পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
পীরগঞ্জের কৃষকদের কাছ থেকে চলতি মৌসুমে এখনো আখ নেওয়া শুরু করেনি চিনিকলগুলো। যার ফলে পাওয়ার ক্রাশার দিয়ে আখমাড়াই করে গুড় তৈরির ধুম পড়েছে। স্থানীয় কৃষক পরিবারগুলো আখমাড়াইয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছে। এ কাজে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ থেকে ১২টি পাওয়ার ক্রাশার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় পীরগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জোন এলাকা মদনখালী ইউনিয়নের মাগুরা, ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুর, বড় ফলিয়া, বাবনপুর, কাফ্রিখাল, বড় আলমপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও উজিরপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় অবৈধভাবে দেদার আখমাড়াই করা হচ্ছে।
গত বছর রংপুর ও শ্যামপুর চিনিকল বন্ধ থাকায় জয়পুরহাট চিনিকল কৃষকদের উৎপাদিত আখ কিনে নেয়। কিন্তু এ বছর চিনিকল কর্তৃপক্ষের আখ নেওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এতে করে পীরগঞ্জের আখচাষিরা অনেকটাই হয়রানিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
কৃষকেরা জানান, আখের ফলন পেতে তাঁদের প্রায় এক বছরের মতো অপেক্ষা করতে হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখখেতে অনেক বেশি পরিশ্রম ও পরিচর্যা লাগে। তারপরও কৃষকের খুব একটা লাভ হয় না।
মদনখালীর মাগুরা গ্রামের চাষি সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা আখ চাষ করে বিপদে পড়েছি। এক বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করে আবাদ করি আর চিনিকল কর্তৃপক্ষ তাদের মর্জি মাফিক আখ ফসল ক্রয় করে। এতে করে আমাদের আরেক ফসল চাষে যথেষ্ট বিঘ্ন ঘটে এবং অনেক সময় চলে যায়।’
বড় আলমপুর গ্রামের চাষি মোফাজ্জল হোসেন জানান, তাঁরা আগে চিনিকল থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করতেন। এখন তাঁদের ঋণ পরিশোধ হয়েছে। অবশ্য কিছু আখচাষির কমবেশি ঋণ রয়েছে। এ জন্য তাঁরা চিনিকলকে দিতে জমিতে আখ রেখেছেন।
নিজেদের উদ্যোগে গুড় তৈরির যুক্তি হিসেবে মোফাজ্জল বলেন, ‘আখমাড়াই করে গুড় বানিয়ে আমরা নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করি। এতে লাভের মুখ দেখতে পাই এবং ওই জমিতে সময়মতো নতুন ফসল চাষ করতে পারি।’
ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুরের বকুল মিয়া আগে চিনিকল থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করতেন। এখন আর সেই ঋণ না থাকায় নিজের জমিতে চাষ করা আখ দিয়ে গুড় তৈরি করছেন। এ জন্য তিনি পাওয়ার ক্রাশার কিনে নিয়েছেন।
বকুল বলেন, চিনিকলে আখ বিক্রি করতে গিয়ে অনেক হয়রানি হতে হয়। এখন তিনি প্রতি মণ আখ ১৮০ টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে কিনে গুড় তৈরি করছেন।
পীরগঞ্জের কৃষকদের কাছ থেকে চলতি মৌসুমে এখনো আখ নেওয়া শুরু করেনি চিনিকলগুলো। যার ফলে পাওয়ার ক্রাশার দিয়ে আখমাড়াই করে গুড় তৈরির ধুম পড়েছে। স্থানীয় কৃষক পরিবারগুলো আখমাড়াইয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছে। এ কাজে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ থেকে ১২টি পাওয়ার ক্রাশার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় পীরগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জোন এলাকা মদনখালী ইউনিয়নের মাগুরা, ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুর, বড় ফলিয়া, বাবনপুর, কাফ্রিখাল, বড় আলমপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও উজিরপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় অবৈধভাবে দেদার আখমাড়াই করা হচ্ছে।
গত বছর রংপুর ও শ্যামপুর চিনিকল বন্ধ থাকায় জয়পুরহাট চিনিকল কৃষকদের উৎপাদিত আখ কিনে নেয়। কিন্তু এ বছর চিনিকল কর্তৃপক্ষের আখ নেওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এতে করে পীরগঞ্জের আখচাষিরা অনেকটাই হয়রানিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
কৃষকেরা জানান, আখের ফলন পেতে তাঁদের প্রায় এক বছরের মতো অপেক্ষা করতে হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখখেতে অনেক বেশি পরিশ্রম ও পরিচর্যা লাগে। তারপরও কৃষকের খুব একটা লাভ হয় না।
মদনখালীর মাগুরা গ্রামের চাষি সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা আখ চাষ করে বিপদে পড়েছি। এক বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করে আবাদ করি আর চিনিকল কর্তৃপক্ষ তাদের মর্জি মাফিক আখ ফসল ক্রয় করে। এতে করে আমাদের আরেক ফসল চাষে যথেষ্ট বিঘ্ন ঘটে এবং অনেক সময় চলে যায়।’
বড় আলমপুর গ্রামের চাষি মোফাজ্জল হোসেন জানান, তাঁরা আগে চিনিকল থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করতেন। এখন তাঁদের ঋণ পরিশোধ হয়েছে। অবশ্য কিছু আখচাষির কমবেশি ঋণ রয়েছে। এ জন্য তাঁরা চিনিকলকে দিতে জমিতে আখ রেখেছেন।
নিজেদের উদ্যোগে গুড় তৈরির যুক্তি হিসেবে মোফাজ্জল বলেন, ‘আখমাড়াই করে গুড় বানিয়ে আমরা নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করি। এতে লাভের মুখ দেখতে পাই এবং ওই জমিতে সময়মতো নতুন ফসল চাষ করতে পারি।’
ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুরের বকুল মিয়া আগে চিনিকল থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করতেন। এখন আর সেই ঋণ না থাকায় নিজের জমিতে চাষ করা আখ দিয়ে গুড় তৈরি করছেন। এ জন্য তিনি পাওয়ার ক্রাশার কিনে নিয়েছেন।
বকুল বলেন, চিনিকলে আখ বিক্রি করতে গিয়ে অনেক হয়রানি হতে হয়। এখন তিনি প্রতি মণ আখ ১৮০ টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে কিনে গুড় তৈরি করছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪