Ajker Patrika

বাঁশ ও বেতশিল্প হুমকিতে

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৭
বাঁশ ও বেতশিল্প হুমকিতে

মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ভারে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে বিরামপুরের বাঁশ ও বেতশিল্প। একসময় গ্রামীণ জনপদে মানুষ বেত ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ব্যবহার করলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি। সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র।

বিরামপুর উপজেলার চাঁদপুর, মির্জাপুর, মুকুন্দপুর, বিশ্বনাথপুর ও কেটরাহাটসহ কয়েকটি গ্রামে মাহালী পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেতের শিল্পকে কোনো রকমে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

জানা যায়, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কুটিরশিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তা ছাড়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের সামগ্রী। টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর।

জানা যায়, একসময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থালি ও শৌখিন পণ্যসামগ্রী। বাঁশ-বেত কেটে গৃহিণীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব পণ্য বিক্রি করেই চলত তাঁদের জীবন।

এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতের শিল্পীদের তৈরি খাল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুকশেলফ কদাচিৎ চোখে পড়ে। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা।

মির্জাপুর গ্রামের সুনিরাম পাহান বলেন, ‘বাঁশ-বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু পরিবার এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছে। অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় চলে গেছে। কয়েকটি পরিবার কোনো রকমে বাপ-দাদার এই পেশা ধরে রেখেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত