সম্পাদকীয়
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়াই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ আগে শোনা যেত, এখন ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে ছাত্রলীগের কোনো কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিষ্কণ্টক করার জন্য, তাঁদের জীবনের দৈনন্দিন সমস্যা দূর করার আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ থাকবে—সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলার মতো কাজেই ছাত্রলীগের আগ্রহ বেশি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে জোর করে সিট দখল থেকে শুরু করে কত ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যে ছাত্রলীগের নাম আসছে! এগুলো কি অসত্য? এই যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি আবাসিক হলের পাঁচ শতাধিক আসন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দখল করে রেখেছেন বলে খবর ছাপা হয়েছে, তা কি অস্বীকার করতে পারবে ছাত্রলীগ?
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের দুটি উপগ্রুপ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে তারা অবরোধেরও ডাক দিয়েছিল। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগের অভন্তরীণ সাংগঠনিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির। তো, এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে অবরোধের ডাক কেন?
অথচ একই দিনে ভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা কর্মকর্তাদের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আলাওল হলে পানির ও শৌচাগারের সমস্যা, অনেক কক্ষে দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে। হলের মাঠে আবাসিক ছাত্ররা খেলতে পারেন না, বহিরাগতদের দখলে থাকে মাঠ। হলের ইন্টারনেট সংযোগে অনেক সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সমাধানের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার কথা ছাত্রলীগের। কিন্তু ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে টুঁ শব্দটি করে না ছাত্রলীগ।
আজকের পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুই ধারায় বিভক্ত। প্রতিটি ধারা আবার বিভিন্ন উপগ্রুপে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি ধারার নেতা-কর্মীরা নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। অন্য ধারার নেতা-কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই দুটি ধারা আবার ১১টি উপগ্রুপে বিভক্ত। এই উপগ্রুপগুলোর পারস্পরিক কোন্দলে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু গ্রুপিং বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি ছাত্রলীগের
প্রভাব বাড়ছে? মনে হয় না। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মে জড়িত, তাদের সবাই ঘৃণা করে।
গত কয়েক বছরে ক্ষমতার দম্ভ ও দাপট দেখিয়ে ছাত্রলীগ এখন আওয়ামী লীগের বোঝা হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ কত দিন এই বোঝা বহন করবে?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়াই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ আগে শোনা যেত, এখন ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে ছাত্রলীগের কোনো কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিষ্কণ্টক করার জন্য, তাঁদের জীবনের দৈনন্দিন সমস্যা দূর করার আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ থাকবে—সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলার মতো কাজেই ছাত্রলীগের আগ্রহ বেশি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে জোর করে সিট দখল থেকে শুরু করে কত ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যে ছাত্রলীগের নাম আসছে! এগুলো কি অসত্য? এই যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি আবাসিক হলের পাঁচ শতাধিক আসন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দখল করে রেখেছেন বলে খবর ছাপা হয়েছে, তা কি অস্বীকার করতে পারবে ছাত্রলীগ?
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের দুটি উপগ্রুপ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে তারা অবরোধেরও ডাক দিয়েছিল। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগের অভন্তরীণ সাংগঠনিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির। তো, এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে অবরোধের ডাক কেন?
অথচ একই দিনে ভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা কর্মকর্তাদের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আলাওল হলে পানির ও শৌচাগারের সমস্যা, অনেক কক্ষে দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে। হলের মাঠে আবাসিক ছাত্ররা খেলতে পারেন না, বহিরাগতদের দখলে থাকে মাঠ। হলের ইন্টারনেট সংযোগে অনেক সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সমাধানের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার কথা ছাত্রলীগের। কিন্তু ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে টুঁ শব্দটি করে না ছাত্রলীগ।
আজকের পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুই ধারায় বিভক্ত। প্রতিটি ধারা আবার বিভিন্ন উপগ্রুপে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি ধারার নেতা-কর্মীরা নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। অন্য ধারার নেতা-কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই দুটি ধারা আবার ১১টি উপগ্রুপে বিভক্ত। এই উপগ্রুপগুলোর পারস্পরিক কোন্দলে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু গ্রুপিং বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি ছাত্রলীগের
প্রভাব বাড়ছে? মনে হয় না। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মে জড়িত, তাদের সবাই ঘৃণা করে।
গত কয়েক বছরে ক্ষমতার দম্ভ ও দাপট দেখিয়ে ছাত্রলীগ এখন আওয়ামী লীগের বোঝা হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ কত দিন এই বোঝা বহন করবে?
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪