বরগুনা প্রতিনিধি
আইন না মেনে বরগুনায় গড়ে উঠছে বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটা। এসব ভাটায় ড্রাম চিমনির মাধ্যমে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নষ্ট করা হচ্ছে ফসলি জমি আর উজাড় হচ্ছে বনভূমি। ভাটার পাশেই করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই করে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে মারাত্মকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ।
তবে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, কোনোভাবেই এসব অবৈধ ভাটা চালাতে দেওয়া হবে না। বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে (জেলায়) অনুমোদিত ৪২টি ইটভাটার তালিকা পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি অবৈধ ভাটার তালিকা। তবে আমতলী উপজেলার আটটি ড্রাম চিমনি ভাটার তালিকা রয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামে প্রায় ৮০০ শতাংশ ফসলের মাঠজুড়ে গড়ে উঠেছে মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, অন্যদিকে ড্রাম চিমনি আর কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে, ভাটার মালিকেরা প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জোরপূর্বক এ ভাটায় দখল করে নিয়েছেন স্থানীয়দের জমি। অন্যদিকে একই উপজেলার তালুকদার বাজার এলাকায় বছরের পর বছর ড্রাম চিমনি আর কাঠ পুড়িয়ে চালানো হচ্ছে মেসার্স এইচআরটি ব্রিকস। ভাটার পাশেই রয়েছে অনেক পুরাতন বড় একটি বাজার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ বসতবাড়ি। এ ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিশুসহ স্থানীয়রা। কিন্তু ভাটামালিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
এ ছাড়া আমতলী উপজেলার রায়বালা গ্রামের মেসার্স এমএমবি ব্রিকস, হাজার টাকার বাঁধ এলাকার মেসার্স ফাইভ স্টার ব্রিকস, কুতুবপুর এলাকার আরএনকেএস ব্রিকসসহ জেলায় অর্ধশতাধিক ড্রাম চিমনি আর পাঁজা দিয়ে প্রতিবছরের মতো একই অবস্থায় ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে হাইব্রিড হফম্যান, জিগজ্যাগ, ভার্টিক্যাল শ্যাফট ক্লিন অথবা পরীক্ষিত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব ইটভাটা করার কথা রয়েছে। কিন্তু এসব নীতিমালা কোনোভাবেই মানছেন না কিছু ভাটামালিক।
আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের মেসার্স এমএমবি ব্রিকসের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. আল মামুন বলেন, ‘ভাটার আগুনের তাপ ও বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বাড়ির সব গাছপালা মরে যাচ্ছে। কিন্তু এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়।’
একই এলাকায় মো. ইসমাইল চৌকিদার, মো. আবুল চৌকিদার অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকার মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস তাঁদের সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করে অবৈধ ইটভাটা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ফসলি জমিও নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান। তবে মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস মালিক মো. নুরুজ্জামান, মেসার্স এমএমবি ব্রিকসের মালিক মো. আনোয়ার মৃধা দাবি করেন, তাঁদের ভাটার কারণে কোনো ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত অথবা পরিবেশের ওপরে প্রভাব পড়ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক মো. হালিম মিয়া বলেন, বরগুনার আমতলীতে আটটি ড্রাম চিমনির ইটভাটা রয়েছে, তবে তারা এখনো আগুন জালায়নি। এসব ইটভাটাসহ কোনো অবৈধ ইটভাটা চালালে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেসব ইটভাটায় জেলা প্রশাসন লাইসেন্স দেয়নি, ওই সব অবৈধ ইটভাটা কোনোভাবেই চালাতে দেওয়া হবে না। ড্রাম চিমনি এবং লাকড়ি দিয়ে পোড়ানো ভাটাসহ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
আইন না মেনে বরগুনায় গড়ে উঠছে বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটা। এসব ভাটায় ড্রাম চিমনির মাধ্যমে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নষ্ট করা হচ্ছে ফসলি জমি আর উজাড় হচ্ছে বনভূমি। ভাটার পাশেই করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই করে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে মারাত্মকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ।
তবে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, কোনোভাবেই এসব অবৈধ ভাটা চালাতে দেওয়া হবে না। বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে (জেলায়) অনুমোদিত ৪২টি ইটভাটার তালিকা পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি অবৈধ ভাটার তালিকা। তবে আমতলী উপজেলার আটটি ড্রাম চিমনি ভাটার তালিকা রয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামে প্রায় ৮০০ শতাংশ ফসলের মাঠজুড়ে গড়ে উঠেছে মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, অন্যদিকে ড্রাম চিমনি আর কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে, ভাটার মালিকেরা প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জোরপূর্বক এ ভাটায় দখল করে নিয়েছেন স্থানীয়দের জমি। অন্যদিকে একই উপজেলার তালুকদার বাজার এলাকায় বছরের পর বছর ড্রাম চিমনি আর কাঠ পুড়িয়ে চালানো হচ্ছে মেসার্স এইচআরটি ব্রিকস। ভাটার পাশেই রয়েছে অনেক পুরাতন বড় একটি বাজার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ বসতবাড়ি। এ ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিশুসহ স্থানীয়রা। কিন্তু ভাটামালিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
এ ছাড়া আমতলী উপজেলার রায়বালা গ্রামের মেসার্স এমএমবি ব্রিকস, হাজার টাকার বাঁধ এলাকার মেসার্স ফাইভ স্টার ব্রিকস, কুতুবপুর এলাকার আরএনকেএস ব্রিকসসহ জেলায় অর্ধশতাধিক ড্রাম চিমনি আর পাঁজা দিয়ে প্রতিবছরের মতো একই অবস্থায় ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে হাইব্রিড হফম্যান, জিগজ্যাগ, ভার্টিক্যাল শ্যাফট ক্লিন অথবা পরীক্ষিত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব ইটভাটা করার কথা রয়েছে। কিন্তু এসব নীতিমালা কোনোভাবেই মানছেন না কিছু ভাটামালিক।
আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের মেসার্স এমএমবি ব্রিকসের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. আল মামুন বলেন, ‘ভাটার আগুনের তাপ ও বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বাড়ির সব গাছপালা মরে যাচ্ছে। কিন্তু এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়।’
একই এলাকায় মো. ইসমাইল চৌকিদার, মো. আবুল চৌকিদার অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকার মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস তাঁদের সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করে অবৈধ ইটভাটা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ফসলি জমিও নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান। তবে মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস মালিক মো. নুরুজ্জামান, মেসার্স এমএমবি ব্রিকসের মালিক মো. আনোয়ার মৃধা দাবি করেন, তাঁদের ভাটার কারণে কোনো ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত অথবা পরিবেশের ওপরে প্রভাব পড়ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক মো. হালিম মিয়া বলেন, বরগুনার আমতলীতে আটটি ড্রাম চিমনির ইটভাটা রয়েছে, তবে তারা এখনো আগুন জালায়নি। এসব ইটভাটাসহ কোনো অবৈধ ইটভাটা চালালে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেসব ইটভাটায় জেলা প্রশাসন লাইসেন্স দেয়নি, ওই সব অবৈধ ইটভাটা কোনোভাবেই চালাতে দেওয়া হবে না। ড্রাম চিমনি এবং লাকড়ি দিয়ে পোড়ানো ভাটাসহ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪