মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদনে মাছ শিকারের জন্য রাতের আঁধারে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। বিষয়টি অবহিত করে স্থানীয় হাবিবুরসহ কয়েকজন কৃষক গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর প্রভাবশালী মহল কৃষকদের হুমকি দিচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কৃষকেরা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের সামনের হাওর থেকে মাঘান ইউনিয়নের পদারকোনা গ্রাম পর্যন্ত একটি ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। ওই ফসল রক্ষা বাঁধের আওতায় গোবিন্দশ্রী, কদমশ্রী, বোয়ালীর হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি রক্ষা পায়।
গোবিন্দশ্রী থেকে পদারকোনা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এই ফসল রক্ষা বাঁধ। এটি কেটে মাছ ধরলে এলাকার মানুষ চলাচল করতে পারবে না।
এই ফসল রক্ষা বাঁধের পাশে নয়াবিল নামের একটি জলমহাল আছে। ওই জলমহালটি ইজারা নিয়েছেন মোনায়েম, রোকন ও সুহেল নামের তিন ব্যক্তি। নয়াবিলের মাছ শিকারের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দেন তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষকেরা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে নিয়ে বাঁধটি মেরামত করেন। কিন্তু এর পরদিন ফের বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়। এ নিয়ে শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকেরা। বাঁধ কাটার বিষয়টি নিয়ে কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ করায় উল্টো তাঁদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকারের ব্যাপারে জানতে চাইলে নয়াবিলের ইজারাদার মো. রোকন মিয়া বলেন, ‘ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। এটা আমি ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছ থেকে শুনেছি। আমি বাঁধের পাশে যাইনি। যারা বাঁধ ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মাঘান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘ইউএনওর নির্দেশে ইউপি সদস্য লিটন মিয়াকে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেছি। তবে কে বা কারা এই বাঁধ কেটেছে, তা আমার জানা নেই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, গোবিন্দশ্রী থেকে পদারকোনা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এই ফসল রক্ষা বাঁধ। এটি কেটে মাছ ধরলে এলাকার মানুষ চলাচল করতে পারবে না।
মাঘান ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা রুমান বলেন, ‘আমি নিজে গিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছি। বাঁধের চার পাশে এখনো পানি রয়েছে। বাঁধের কিছু অংশ কাটা হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে, তা আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের জেলা কার্যালয় থেকে কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। পরিদর্শনের পাশাপাশি তাঁরা এ বিষয়ে তদন্তও করবেন। তাঁরা ফিরে এসে যে রিপোর্ট দেবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার মদনে মাছ শিকারের জন্য রাতের আঁধারে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। বিষয়টি অবহিত করে স্থানীয় হাবিবুরসহ কয়েকজন কৃষক গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর প্রভাবশালী মহল কৃষকদের হুমকি দিচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কৃষকেরা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের সামনের হাওর থেকে মাঘান ইউনিয়নের পদারকোনা গ্রাম পর্যন্ত একটি ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। ওই ফসল রক্ষা বাঁধের আওতায় গোবিন্দশ্রী, কদমশ্রী, বোয়ালীর হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি রক্ষা পায়।
গোবিন্দশ্রী থেকে পদারকোনা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এই ফসল রক্ষা বাঁধ। এটি কেটে মাছ ধরলে এলাকার মানুষ চলাচল করতে পারবে না।
এই ফসল রক্ষা বাঁধের পাশে নয়াবিল নামের একটি জলমহাল আছে। ওই জলমহালটি ইজারা নিয়েছেন মোনায়েম, রোকন ও সুহেল নামের তিন ব্যক্তি। নয়াবিলের মাছ শিকারের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দেন তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষকেরা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে নিয়ে বাঁধটি মেরামত করেন। কিন্তু এর পরদিন ফের বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়। এ নিয়ে শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষকেরা। বাঁধ কাটার বিষয়টি নিয়ে কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ করায় উল্টো তাঁদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকারের ব্যাপারে জানতে চাইলে নয়াবিলের ইজারাদার মো. রোকন মিয়া বলেন, ‘ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। এটা আমি ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছ থেকে শুনেছি। আমি বাঁধের পাশে যাইনি। যারা বাঁধ ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মাঘান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘ইউএনওর নির্দেশে ইউপি সদস্য লিটন মিয়াকে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেছি। তবে কে বা কারা এই বাঁধ কেটেছে, তা আমার জানা নেই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, গোবিন্দশ্রী থেকে পদারকোনা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এই ফসল রক্ষা বাঁধ। এটি কেটে মাছ ধরলে এলাকার মানুষ চলাচল করতে পারবে না।
মাঘান ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা রুমান বলেন, ‘আমি নিজে গিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছি। বাঁধের চার পাশে এখনো পানি রয়েছে। বাঁধের কিছু অংশ কাটা হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে, তা আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের জেলা কার্যালয় থেকে কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। পরিদর্শনের পাশাপাশি তাঁরা এ বিষয়ে তদন্তও করবেন। তাঁরা ফিরে এসে যে রিপোর্ট দেবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪