সম্পাদকীয়
সুলভ মূল্যে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য পাওয়াটা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সহায়ক হয়েছে। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
এর অভিঘাত থেকে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষও মুক্ত নয়।
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে কোথাও আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করে কারও বেতন বাড়েনি। বেতন এক জায়গায় স্থির থাকলে কিংবা অল্প কিছু বাড়লে তা ছুটন্ত দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছে না। স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজ আর আলুর কথা এ ক্ষেত্রে বলতে হয়। এ দুটি পণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এর পেছনে কোনো সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, সেই প্রশ্নও বারবার উঠে এসেছে। এভাবে সিন্ডিকেট করে নানা পণ্যের দাম বিভিন্ন সময়ে বাড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা কারা আয় করে নেয়, তা নিয়ে খুব একটা অনুসন্ধান হয় না। কিন্তু নিশ্চিত বোঝা যায়, এটাও এখন ফাটকাবাজির একটা চূড়ান্ত নিদর্শন হয়ে উঠেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করলে টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে যারা, তাদের ভাগ্যবানই বলতে হবে। কিন্তু সেই ভাগ্য সহজে এসে তাদের সামনে ধরা দিচ্ছে না। কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে না পণ্য। ভোররাত থেকে সারিবদ্ধভাবে তারা অপেক্ষা করে টিসিবির ট্রাকের জন্য। যে যত আগে আসতে পারবে, সে আগে পণ্য নিতে পারবে। এ জন্য তিন-চার-পাঁচ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ৫৪০ টাকায় যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, তার বাজারমূল্য ১২০০ টাকা হওয়ায় অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে।
মনে পড়ে যাচ্ছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত রেশনের দোকান ছিল। রেশন কার্ড ছিল। সুলভমূল্যে সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যেত। সেই দিন গত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় আবার রেশনের মতোই টিসিবির পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে ট্রাক। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, বাজারে কিংবা রাস্তার মোড়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। সাহায্যের জন্য হাত পেতে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। মেনে নিচ্ছি, এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যারা সহজেই বিভিন্ন জায়গায় কাজ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু বেতনের চেয়ে হাত পেতে পাওয়া টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবং কোনো পরিশ্রম ছাড়াই অর্থ উপার্জন করার সুযোগ থাকায় ভিক্ষাকেই পেশা হিসেবে নিতে শুরু করেছে একশ্রেণির মানুষ। কিন্তু ভুললে চলবে না, এরা ছাড়াও সত্যিকারের নিঃস্ব মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। এই সংকট শুধু টিসিবি বা ওএমএসের মাধ্যমে কাটবে না।
প্রকৃত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা, পণ্যের দামে সিন্ডিকেটের হাত বসানো কঠোরভাবে বন্ধ করা, কৃষকের কাছ থেকে যে দরে পণ্য কেনা হচ্ছে, তার ওপর অল্প লাভ রেখে তা বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার মানুষ কমে আসবে। সেটাই করা দরকার।
সুলভ মূল্যে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য পাওয়াটা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সহায়ক হয়েছে। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
এর অভিঘাত থেকে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষও মুক্ত নয়।
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে কোথাও আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করে কারও বেতন বাড়েনি। বেতন এক জায়গায় স্থির থাকলে কিংবা অল্প কিছু বাড়লে তা ছুটন্ত দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছে না। স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজ আর আলুর কথা এ ক্ষেত্রে বলতে হয়। এ দুটি পণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এর পেছনে কোনো সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, সেই প্রশ্নও বারবার উঠে এসেছে। এভাবে সিন্ডিকেট করে নানা পণ্যের দাম বিভিন্ন সময়ে বাড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা কারা আয় করে নেয়, তা নিয়ে খুব একটা অনুসন্ধান হয় না। কিন্তু নিশ্চিত বোঝা যায়, এটাও এখন ফাটকাবাজির একটা চূড়ান্ত নিদর্শন হয়ে উঠেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করলে টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে যারা, তাদের ভাগ্যবানই বলতে হবে। কিন্তু সেই ভাগ্য সহজে এসে তাদের সামনে ধরা দিচ্ছে না। কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে না পণ্য। ভোররাত থেকে সারিবদ্ধভাবে তারা অপেক্ষা করে টিসিবির ট্রাকের জন্য। যে যত আগে আসতে পারবে, সে আগে পণ্য নিতে পারবে। এ জন্য তিন-চার-পাঁচ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ৫৪০ টাকায় যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, তার বাজারমূল্য ১২০০ টাকা হওয়ায় অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। অনেকেই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে।
মনে পড়ে যাচ্ছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত রেশনের দোকান ছিল। রেশন কার্ড ছিল। সুলভমূল্যে সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যেত। সেই দিন গত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় আবার রেশনের মতোই টিসিবির পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে ট্রাক। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, বাজারে কিংবা রাস্তার মোড়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। সাহায্যের জন্য হাত পেতে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। মেনে নিচ্ছি, এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যারা সহজেই বিভিন্ন জায়গায় কাজ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু বেতনের চেয়ে হাত পেতে পাওয়া টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবং কোনো পরিশ্রম ছাড়াই অর্থ উপার্জন করার সুযোগ থাকায় ভিক্ষাকেই পেশা হিসেবে নিতে শুরু করেছে একশ্রেণির মানুষ। কিন্তু ভুললে চলবে না, এরা ছাড়াও সত্যিকারের নিঃস্ব মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। এই সংকট শুধু টিসিবি বা ওএমএসের মাধ্যমে কাটবে না।
প্রকৃত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা, পণ্যের দামে সিন্ডিকেটের হাত বসানো কঠোরভাবে বন্ধ করা, কৃষকের কাছ থেকে যে দরে পণ্য কেনা হচ্ছে, তার ওপর অল্প লাভ রেখে তা বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার মানুষ কমে আসবে। সেটাই করা দরকার।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪