Ajker Patrika

এক মাসেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ রহিমের

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২৩: ৩২
এক মাসেও সন্ধান মেলেনি   নিখোঁজ রহিমের

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থেকে তাবলিগ জামাতে পটুয়াখালী গিয়ে আব্দুর রহিম বিজয় (১৭) নামে এক কিশোর নিখোঁজের এক মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি। পরিবারের ধারণা, কেউ তাকে হত্যা করেছে। নয়তো কোনো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে। নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের আব্দুল খালেকের পুত্র রাসেল মিয়া স্থানীয় তাবলিগ জামাতের জিম্মাদার। কটিয়াদীতে আসা তাবলিগ জামাত দলের এক সদস্য বরিশালের মাহাবুবুর রহমান। তাঁদের সঙ্গে কথা হয় মুমুরদিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহিম বিজয়ের। তাঁরা দ্বীনি দাওয়াত দেন আব্দুর রহিমকে। এই দাওয়াতে সাড়া দেয় আব্দুর রহিম। ফলে প্রথমে যাত্রাবাড়ী মসজিদে, পরে গত ১২ অক্টোবর ৪০ দিনের চিল্লায় পটুয়াখালীতে পাঠানো হয়।

পটুয়াখালীতে তাবলিগ জামাতে এক সপ্তাহের মধ্যে আব্দুর রহিমের আচরণ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকাগামী একটি লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। জিম্মাদার সৈকত মিয়া দুদিন পর তার বাড়িতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন রহিম বাড়ি ফেরেনি।

সৈকত মিয়া বলেন, ‘তার আচরণগত সমস্যার জন্য দুদিন আগেই তাকে লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তাবলিগের দুজন সাথিও ছিলেন। নিখোঁজের পর তার পরিবারে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ। রহিমও বাড়িতে যোগাযোগ করেনি। পরিবারের স্বজনেরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর করেও তার কোনো সন্ধান করতে পারেননি।’

নিখোঁজ আব্দুর রহিমের বাবা রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, বরিশালের মাহাবুবুর রহমান তাঁর ছেলেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাবলিগ জামাতে যুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। কিশোরকে না পেয়ে পরিবারে স্বজনেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

অন্যদিকে মাহাবুব পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে ৪০ দিনের চিল্লা শেষ না করেই কটিয়াদী ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে ফোনে মাহাবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনারা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আপনাদের ছেলে ফিরে আসবে।’

কটিয়াদী থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ছেলেটি পটুয়াখালী থেকে নিখোঁজ হয়েছে। মামলা করতে হলে পটুয়াখালীতে করতে হবে। তবে কটিয়াদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা আমাদের মতো তদন্ত করছি। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই জিয়াদ মাহমুদ নাহিদকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত