Ajker Patrika

নির্ধারিত সময় পার হলেও তদন্ত শুরু করেনি কমিটি

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তদন্তে ২৫ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়; কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ১৫ দিন পার হলেও তদন্ত শুরু করেনি কমিটি।

কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তমতে, তদন্ত কমিটিতে পরিষদের সদস্য নাসিরউদ্দীনকে আহ্বায়ক এবং আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব ও কলেজ অধ্যক্ষ মহাদেব বসাককে সদস্য করা হয়। 
জানা গেছে, ৩১ জুলাই রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক ডিগ্রি পাসকোর্সে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে দুজন ও উচ্চ মাধ্যমিক চারু ও কারুকলা বিষয়ে একজন, এ ছাড়া শূন্য পদে ডিগ্রি পাসকোর্সে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে একজন করে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়ার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহীদের অধ্যক্ষের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে নিয়োগ-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগ উঠেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ওইসব পদে কোনোভাবেই অধ্যক্ষসহ পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দিতে পারবে না। ২০১৬ সালের পর থেকে এ নিয়োগ দিচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) অথচ এনটিআরসিএকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অধ্যক্ষ মহাদেব শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রশ্ন তোলেন দাতা সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজউদ্দীন আহাম্মদ। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠি সভায় উপস্থাপন করা হয়।

ওই চিঠি থেকে জানা গেছে, তৃতীয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কলেজ কর্তৃক পরিশোধের শর্তে নিয়োগ দেওয়ার অনুমিত দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্যই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘তথ্য দেওয়া যাবে না। আপনারা ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে যোগাযোগ করেন। সেখানে নিয়োগ-পরীক্ষা হয়েছে। সেখানেই সব 
তথ্য পাবেন।’

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক নাসিরউদ্দীন গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘নিয়োগগুলো সম্বন্ধে এখনো খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। আমরা নিয়োগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদের সভায় খুব শিগগিরই জমা দেব।’

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা থাকায় নিয়োগ দেওয়া যাবে কি না তা যাচাই-বাছাই করার জন্যই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত