রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ও বরমী ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে চলা নদীটির নাম মাটিকাটা। এর এক প্রান্ত কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের খিরু নদে যুক্ত। অপর অংশ বরমী বাজার অংশে শীতলক্ষ্যার সঙ্গে মিশেছে। ১৫ কিলোমিটার নদীটি এখন যেন খালে পরিণত হয়েছে। ব্যঙ্গ করে অনেকে বলেন, মাটিকাটা এখন ‘মাটিভরাট’ নদী।
নদীতীরের দুই পাশের বাসিন্দারা জানান, একসময় মাটিকাটা নদী দিয়ে আশপাশের অঞ্চলের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পণ্য আনা-নেওয়া করত। দখল আর দূষণে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে নদীটি। একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্য থাকলেও দূষণের কারণে তা-ও আর নেই।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, পাশের ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বেশ কয়েকটি কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানি বাগড়াপাড় এলাকা দিয়ে খিরু নদ হয়ে মাটিকাটা নদীতে পড়ছে। শুকনো মৌসুমে এমনিতেই পানি কমে যায়, তা-ও আবার দূষণে কালো হয়ে গেছে।
শ্রীপুর উপজেলার হয়দেবপুর গ্রামের জোলাপাড়া, ধামলই গ্রামের পালোয়ানবাড়ি, চৌরাস্তা, কুমারবাড়ি, গলদাপাড়া গ্রামের বারেক মেম্বারের বাড়িসংলগ্ন, সোনাব চৌধুরীঘাট, ভিটিপাড়া গ্রামের গোলাঘাট, বরকুল গ্রামের বরমী ব্রিজ, কালীমন্দিরসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে মাটিকাটা নদী দখল করে ফসল লাগানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনই এভাবে নদীটিকে খালে পরিণত করেছে।
কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের জেলে মোস্তফা কামাল বলেন, বছর পাঁচেক আগে মাটিকাটা নদীতে মাছ শিকার করে এই অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক জেলে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কয়েক বছর ধরে নদীতে তেমন মাছের দেখা মেলে না। শুধু বর্ষাকালে অল্প মাছ শিকার করা যায়। বর্ষার পরপরই নদীর পানি কমে বিষে ভরে যায়।
সোনাব গ্রামের কৃষক খায়রুল চৌধুরী বলেন, ‘একসময় আমরা পারের শত শত বিঘা জমিতে মাটিকাটা নদীর পানি দিয়ে সেচ দিতাম। আজ তো নদীতে তেমন পানি নেই। কেমিক্যাল মেশানো পানি ধানের জমিতে দিলে ধানের ক্ষতি হয়। এ জন্য আজ নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহার করতেও সমস্যা হচ্ছে।’
ভিটিপাড়া গ্রামের কৃষক সুলতান উদ্দিন বলেন, নদীর পানিতে গোসল করালে গরুর শরীরে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। দখল আর দূষণের কারণে মাটিকাটা কোনো কাজে আসছে না।
নদীর পাড় ভরাট করে বীজতলা করেছেন সোনাব গ্রামের কৃষক হযরত আলী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশপাশের সবাই তো ভরাট করছে; তাই আমিও একটু ভরাট করছি। সবাই ছেড়ে দিলে আমিও ছেড়ে দিব।’
বলদীঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বেপারী বলেন, ‘একসময় আমার বাপ-চাচারা নৌকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী বরমী বাজার থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। এখন বর্ষাকালে সামান্য পানি থাকে। সারা বছর তেমন পানি থাকে না।’ নতুন করে খননের মাধ্যমে মাটিকাটা নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মত দেন তিনি।
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘একটা সময় মাটিকাটা নদীটি স্বচ্ছ পানির নদী ছিল। একেবারে চোখের সামনে ইচ্ছা করে যেন মেরে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসন একটি জায়গায় ব্যর্থতার পরিচয় দেয়; তা হলো যখন দখল শুরু হয়, তখন তা বন্ধ করে না এবং যখন দূষিত পদার্থ কেউ ছেড়ে মাছগুলো মেরে ফেলে, তখন তা চিহ্নিত করে না। দখল-দূষণ বন্ধে পুরো একটি ডেটাবেইস হাতে নিয়ে অভিযান চাই।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার অন্যতম নদী মাটিকাটাসহ অন্যান্য নদী কীভাবে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, এ বিষয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করা হবে। এ ছাড়া দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ও বরমী ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে চলা নদীটির নাম মাটিকাটা। এর এক প্রান্ত কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের খিরু নদে যুক্ত। অপর অংশ বরমী বাজার অংশে শীতলক্ষ্যার সঙ্গে মিশেছে। ১৫ কিলোমিটার নদীটি এখন যেন খালে পরিণত হয়েছে। ব্যঙ্গ করে অনেকে বলেন, মাটিকাটা এখন ‘মাটিভরাট’ নদী।
নদীতীরের দুই পাশের বাসিন্দারা জানান, একসময় মাটিকাটা নদী দিয়ে আশপাশের অঞ্চলের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পণ্য আনা-নেওয়া করত। দখল আর দূষণে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে নদীটি। একসময় দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্য থাকলেও দূষণের কারণে তা-ও আর নেই।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, পাশের ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বেশ কয়েকটি কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানি বাগড়াপাড় এলাকা দিয়ে খিরু নদ হয়ে মাটিকাটা নদীতে পড়ছে। শুকনো মৌসুমে এমনিতেই পানি কমে যায়, তা-ও আবার দূষণে কালো হয়ে গেছে।
শ্রীপুর উপজেলার হয়দেবপুর গ্রামের জোলাপাড়া, ধামলই গ্রামের পালোয়ানবাড়ি, চৌরাস্তা, কুমারবাড়ি, গলদাপাড়া গ্রামের বারেক মেম্বারের বাড়িসংলগ্ন, সোনাব চৌধুরীঘাট, ভিটিপাড়া গ্রামের গোলাঘাট, বরকুল গ্রামের বরমী ব্রিজ, কালীমন্দিরসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে মাটিকাটা নদী দখল করে ফসল লাগানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনই এভাবে নদীটিকে খালে পরিণত করেছে।
কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের জেলে মোস্তফা কামাল বলেন, বছর পাঁচেক আগে মাটিকাটা নদীতে মাছ শিকার করে এই অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক জেলে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কয়েক বছর ধরে নদীতে তেমন মাছের দেখা মেলে না। শুধু বর্ষাকালে অল্প মাছ শিকার করা যায়। বর্ষার পরপরই নদীর পানি কমে বিষে ভরে যায়।
সোনাব গ্রামের কৃষক খায়রুল চৌধুরী বলেন, ‘একসময় আমরা পারের শত শত বিঘা জমিতে মাটিকাটা নদীর পানি দিয়ে সেচ দিতাম। আজ তো নদীতে তেমন পানি নেই। কেমিক্যাল মেশানো পানি ধানের জমিতে দিলে ধানের ক্ষতি হয়। এ জন্য আজ নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহার করতেও সমস্যা হচ্ছে।’
ভিটিপাড়া গ্রামের কৃষক সুলতান উদ্দিন বলেন, নদীর পানিতে গোসল করালে গরুর শরীরে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। দখল আর দূষণের কারণে মাটিকাটা কোনো কাজে আসছে না।
নদীর পাড় ভরাট করে বীজতলা করেছেন সোনাব গ্রামের কৃষক হযরত আলী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশপাশের সবাই তো ভরাট করছে; তাই আমিও একটু ভরাট করছি। সবাই ছেড়ে দিলে আমিও ছেড়ে দিব।’
বলদীঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বেপারী বলেন, ‘একসময় আমার বাপ-চাচারা নৌকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী বরমী বাজার থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। এখন বর্ষাকালে সামান্য পানি থাকে। সারা বছর তেমন পানি থাকে না।’ নতুন করে খননের মাধ্যমে মাটিকাটা নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মত দেন তিনি।
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘একটা সময় মাটিকাটা নদীটি স্বচ্ছ পানির নদী ছিল। একেবারে চোখের সামনে ইচ্ছা করে যেন মেরে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসন একটি জায়গায় ব্যর্থতার পরিচয় দেয়; তা হলো যখন দখল শুরু হয়, তখন তা বন্ধ করে না এবং যখন দূষিত পদার্থ কেউ ছেড়ে মাছগুলো মেরে ফেলে, তখন তা চিহ্নিত করে না। দখল-দূষণ বন্ধে পুরো একটি ডেটাবেইস হাতে নিয়ে অভিযান চাই।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার অন্যতম নদী মাটিকাটাসহ অন্যান্য নদী কীভাবে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, এ বিষয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করা হবে। এ ছাড়া দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪