আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে গমের দাম এক বছর আগের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম। কিন্তু ডলার-সংকট, ঋণপত্র খুলতে জটিলতাসহ নানা কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম আমদানি হচ্ছে না। এতে চাহিদার তুলনায় কমে গেছে আটার সরবরাহ। আর এই ঘাটতিকে পুঁজি করে পণ্যটি দাম বাড়িয়ে চলেছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশ্ববাজারে গমের দাম কমলেও দেশে এর সুফল না মেলার বিষয়টি উঠে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্যসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত বছর জুনের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন গমের দাম ছিল ৪৭৫ মার্কিন ডলার। চলতি বছর জুনের শুরুতে তা বিক্রি হয়েছে ৩১১ ডলারে।
ঠিক উল্টো চিত্র দেশের আটার বাজারে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে খোলা আটার দাম ২৬ শতাংশ এবং প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিল ও খুচরা পর্যায়ে আটার দামে বিস্তর ব্যবধান। মিলমালিকেরা বলছেন, তাঁরা প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি করছেন ৩৮-৪০ টাকায়। অথচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। আর প্যাকেট আটা ৬০-৬৪ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমার প্রভাব দেশের বাজারে না পড়ার কারণ হিসেবে এলসির জটিলতাকে দায়ী করছেন গম আমদানিকারকেরা।
আটা-ময়দা বিপণনকারী অন্যতম বড় বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, ব্যাংক এলসি খুলতে চাচ্ছে না। এক জাহাজ পণ্যের এলসি খুলতে ১২টি ব্যাংকের কাছে ধরনা দিতে হচ্ছে। ডলারের দাম ১০৮-১০৯ টাকা হলেও ব্যাংকগুলো রাখছে ১১৫-১১৬ টাকা। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই আমদানি করতে চাইছেন না। ফলে গম আমদানি কমছে।
তবে গম আমদানি কম হলেও বাজারে আটার সংকট নেই বলে দাবি করেছেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বসুন্ধরার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম মজুত থাকলেও তাদের একটি মিল বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ এ সময়ে আটা-ময়দার চাহিদা কম থাকায় বাজারে আটার চাহিদা কমেছে।
দ্রব্যমূল্যসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স সূত্রে জানা যায়, দেশে বছরে গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন। গত ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ৩০ লাখ টন এবং দেশে উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ টন। গমের ঘাটতি রয়েছে ২৪ লাখ টনের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত দেশে গম আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৮৮৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬৩৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের গম। এ অবস্থায় দেশে গম আমদানি বাড়াতে ঋণপত্র খোলায় ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শতভাগ মার্জিন শিথিল করার সুপারিশ করা হয়েছে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে।
এদিকে দেশে আটার দাম অস্বাভাবিক বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফাকে দায়ী করছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা সব সময় বেশি মুনাফা লাভের চেষ্টা করে। এ জন্য সরকারকে গমের ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে আমদানি করতে হবে। যদিও খাদ্য অধিদপ্তর গম আমদানি করে থাকে। তবে বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে গম আমদানি বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে গমের দাম এক বছর আগের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম। কিন্তু ডলার-সংকট, ঋণপত্র খুলতে জটিলতাসহ নানা কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম আমদানি হচ্ছে না। এতে চাহিদার তুলনায় কমে গেছে আটার সরবরাহ। আর এই ঘাটতিকে পুঁজি করে পণ্যটি দাম বাড়িয়ে চলেছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশ্ববাজারে গমের দাম কমলেও দেশে এর সুফল না মেলার বিষয়টি উঠে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্যসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত বছর জুনের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন গমের দাম ছিল ৪৭৫ মার্কিন ডলার। চলতি বছর জুনের শুরুতে তা বিক্রি হয়েছে ৩১১ ডলারে।
ঠিক উল্টো চিত্র দেশের আটার বাজারে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে খোলা আটার দাম ২৬ শতাংশ এবং প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিল ও খুচরা পর্যায়ে আটার দামে বিস্তর ব্যবধান। মিলমালিকেরা বলছেন, তাঁরা প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি করছেন ৩৮-৪০ টাকায়। অথচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। আর প্যাকেট আটা ৬০-৬৪ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমার প্রভাব দেশের বাজারে না পড়ার কারণ হিসেবে এলসির জটিলতাকে দায়ী করছেন গম আমদানিকারকেরা।
আটা-ময়দা বিপণনকারী অন্যতম বড় বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, ব্যাংক এলসি খুলতে চাচ্ছে না। এক জাহাজ পণ্যের এলসি খুলতে ১২টি ব্যাংকের কাছে ধরনা দিতে হচ্ছে। ডলারের দাম ১০৮-১০৯ টাকা হলেও ব্যাংকগুলো রাখছে ১১৫-১১৬ টাকা। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই আমদানি করতে চাইছেন না। ফলে গম আমদানি কমছে।
তবে গম আমদানি কম হলেও বাজারে আটার সংকট নেই বলে দাবি করেছেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বসুন্ধরার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম মজুত থাকলেও তাদের একটি মিল বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ এ সময়ে আটা-ময়দার চাহিদা কম থাকায় বাজারে আটার চাহিদা কমেছে।
দ্রব্যমূল্যসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স সূত্রে জানা যায়, দেশে বছরে গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন। গত ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ৩০ লাখ টন এবং দেশে উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ টন। গমের ঘাটতি রয়েছে ২৪ লাখ টনের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত দেশে গম আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৮৮৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬৩৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের গম। এ অবস্থায় দেশে গম আমদানি বাড়াতে ঋণপত্র খোলায় ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শতভাগ মার্জিন শিথিল করার সুপারিশ করা হয়েছে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে।
এদিকে দেশে আটার দাম অস্বাভাবিক বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফাকে দায়ী করছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা সব সময় বেশি মুনাফা লাভের চেষ্টা করে। এ জন্য সরকারকে গমের ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে আমদানি করতে হবে। যদিও খাদ্য অধিদপ্তর গম আমদানি করে থাকে। তবে বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে গম আমদানি বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫