Ajker Patrika

তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তি

সুজন পোদ্দার, কচুয়া
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০২
তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তি

‘ভোর ৫টায় গ্যাস যায়। আসে ‍রাত ১১টায়। গ্যাস এলেও চুলা পিট পিট করে জ্বলে। এ জন্য প্রতিদিন ভোরে উঠে রান্না করতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিন্তু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ভয়ে নিয়মিত বিল পরিশোধ করে যাচ্ছি।’ কথাগুলো বলছিলেন কচুয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পূজা পোদ্দার।

তাঁর মতো চাঁদপুরের কচুয়ায় বহু পরিবারে চুলা জ্বলছে না। ফলে অনেকেই মাটির চুলা ও সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এই তীব্র গ্যাসসংকটের কারণে ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে পৌর এলাকার কোয়া, কোয়া চাঁদপুর, বালিয়াতলী, কড়ইয়া, মাসিমপুর, করইশ, লক্ষ্মীপুরের আশপাশের আড়াই হাজার পরিবারে এই ভোগান্তি চলছে। এসব এলাকার অনেক স্থানে সকালেই গ্যাস উধাও, রাতে এলেও থাকে অল্প সময়।

গতকাল বুধবার পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বাখরাবাদের গ্যাস-সংযোগ আছে। কিন্তু লাইনে গ্যাস সরবরাহ নেই। রান্নার কাজ চলছে মাটির চুলা আর সিলিন্ডার গ্যাসে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কচুয়া পৌরসভার আড়াই হাজার গ্রাহক দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে গ্যাসসংকটে ভুগছে। তবুও নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে এসব গ্রাহককে। বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ আছে, কিন্তু লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় অথবা সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করছেন কচুয়া পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কিন্তু প্রতি মাসে নিয়মিত গ্যাস বিল দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

পৌর এলাকার ভুক্তভোগী শিক্ষক পূজা পোদ্দার বলেন, পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে নিয়মিত গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য বাধ্য হয়ে মাটির চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হচ্ছে।

একই এলাকার আরেক ভুক্তভোগী শামীমা মজুমদার মৌসুমী বলেন, ‘নিয়মিত বিল পরিশোধ করছি, কিন্তু গ্যাস পাচ্ছি না। এভাবে আমাদের আর কত গচ্চা দিতে হবে–জানতে চাইলে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয় না। গ্যাস না দিয়ে বিল নেবে, এটা অন্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামা দরকার।’

গ্যাসের সরবরাহ চালু না করা পর্যন্ত বিল আদায় বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা।

পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন জানান, তাঁর বাড়িতেও গ্যাসসংকট চরমে। রাত ১১টায় গ্যাস আসে আবার ভোর ৫টায় চলে যায়। অল্প যে পরিমাণ গ্যাসের সরবরাহ থাকে তাতে রান্না করা যায় না। রান্নার জন্য তাঁদের সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে হয়। বাখরাবাদের কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলার পরও তাঁরা নিয়মিত গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গৌরীপুরের ব্যবস্থাপক অলিউল্লাহর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকরা

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত