Ajker Patrika

রাঙ্গাবালীতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২২, ১০: ৩৫
Thumbnail image

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সালিসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চরমোন্তাজের স্লুইস বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, চেয়ার-টেবিল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব খান ও বশির প্যাদার একটি তুচ্ছ ঘটনার বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন প্যাদা, সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান ও দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সালিস হয়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারে। সালিস চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন খানের ভাতিজা রিফাত খান এসে সালিস মানতে দুই পক্ষকে নিষেধ করেন। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের সঙ্গে রিফাত খানের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রিফাতকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রিফাতের চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশাররফ খানের সমর্থকেরা মনির হোসেন প্যাদার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এ সময় রাস্তার ওপর থাকা ৬-৭টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তাই বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। শুনেছি আমার ভাতিজার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না।’

চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন প্যাদা বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমার বাসা ভাঙচুর ও সামনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের বিচার হওয়া উচিত।’

রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত