বিদ্যালয়ে নলকূপের পানি পানে অসুস্থ ৪০ শিক্ষার্থী

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিদ্যালয়ে নলকূপের পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৪০ শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার উপজেলার শীতলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এখন শিক্ষার্থীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হরিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান।

শীতলপুর উচ্চবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী নলকূপের পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানায়। পরে তিনিসহ অন্য শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের দুটি নলকূপের পানি পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে একটি নলকূপের পানিতে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যায়। এরপর নলকূপটি সিলগালা করে রাখা হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান জানান, পানি পানের পর কিছু শিক্ষার্থীর মাথা ঘুরতে থাকে এবং বমিভাব শুরু হয়। তাদের প্রথম আটজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে একে একে আরও ৩২ শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্ট ও বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়। তাদেরও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণে রেখে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তবে বিষক্রিয়া হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, এখনো তাদের মধ্যে সেসব লক্ষণ নেই। সবাই ভালো আছে। তবু ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
মনিরুল হক আরও বলেন, ওই স্কুলের নলকূপের পানি পরীক্ষা করতে উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর পানিতে বিষের উপস্থিতি ছিল কি না জানা যাবে।

এ ঘটনায় স্কুল পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বহ্নি শিখা আশা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ‌্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাইহানুল ইসলাম মিঞা ও হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।

ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ইউএনও বলেন, ‘পানি পান করার পর বিষক্রিয়ায় দু-একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে লক্ষণ দেখা যেতে পারে, কিন্তু এত শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়াটা অস্বাভাবিক। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’