Ajker Patrika

দাম নিয়ে রসুনচাষির দুশ্চিন্তা

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৪৩
Thumbnail image

দিনাজপুরের খানসামায় সাদা সোনা খ্যাত রসুনের ভালো ফলন হলেও ভালো দাম নেই। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও, বাড়েনি রসুনের দাম। কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রসুনচাষিরা।

উপজেলায় চলতি বছর রসুনের উৎপাদন বেশি হওয়ায় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় সরবরাহ করা হয়।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে, যা গত বছরে ছিল ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর। গত মৌসুমেও রসুনের ভালো দাম না থাকায় এ বছর কমেছে রসুনের আবাদ।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহিসহ প্রায় সব গ্রামেই রসুন চাষ হয়েছে। এখন কৃষকেরা রসুন তোলা, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ রসুনের হাট কাচিনীয়া, পাকেরহাট ও ভুল্লারহাটে রসুন বিক্রি করতে এসে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন চাষিরা। ভালো দাম না থাকায় চাষিদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ।

জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৪৫-৬০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৯০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা। সে হিসাবে এখন লোকসানে আছেন লাভের আশায় থাকা রসুনচাষিরা।

গোয়ালডিহি গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে রসুনের দাম আর আগের মতো নেই। আগে আমরা রসুন পাইকারি বাজারে দুই থেকে তিন হাজার টাকা মণ বিক্রি করতাম। এখন মাত্র ৯০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। এতে খরচের টাকা তোলা নিয়েই সন্দেহ।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, এই অঞ্চল রসুন উৎপাদনের জন্য উপযোগী। সেই জন্য কৃষকদের পাশে কৃষি বিভাগ সর্বদা মাঠে রয়েছে। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার রসুনের আবাদ কমেছে প্রায় এক হাজার হেক্টর। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। আশা রাখি, সময়ের সঙ্গে রসুনের দাম বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকেরা আর্থিক লাভবান হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত