মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুরের রানীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর গড়। সরকারি এই খাসজমি আশপাশের জায়গা থেকে উঁচু বলে পরিচিত ‘গড়’ হিসেবে। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে বাস করছে অনেকগুলো ভূমিহীন পরিবার। তবে এখন আর তাঁরা ভূমিহীন নেই। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৫০ পরিবারের স্থানীয় ঠিকানা হয়েছে এই ভক্তিপুর গড়।
উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর তৃতীয় ধাপে গত মঙ্গলবার ২০০ পরিবারের হাতে দুই শতক করে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের জন্য ভক্তিপুর গড়ে ১৫০টি এবং লতিবপুর ইউনিয়নের ঈদুলপুরে ৫০টি দুই কক্ষের বাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ভক্তিপুর গড়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেক বাড়িতে উপকারভোগীরা উঠে গেছেন। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্মাণাধীন বাড়ির সামনেই ঝুপড়ি ঘরে বাস করছে তালিকায় থাকা ভূমিহীন পরিবারগুলো। তাঁদের অনেকে দলিল নিতে মঙ্গলবার এসেছিলেন উপজেলা পরিষদে।
ঘর পাওয়া মোনতাজ আলী জানান, তাঁর বয়স ৮০ বছরের বেশি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমল থেকে ভক্তিপুর গড়ে বাস করছেন। তাঁর পাঁচ ছেলেমেয়ের জন্মও হয়েছে এই খাসজমিতে। তিনি বলেন, ‘গরিবের প্রতি বাপের মতোই দরদ শেখ হাসিনার। তাঁর দয়ায় জীবনের শেষকালে পাকা ঘরে থাকার সুযোগ পেলাম।’
সেখানে আরজিনা বেগম নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। এই নারী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, ‘মা-বাবা ভূমিহীন হওয়ায় আমিও ভূমিহীন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জমিসহ বাড়ি দিলেন। এখন আর আমাকে কেউ ভূমিহীন বলতে পারবেন না। জমিসহ পাকা বাড়ি পাওয়ায় খুব খুশি।’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিলা বেগম বলেন, ‘আগোত ঈদ আইলে চাউল দিছিলো, অ্যালা বাড়ি উপহার দেওছে। হামার কপাল ভালো বলেই হামরা শেখ হাসিনার দেওয়া বাড়ি ও জমির মালিক হইনো। উপজেলা সদোরোত দলিল করিবার গেছিনো। আপা (ইউএনও) হামারগুলার সঙ্গে দেখা করে ভালো-মন্দ খোঁজ নিচেন।’
বাড়ির নির্মাণকাজ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান জানান, ভক্তিপুর গড়ে ১৫০টি বাড়ির মধ্যে অধিকাংশের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘ভক্তিপুর গড়ে দীর্ঘদিন ধরে অনেক ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবার বসবাস করছে। আমরা এসব পরিবারের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। শতভাগ ভূমিহীন হওয়ায় তাঁদের জন্য ভক্তিপুর গড়ে ১৫০টি বাড়ি নির্মাণ করছি। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে মান খারাপ হতে পারে, তাই যতগুলো বাড়ির নির্মাণ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোই হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
ইউএনও জানান, মঙ্গলবার থেকে অনেক পরিবার ঝুপড়ি ঘর থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের বাড়িতে বাস করতে পারছে। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়।
ইউএনওর তথ্য অনুযায়ী, বাড়িগুলো হস্তান্তর করার পর প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ গ্রাম দুটি দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হবে। রাস্তা, শিশুপার্ক, ইবাদতখানা, শিক্ষাকেন্দ্র, পানীয়জলের ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাসহ গড়ে তোলা হবে ফুলের বাগান। যেন বাড়ি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন সেখানে বেড়াতে আসেন।
মিঠাপুকুরের রানীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর গড়। সরকারি এই খাসজমি আশপাশের জায়গা থেকে উঁচু বলে পরিচিত ‘গড়’ হিসেবে। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে বাস করছে অনেকগুলো ভূমিহীন পরিবার। তবে এখন আর তাঁরা ভূমিহীন নেই। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৫০ পরিবারের স্থানীয় ঠিকানা হয়েছে এই ভক্তিপুর গড়।
উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর তৃতীয় ধাপে গত মঙ্গলবার ২০০ পরিবারের হাতে দুই শতক করে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের জন্য ভক্তিপুর গড়ে ১৫০টি এবং লতিবপুর ইউনিয়নের ঈদুলপুরে ৫০টি দুই কক্ষের বাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ভক্তিপুর গড়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেক বাড়িতে উপকারভোগীরা উঠে গেছেন। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্মাণাধীন বাড়ির সামনেই ঝুপড়ি ঘরে বাস করছে তালিকায় থাকা ভূমিহীন পরিবারগুলো। তাঁদের অনেকে দলিল নিতে মঙ্গলবার এসেছিলেন উপজেলা পরিষদে।
ঘর পাওয়া মোনতাজ আলী জানান, তাঁর বয়স ৮০ বছরের বেশি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমল থেকে ভক্তিপুর গড়ে বাস করছেন। তাঁর পাঁচ ছেলেমেয়ের জন্মও হয়েছে এই খাসজমিতে। তিনি বলেন, ‘গরিবের প্রতি বাপের মতোই দরদ শেখ হাসিনার। তাঁর দয়ায় জীবনের শেষকালে পাকা ঘরে থাকার সুযোগ পেলাম।’
সেখানে আরজিনা বেগম নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। এই নারী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, ‘মা-বাবা ভূমিহীন হওয়ায় আমিও ভূমিহীন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জমিসহ বাড়ি দিলেন। এখন আর আমাকে কেউ ভূমিহীন বলতে পারবেন না। জমিসহ পাকা বাড়ি পাওয়ায় খুব খুশি।’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিলা বেগম বলেন, ‘আগোত ঈদ আইলে চাউল দিছিলো, অ্যালা বাড়ি উপহার দেওছে। হামার কপাল ভালো বলেই হামরা শেখ হাসিনার দেওয়া বাড়ি ও জমির মালিক হইনো। উপজেলা সদোরোত দলিল করিবার গেছিনো। আপা (ইউএনও) হামারগুলার সঙ্গে দেখা করে ভালো-মন্দ খোঁজ নিচেন।’
বাড়ির নির্মাণকাজ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান জানান, ভক্তিপুর গড়ে ১৫০টি বাড়ির মধ্যে অধিকাংশের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘ভক্তিপুর গড়ে দীর্ঘদিন ধরে অনেক ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবার বসবাস করছে। আমরা এসব পরিবারের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। শতভাগ ভূমিহীন হওয়ায় তাঁদের জন্য ভক্তিপুর গড়ে ১৫০টি বাড়ি নির্মাণ করছি। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে মান খারাপ হতে পারে, তাই যতগুলো বাড়ির নির্মাণ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোই হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
ইউএনও জানান, মঙ্গলবার থেকে অনেক পরিবার ঝুপড়ি ঘর থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের বাড়িতে বাস করতে পারছে। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়।
ইউএনওর তথ্য অনুযায়ী, বাড়িগুলো হস্তান্তর করার পর প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ গ্রাম দুটি দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হবে। রাস্তা, শিশুপার্ক, ইবাদতখানা, শিক্ষাকেন্দ্র, পানীয়জলের ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাসহ গড়ে তোলা হবে ফুলের বাগান। যেন বাড়ি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন সেখানে বেড়াতে আসেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪