সম্পাদকীয়
আবার একটি নতুন বছর। খ্রিষ্টীয় নববর্ষে সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অভিনন্দন জানাচ্ছি আরও একটি নতুন দিনের সূর্য দেখার সুযোগ পাওয়ার জন্য। কোভিড এখনো ছেড়ে যায়নি বিশ্বকে। প্রতিনিয়ত জানা-অজানা অনেক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে এই অতিমারিতে। তারপরও এই অতিমারির স্রোতের বিপরীতে টেনে নিয়ে যাওয়া জীবন জানিয়ে দিচ্ছে, এগিয়ে যেতে হবে সামনে।
কত কিছুই না ঘটে গেল ২০২১ সালে। প্রায় থেমে গিয়েছিল স্বাভাবিক জীবন এবং এই সংকটের মধ্য থেকেও ধীরে ধীরে আবার ফিরে আসছিল প্রাণস্পন্দন। কৃষক বাঁচলে বাঁচে গোটা দেশ। শ্রমিক বাঁচলে বাঁচে গোটা দেশ। সমাজের ওপরতলের মানুষেরা মূলত মৌলিক এই দুই জায়গা থেকেই বাঁচার প্রেরণা পায়। অর্থনীতির চাকা না ঘুরলে জীবন হয়ে যেতে চায় স্থবির। এ সময়টায় সে রকম আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল অনেকের জীবনেই। কত মানুষ যে এ সময় চাকরি হারিয়েছে, কত ব্যবসা যে এ সময় নষ্ট হয়েছে, তার হিসাব নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কখনো কখনো প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে তৃণমূলের মানুষের। কিন্তু তা অনিশ্চয়তার আতঙ্ক দূর করতে পারেনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন ফাটকাবাজি প্রতিষ্ঠান মানুষের সরলতা আর লোভের সুযোগ নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। গত বছরটিতে দেখা গেছে, চালিয়াত মানুষ, প্রতারক মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই মেধা ও পরিশ্রম ব্যতিরেকেই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। নতুন বছরে এই দুর্বৃত্তদের লাগাম টেনে ধরা যায় কি না, সেটাই হয়ে উঠতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ।
গত বছরে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেশ কিছু অঘটন ঘটিয়েছিল। যে অসাম্প্রদায়িক মনোভঙ্গি নিয়ে এ দেশে স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তা ভুলে গিয়ে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে বসবাসের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ধর্মব্যবসায়ীরা বিভ্রান্ত করেছে সাধারণ মানুষকে। বছরের শেষ দিকে আগুনে পুড়ে গেল লঞ্চ। নিহত হলো কত মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিভক্ত জাতি কী করে এগিয়ে যাবে, সে চিন্তাও ধীরে ধীরে শঙ্কা বাড়াচ্ছে। দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রয়েছে, এ রকম আজব একটি দেশ পৃথিবীতে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের দুর্ভাগ্য, কখনো কখনো সেই শক্তি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
রাষ্ট্রীয়ভাবেও বেশ কিছু প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশন, ভোট, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন রোধ, রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে ভাবনা তো রয়েছেই। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি কাজের একটি হলো, শিশুর বিকাশ। আমাদের দেশে শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় পরিবার বা শিক্ষালয় থেকে ঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। ভালো মানুষ না হয়ে নম্বর তৈরির যন্ত্র হয়ে ওঠার এই প্রবণতা বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎকে নষ্ট করে দিচ্ছে। সে জায়গাটা ঠিক না করলে সামনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে।
নতুন খ্রিষ্টীয় বছরে মানবিক একটি বিশ্বের দিকে যাত্রা শুরু হোক। আমাদের পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, দেশের অগণিত মানুষকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। স্বাগত ২০২২।
আবার একটি নতুন বছর। খ্রিষ্টীয় নববর্ষে সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অভিনন্দন জানাচ্ছি আরও একটি নতুন দিনের সূর্য দেখার সুযোগ পাওয়ার জন্য। কোভিড এখনো ছেড়ে যায়নি বিশ্বকে। প্রতিনিয়ত জানা-অজানা অনেক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে এই অতিমারিতে। তারপরও এই অতিমারির স্রোতের বিপরীতে টেনে নিয়ে যাওয়া জীবন জানিয়ে দিচ্ছে, এগিয়ে যেতে হবে সামনে।
কত কিছুই না ঘটে গেল ২০২১ সালে। প্রায় থেমে গিয়েছিল স্বাভাবিক জীবন এবং এই সংকটের মধ্য থেকেও ধীরে ধীরে আবার ফিরে আসছিল প্রাণস্পন্দন। কৃষক বাঁচলে বাঁচে গোটা দেশ। শ্রমিক বাঁচলে বাঁচে গোটা দেশ। সমাজের ওপরতলের মানুষেরা মূলত মৌলিক এই দুই জায়গা থেকেই বাঁচার প্রেরণা পায়। অর্থনীতির চাকা না ঘুরলে জীবন হয়ে যেতে চায় স্থবির। এ সময়টায় সে রকম আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল অনেকের জীবনেই। কত মানুষ যে এ সময় চাকরি হারিয়েছে, কত ব্যবসা যে এ সময় নষ্ট হয়েছে, তার হিসাব নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কখনো কখনো প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে তৃণমূলের মানুষের। কিন্তু তা অনিশ্চয়তার আতঙ্ক দূর করতে পারেনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন ফাটকাবাজি প্রতিষ্ঠান মানুষের সরলতা আর লোভের সুযোগ নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। গত বছরটিতে দেখা গেছে, চালিয়াত মানুষ, প্রতারক মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই মেধা ও পরিশ্রম ব্যতিরেকেই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। নতুন বছরে এই দুর্বৃত্তদের লাগাম টেনে ধরা যায় কি না, সেটাই হয়ে উঠতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ।
গত বছরে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেশ কিছু অঘটন ঘটিয়েছিল। যে অসাম্প্রদায়িক মনোভঙ্গি নিয়ে এ দেশে স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তা ভুলে গিয়ে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে বসবাসের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ধর্মব্যবসায়ীরা বিভ্রান্ত করেছে সাধারণ মানুষকে। বছরের শেষ দিকে আগুনে পুড়ে গেল লঞ্চ। নিহত হলো কত মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিভক্ত জাতি কী করে এগিয়ে যাবে, সে চিন্তাও ধীরে ধীরে শঙ্কা বাড়াচ্ছে। দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রয়েছে, এ রকম আজব একটি দেশ পৃথিবীতে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের দুর্ভাগ্য, কখনো কখনো সেই শক্তি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
রাষ্ট্রীয়ভাবেও বেশ কিছু প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশন, ভোট, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন রোধ, রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে ভাবনা তো রয়েছেই। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি কাজের একটি হলো, শিশুর বিকাশ। আমাদের দেশে শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় পরিবার বা শিক্ষালয় থেকে ঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। ভালো মানুষ না হয়ে নম্বর তৈরির যন্ত্র হয়ে ওঠার এই প্রবণতা বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎকে নষ্ট করে দিচ্ছে। সে জায়গাটা ঠিক না করলে সামনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে।
নতুন খ্রিষ্টীয় বছরে মানবিক একটি বিশ্বের দিকে যাত্রা শুরু হোক। আমাদের পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, দেশের অগণিত মানুষকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। স্বাগত ২০২২।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪