সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
অনেকেই এই প্রবাদটার অনেক উদাহরণ পেয়ে থাকবেন— গোবরে পদ্মফুল ফোটে। গোবর বলতে নিশ্চয়ই সমাজের কোনো অসম্মানীত ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। ওই অসম্মানীত ব্যক্তির কোনো বংশধর যদি কোনো কারণে সম্মান অর্জন করেন তবে সমাজে ধীরে ধীরে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। তিনি তাঁর কর্মের মধ্য দিয়েই সম্মানটা অর্জন করে নেন। এটা ইতিবাচক বিষয়। কিন্তু এমনও অনেক ব্যক্তি আছেন যারা হাজার চেষ্টা করলেও পূর্বপুরুষের কর্মফল নিজেদের ভোগ করতে হয়। সেটা দুঃখজনক বটে।
সেদিন এক সহকর্মী কথায় কথায় বলে উঠলেন, ‘বাস্টার্ড মানে কী? কেন আমি একজনকে বেজন্মা বলে গালি দেব? কারও মা যদি তাকে পতিতালয়ে জন্ম দেয় সেটা কি তার দোষ? কাউকে যদি আমরা বলি তার জন্মের ঠিক নেই, সেটা কি তার দোষ? একজন যৌনকর্মীর সন্তানের পিতার পরিচয় না পাওয়া গেলেও তার মা তো আছে। তাকে কেন বাস্টার্ড বলে ডাকতে হবে?’ সহকর্মীর মন্তব্যের সঙ্গে একমত। তিনি যদিও আক্ষরিক অর্থে কথাগুলো বলেছেন। তবে এমনও হয় যে, অনেক সময় আমরা জন্ম পরিচয় জেনেও মনের অজান্তে বা ইচ্ছা করে কোনো ব্যক্তিকে ‘বাস্টার্ড’ বা ‘বেজন্মা’ বলে তিরস্কার করে থাকি। তাতে ওই ব্যক্তির জাত যাক বা না যাক, নিজেদের হীন মানসিকতার যে প্রকাশ পায়, সেটা আমরা বুঝতে চাই না।
থাকুক সেসব কথা। ‘গোবরে পদ্মফুল’ হিসেবে একজনের কথা বলি। হয়তো কেউ কেউ তাকে ‘বাস্টার্ড’ বলেও তিরস্কার করতে পছন্দ করতেন! তাঁর নাম ওমর বিন লাদেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, ওসামা বিন লাদেনের ছেলে তিনি। আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে কে না চেনে? ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার পেছনে কৌশলী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওসামা। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা হতে পারে বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা গ্রহণ করে আল-কায়েদার নেতৃত্ব দেবেন ওমর।
কিন্তু ওই যে শুরুতেই যেটা বলেছিলাম, পূর্বপুরুষের স্রোতের ধারায় ওমর নিজেকে বইয়ে দেননি। তিনি পিতার পথে না হেঁটে নিজের পথ বের করে নিয়েছেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসা। পরিচিতি পেয়েছেন আর্টিস্ট হিসেবে। মায়ের সঙ্গে মিলে বইও লিখেছেন। অথচ বাবার দেওয়া প্রশিক্ষণে ভয়ংকর হয়ে ওঠার কথা ছিল তাঁর। আল-কায়েদার আর সব প্রশিক্ষণার্থীর যা শেখানো হতো, ছোটবেলা থেকে তাঁকেও সেসব শিখতে বাধ্য করা হতো। কিন্তু শিল্পীর মন কি আর কাউকে হত্যার মতো জঘন্য কাজে সায় দিতে পারে। ওমরের মন সায় দেয়নি। ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন তিনি। আর দশটা শিশুর মতো খেলার জন্য তাঁকে কোনো খেলনা দেওয়া হতো না। তাতে কি? শিশুর সুন্দর কল্পনাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি আল-কায়েদার প্রশিক্ষণ। দুঃস্বপ্নের মতো অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছেন ওমর বিন লাদেন। আমরা চাইলেই তাঁকে বাহবা দিতে পারি।
ওমরের মতো এমন আরও অনেকেই বাস করেন আমাদের আশপাশে। চাইলে তাঁদের স্বীকৃতিটাও এই আমরাই দিতে পারি। এর আগে আমাদের যে তিরস্কার করার মানসিকতা আছে, সেটাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। ‘বেজন্মা’-র মতো শব্দগুলোকে অভিধান থেকে মুছে দিতে হবে। তাহলে আমরা মানুষকে সহজেই ভালোবাসতে পারব। মানুষকে ভালোবাসতে পারলে পৃথিবীতে শান্তির দূত হিসেবে কাজ করতে পারব। নিজেদেরই নিজেরা প্রশ্ন করে দেখুন—আমরা কি শান্তি চাই না?
অনেকেই এই প্রবাদটার অনেক উদাহরণ পেয়ে থাকবেন— গোবরে পদ্মফুল ফোটে। গোবর বলতে নিশ্চয়ই সমাজের কোনো অসম্মানীত ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। ওই অসম্মানীত ব্যক্তির কোনো বংশধর যদি কোনো কারণে সম্মান অর্জন করেন তবে সমাজে ধীরে ধীরে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। তিনি তাঁর কর্মের মধ্য দিয়েই সম্মানটা অর্জন করে নেন। এটা ইতিবাচক বিষয়। কিন্তু এমনও অনেক ব্যক্তি আছেন যারা হাজার চেষ্টা করলেও পূর্বপুরুষের কর্মফল নিজেদের ভোগ করতে হয়। সেটা দুঃখজনক বটে।
সেদিন এক সহকর্মী কথায় কথায় বলে উঠলেন, ‘বাস্টার্ড মানে কী? কেন আমি একজনকে বেজন্মা বলে গালি দেব? কারও মা যদি তাকে পতিতালয়ে জন্ম দেয় সেটা কি তার দোষ? কাউকে যদি আমরা বলি তার জন্মের ঠিক নেই, সেটা কি তার দোষ? একজন যৌনকর্মীর সন্তানের পিতার পরিচয় না পাওয়া গেলেও তার মা তো আছে। তাকে কেন বাস্টার্ড বলে ডাকতে হবে?’ সহকর্মীর মন্তব্যের সঙ্গে একমত। তিনি যদিও আক্ষরিক অর্থে কথাগুলো বলেছেন। তবে এমনও হয় যে, অনেক সময় আমরা জন্ম পরিচয় জেনেও মনের অজান্তে বা ইচ্ছা করে কোনো ব্যক্তিকে ‘বাস্টার্ড’ বা ‘বেজন্মা’ বলে তিরস্কার করে থাকি। তাতে ওই ব্যক্তির জাত যাক বা না যাক, নিজেদের হীন মানসিকতার যে প্রকাশ পায়, সেটা আমরা বুঝতে চাই না।
থাকুক সেসব কথা। ‘গোবরে পদ্মফুল’ হিসেবে একজনের কথা বলি। হয়তো কেউ কেউ তাকে ‘বাস্টার্ড’ বলেও তিরস্কার করতে পছন্দ করতেন! তাঁর নাম ওমর বিন লাদেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, ওসামা বিন লাদেনের ছেলে তিনি। আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে কে না চেনে? ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার পেছনে কৌশলী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওসামা। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা হতে পারে বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা গ্রহণ করে আল-কায়েদার নেতৃত্ব দেবেন ওমর।
কিন্তু ওই যে শুরুতেই যেটা বলেছিলাম, পূর্বপুরুষের স্রোতের ধারায় ওমর নিজেকে বইয়ে দেননি। তিনি পিতার পথে না হেঁটে নিজের পথ বের করে নিয়েছেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসা। পরিচিতি পেয়েছেন আর্টিস্ট হিসেবে। মায়ের সঙ্গে মিলে বইও লিখেছেন। অথচ বাবার দেওয়া প্রশিক্ষণে ভয়ংকর হয়ে ওঠার কথা ছিল তাঁর। আল-কায়েদার আর সব প্রশিক্ষণার্থীর যা শেখানো হতো, ছোটবেলা থেকে তাঁকেও সেসব শিখতে বাধ্য করা হতো। কিন্তু শিল্পীর মন কি আর কাউকে হত্যার মতো জঘন্য কাজে সায় দিতে পারে। ওমরের মন সায় দেয়নি। ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন তিনি। আর দশটা শিশুর মতো খেলার জন্য তাঁকে কোনো খেলনা দেওয়া হতো না। তাতে কি? শিশুর সুন্দর কল্পনাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি আল-কায়েদার প্রশিক্ষণ। দুঃস্বপ্নের মতো অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছেন ওমর বিন লাদেন। আমরা চাইলেই তাঁকে বাহবা দিতে পারি।
ওমরের মতো এমন আরও অনেকেই বাস করেন আমাদের আশপাশে। চাইলে তাঁদের স্বীকৃতিটাও এই আমরাই দিতে পারি। এর আগে আমাদের যে তিরস্কার করার মানসিকতা আছে, সেটাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। ‘বেজন্মা’-র মতো শব্দগুলোকে অভিধান থেকে মুছে দিতে হবে। তাহলে আমরা মানুষকে সহজেই ভালোবাসতে পারব। মানুষকে ভালোবাসতে পারলে পৃথিবীতে শান্তির দূত হিসেবে কাজ করতে পারব। নিজেদেরই নিজেরা প্রশ্ন করে দেখুন—আমরা কি শান্তি চাই না?
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪