তরিকুল ইসলাম, ভান্ডারিয়া
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪১ বছরেও অস্ত্রোপচার হয়নি। চিকিৎসক ও অন্যান্য লোকবলসংকটে অস্ত্রোপচার বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পড়ে রয়েছে, যা কোনো কাজেই আসছে না। উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে ২৪ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি নির্মিত হয়। ২০১১ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা করা হয়। ২০১৭ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১০০ শয্যায় উন্নীতের ঘোষণা দেন। হাসপাতালে নতুন ভবন নির্মাণ আর আসবাবপত্র ছাড়া বাড়েনি কোনো জনবল। হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি অ্যান্ড অবস, আর্থ্রাইটিস, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু, যৌন ও চর্ম, কার্ডিওলজি, নাক কান গলা, সহকারী ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসারসহ ১৯ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৭৩টি পদের মধ্যে ২৯টি পদ কয়েক বছর শূন্য রয়েছে। আয়া দুটি পদের দুটিই শূন্য, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ২ জন। বর্তমানে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণকেন্দ্র একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ হাসপাতালে ২৪ জন চিকিৎসকের জায়গায় কাগজে-কলমে ছয়জন থাকলেও রয়েছেন চারজন।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৬টি পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ও ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে চলছে উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা। চিকিৎসক-সংকটের কারণে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার দক্ষিণ পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের মাসুদ হাওলাদার বলেন, এ হাসপাতালে সার্জারির ডাক্তার নেই। থাকলে এখানে অল্প খরচে অস্ত্রোপচার করা যেত। অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতাল বা বরিশালে করতে গেলে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়।
পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাঠালিয়া থেকে আসা ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘পেটের ব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি। মেডিকেল কর্মকর্তারা চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাইনি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মামুন হোসেন বলেন, ‘আমাদের পুরোনো ভবনের অস্ত্রোপচার ও পোস্ট-অপারেটিভ (অস্ত্রোপচার পরবর্তী) দুটি কক্ষ নিয়ে তৈরি করা হয় একটি অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার ইউনিট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোটি টাকার মেশিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন করে। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অস্ত্রোপচার ইউনিটটি আজও চালু করা সম্ভব হয়নি।’ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আজিম তালুকদার বলেন, আমাদের ১৩ জন মেডিকেল কর্মকর্তার পদ থাকলেও আছে মাত্র তিনজন, কনসালট্যান্টের ১১টি পদে আছে মাত্র ১ জন। সার্জন এবং গাইনি ডাক্তার না থাকায় অস্ত্রোপচার ইউনিট চালু করা যাচ্ছে না।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪১ বছরেও অস্ত্রোপচার হয়নি। চিকিৎসক ও অন্যান্য লোকবলসংকটে অস্ত্রোপচার বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পড়ে রয়েছে, যা কোনো কাজেই আসছে না। উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে ২৪ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি নির্মিত হয়। ২০১১ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা করা হয়। ২০১৭ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১০০ শয্যায় উন্নীতের ঘোষণা দেন। হাসপাতালে নতুন ভবন নির্মাণ আর আসবাবপত্র ছাড়া বাড়েনি কোনো জনবল। হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি অ্যান্ড অবস, আর্থ্রাইটিস, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু, যৌন ও চর্ম, কার্ডিওলজি, নাক কান গলা, সহকারী ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসারসহ ১৯ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৭৩টি পদের মধ্যে ২৯টি পদ কয়েক বছর শূন্য রয়েছে। আয়া দুটি পদের দুটিই শূন্য, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ২ জন। বর্তমানে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণকেন্দ্র একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ হাসপাতালে ২৪ জন চিকিৎসকের জায়গায় কাগজে-কলমে ছয়জন থাকলেও রয়েছেন চারজন।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৬টি পরিবার কল্যাণকেন্দ্র ও ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে চলছে উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা। চিকিৎসক-সংকটের কারণে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার দক্ষিণ পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের মাসুদ হাওলাদার বলেন, এ হাসপাতালে সার্জারির ডাক্তার নেই। থাকলে এখানে অল্প খরচে অস্ত্রোপচার করা যেত। অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতাল বা বরিশালে করতে গেলে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়।
পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাঠালিয়া থেকে আসা ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘পেটের ব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি। মেডিকেল কর্মকর্তারা চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাইনি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মামুন হোসেন বলেন, ‘আমাদের পুরোনো ভবনের অস্ত্রোপচার ও পোস্ট-অপারেটিভ (অস্ত্রোপচার পরবর্তী) দুটি কক্ষ নিয়ে তৈরি করা হয় একটি অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার ইউনিট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোটি টাকার মেশিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন করে। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অস্ত্রোপচার ইউনিটটি আজও চালু করা সম্ভব হয়নি।’ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আজিম তালুকদার বলেন, আমাদের ১৩ জন মেডিকেল কর্মকর্তার পদ থাকলেও আছে মাত্র তিনজন, কনসালট্যান্টের ১১টি পদে আছে মাত্র ১ জন। সার্জন এবং গাইনি ডাক্তার না থাকায় অস্ত্রোপচার ইউনিট চালু করা যাচ্ছে না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪