Ajker Patrika

সমলয় পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ শুরু

বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ১০
Thumbnail image

বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছায় রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বটিয়াঘাটা উপজেলার চক্রাখালী মল্লিকের মোড়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে এটি উদ্বোধন করেন বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম।

এদিকে পাইকগাছার সোনাতন কাটিতে গত মঙ্গলবার এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. ফজলুল হক। বটিয়াঘাটায় ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ধান রোপন উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কাজি জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, জলমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত পরিচালক মহাদেব সানা, প্রকৌশলী দিপংকর বালা, বটিয়াঘাটা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শরিফুল ইসলাম ও আবু বক্কার সিদ্দিক, বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম শাহীন, প্রেসক্লাবের সদস্য রেজাউল করিম রেজা, আজিজুর রহমান শেখ, উপসহকারী কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নান, আ. গফফার গাজী, মিহির কুমার বৈরাগী, পিন্টু মল্লিক, শিবানন্দ রায় প্রমুখ।

এদিকে পাইকগাছায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম। স্বাগত বক্তব্য দেন পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার পোদ্দার, প্রকৌশলী দিপংকর কুমার বালা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ধ্রুবজোতি সরকার।

আরও বক্তব্য দেন উপসহকারী কৃষি অফিসার আবুল কালাম আজাদ, বিল্লাল হোসেন, শেখ তোফায়েল আহমেদ তুহিন ও কৃষক জি এম আব্দুস ছাত্তার।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধান রোপণ করলে প্রতি ঘণ্টায় ১ জন শ্রমিকের মাধ্যমে ১ বিঘা জমি চাষ করা যায়। এভাবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টায় ৮ বিঘা জমি চাষ করলে খরচ ও অর্থে অপচয় কমে যাবে। সনাতন পদ্ধতিতে ৮ বিঘা জমিতে ৩৫ জন শ্রমিক লাগবে। খরচ তিনগুণ বেশি হবে। এ এলাকায় সমলয় পদ্ধতির চাষ প্রথম। উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের সোনাতন কাটিতে এবার ১৫০ বিঘা জমিতে স্থানীয় কৃষকেরা কৃষি অফিসের সহায়তায় এ চাষ করছে।

‘সমলয়’ চাষের এক নতুন পদ্ধতি। সবাই মিলে একটি ব্লকে/মাঠে একসঙ্গে একই জাতের ধান একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা হয়। বীজতলা থেকে কর্তন, সব প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সমসময়ে সম্পাদন করা হয়। এ পদ্ধতিতে ধান আবাদ করতে হলে চারা তৈরি করতে হয় ট্রেতে। ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয় কম হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। কৃষক তার ফসল একত্রে মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারে। কারণ, একসঙ্গে রোপণ করায় সব ধান পাকবেও একই সময়ে। তখন ধান কাটার মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কর্তন ও মাড়াই করা যাবে।

এসব কারণে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে সময়, শ্রম ও খরচ কম লাগবে। উৎপাদনও হবে বেশি। এতে লাভবান হবেন কৃষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত