Ajker Patrika

অপহৃত শিশুর লাশ আঙিনা খুঁড়ে উদ্ধার

দিনাজপুর ও খানসামা প্রতিনিধি
অপহৃত শিশুর লাশ আঙিনা খুঁড়ে উদ্ধার

দিনাজপুরের খানসামায় অপহৃত শিশু আরিফুজ্জামানের (৮) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাকেরহাটের একটি বাড়ির আঙিনা খুঁড়ে লাশটি পাওয়া যায়।

জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ গতকাল সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। এ ঘটনায় করা মামলায় শরিফুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার ইফতেখার বলেন, শরিফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর ভাড়া বাসার আঙিনা খুঁড়ে শিশু আরিফুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনি শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, পুলিশের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু শুরুতেই শিশুটিকে হত্যা করায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ সময় তিনি শিশুটির পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।

আরিফুজ্জামান উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার আতিউর রহমানের ছেলে। সে ২ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির পাশের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর রাত আটটার দিকে তাঁর বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে শিশুটিকে অপহরণের কথা বলে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শিশুটির বাবা রাতেই এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ ঘটনায় একই এলাকার শরিফুলসহ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শরিফুল পাকেরহাটে ভাড়া বাসায় থাকতেন।শরীফুলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রতিবেশী হওয়ায় শিশু আরিফুজ্জামানের সঙ্গে যুবক শরীফুলের সুসম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন বিকেলেও শরীফুলের সাইকেলে সে ঘুরে বেড়িয়েছে। এরপর তিনি শিশুটিকে নিয়ে পাকেরহাটে চানাচুর ও বিস্কুট কিনে তাঁর ভাড়া করা বাসায় যান।

পুলিশ সুপার জানান, শরীফুল তাঁর পরিবারের অজ্ঞাতে পাকেরহাট বাজারসংলগ্ন যুগিরঘোপা গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে দিনের বেলা সময় অতিবাহিত করতেন। সেখানে তিনি কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি দেখতেন। ঘটনার দিন তিনি আরিফুজ্জামানকে পর্নোগ্রাফি দেখানোর পর ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তিনি শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে আসেন। পরে বাড়িতে ফিরে যখন দেখেন শিশুটির খোঁজ চলছে, তখন স্থানীয় একটি দোকান থেকে শাবল কিনে এনে ভাড়া বাড়ির উঠানের কোনায় গর্ত করে বস্তায় ভরে লাশ পুঁতে রাখেন। সর্বশেষ মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে আর্থিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত