে খুব শিগগির উদ্বোধন করা হবে।’
চার বছর আগেও রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ছিল খানাখন্দ ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। বড় বড় গর্তে জমে থাকা হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো যাত্রীদের। সেই দিন বদলে গেছে। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দ্বিতল ভবনের দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল নজর কাড়ছে যাত্রী, পথচারী, চালক ও বাসশ্রমিকদের।
যাত্রী ও পথচারীরা নান্দনিক এ বাস টার্মিনালে এসে ছবি তুলছেন, ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তবে দীর্ঘ নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগ উন্নয়ন কমিটির অর্থায়ন এবং ১৯৮১ সালে রংপুর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় এই বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়। এরপর ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোনো সংস্কার না হওয়ায় বড় গর্ত আর কাদাপানিতে একাকার হয়ে থাকত টার্মিনালটি। এসব অসুবিধা দূর করতে ২০১৮ সালে শুরু হয় আধুনিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ। এখন দৃশ্যমান দৃষ্টিনন্দন এই টার্মিনালে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন যাত্রীসাধারণসহ পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট সবাই।
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, জাইকা ও জিওবির অর্থায়নে ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩০ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু হলেও শেষ হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকায়। ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২৯ হাজার ৬৪৫ বর্গফুট আয়তনের দ্বিতল নবনির্মিত রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মূল ভবনে রয়েছে ওয়ার্কশপ, ড্রাইভার ও কন্ডাক্টর রিফ্রেশমেন্ট এবং পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা।
এ ছাড়া নিচতলায় ১৪টি টিকিট কাউন্টার, তিনটি এটিএম বুথ, নারীদের নামাজঘর, একটি ডে-কেয়ার সেন্টার, ছয়টি খাবারের দোকান, একটি ওষুধের দোকান, দুটি পাবলিক টয়লেট, যাত্রীদের বসার স্থান এবং একটি লাগেজ এরিয়া। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় থাকছে একটি অত্যাধুনিক মানসম্মত খাবার হোটেল, শিশুদের খেলার রুম, সাতটি দোকান, অত্যাধুনিক ট্রাফিক বিভাগ, কন্ট্রোল রুম, টেকনিক্যাল বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ, অত্যাধুনিক সভাকক্ষ, একটি পাবলিক টয়লেট, ভিআইপি লাউঞ্জ ও ভিআইপি রুম।
বাহন পরিবহনের সুপারভাইজার বাবু বলেন, ‘আমাদের কষ্ট ঘুচেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঝকঝকে-চকচকে বাস টার্মিনাল হলো। এখন আর কাদাপানির ঝামেলা নেই। নবনির্মিত সর্বাধুনিক এই বাস টার্মিনাল নির্মাণের ফলে এখন মহাসড়কে যানজট নিরসন হওয়ার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মানও বাড়বে।’
দিনাজপুরগামী যাত্রী কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়ামিন আরা বলেন, ‘আগে টার্মিনালে এলে ময়লা, কাদা আর দুর্গন্ধে দুর্ভোগে পড়তে হতো। বৃষ্টি এলে তো গা লুকানোরও জায়গা ছিল না। এখন সেই অবস্থা বদলে গেছে। গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।’
জানতে চাইলে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের কষ্ট লাঘব করতেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রীর শিডিউল না মেলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পরেও উদ্বোধন করা হচ্ছে না। তবে খুব শিগগির উদ্বোধন করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪