রিক্তা রিচি, ঢাকা
কেমনে গাঁথিব মালা কেমনে বাজিবে বেণু
আবেগে কাঁপিছে আঁখি বসন্ত এসে গেছে।…
বসন্ত যে এসে গেছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে ভালোভাবেই। মাঘের একেবারে শেষে শৈত্যপ্রবাহের জোর যখন কমছে, তখন দেখা যাচ্ছে ফুলের বাজার বেশ চড়া। এখনো কোকিল ডাকছে না বটে, কিন্তু ফুলের ঘ্রাণ বলে দিচ্ছে, কোকিল ডাকল বলে। কোকিল ডাকুক আর না-ই ডাকুক, আঙুলের কড়ে গুনে আমরা বসন্ত বেণু বাজাব।
বসন্ত মানেই উষ্ণতা, সেটা মনেই হোক আর বসনের রঙেই হোক। সে জন্যই মনে হয়, আমাদের ঐতিহ্যে বসন্তের রং হিসেবে বাসন্তী ও হলুদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ভালোবাসার রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে টকটকে লাল। কিন্তু একই দিনে যদি ভালোবাসা আর বসন্তের জন্য পোশাক বাছতে হয়, তাহলে বিপদে পড়তে হয় না বলুন? আমাদের এখন এই মধুর সমস্যার মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে। একই দিনে পয়লা বসন্ত আর ভ্যালেন্টাইনস, তাই একই দিনে হলুদ আর লালের প্রাচুর্য। তবে হ্যাঁ, উপলক্ষটা কী ভেবেছেন, অর্থাৎ উদ্যাপনের ক্ষেত্রে বসন্তবরণ, নাকি ভালোবাসা—কোনটাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, সেটা বিবেচনায় রেখে পোশাক নির্বাচন করুন। আবার ককটেল কম্বিনেশনও হতে পারে লাল ও হলুদের মিশ্রণে।
উৎসব মানেই পোশাক, গয়না ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। উৎসব মানেই ম্যাচিং ম্যাচিং পোশাক পরার প্রচলন। প্রিয়জনের কাছে ভালোবাসা প্রকাশ করার দিন এটিই। এ সময় যদি নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা না যায়, তাহলে বিষয়টা যেন ঠিক জমে না। তাই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো নিয়ে আসে নতুন ডিজাইনের পোশাক। এ বছর ভালোবাসা দিবসকে বিবেচনায় রেখে ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা নিয়ে এসেছে কাপল টি-শার্ট, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি। শীত চলে গিয়ে গরম আসছে বলে মেয়েদের পোশাকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ভিসকস ফ্যাব্রিক ও জর্জেটের কাপড়। আর ছেলেদের পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি কাপড়। লাল রঙের সঙ্গে কালো, পার্পেল, বেবি পিংক, সাদা ও হলুদ রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
পুরো পোশাকের মূল রং লাল হলেও, এর সঙ্গে অন্য রঙের সংমিশ্রণ দারুণ মানিয়ে যায়। আর ফ্যাশনপ্রেমী মানুষও সাদরে গ্রহণ করেন। লাল পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা পায়জামা আমাদের দেশে এক ঐতিহ্যবাহী কম্বিনেশন। আবার সাদা জমিনে লাল ব্লাউজের সঙ্গে লাল পেড়ে শাড়ি প্রথাগতভাবে পছন্দ এ দেশের নারীদের। তবে পুরো পোশাকই যে লাল হতে হবে, তেমন কোনো কথা নেই। হতে পারে লালের সঙ্গে অন্য রঙের মিশ্রণও; কিংবা সাদা জমিনে লালের নকশা। সালোয়ার-কামিজে লালের সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের কম্বিনেশন দারুণ মানিয়ে যায়।
গয়না
ভালোবাসা দিবসে কুর্তি, থ্রি-পিস ও শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারেন অ্যান্টিক, কাপড়, কাঠ কিংবা রেজিনের গয়না। ছোট দুল, মালা, বালা ও চুড়িও হতে পারে আপনার পোশাকের সঙ্গে মানানসই। অনলাইন পেজ হরপ্পা, কাসিমাত, তাজনোভা’স আরটিস্ট্রি, গয়নার ডিব্বা, সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, রূপসা, নয়া বায়না, টেনটেরালি থেকে কিনতে পারবেন মনের মতো গয়না। এ ছাড়া ফুলের গয়না ও ক্রাউনেও নিজেকে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল লাইট ডিনার কিংবা রাতের পার্টিতে যদি এক্সক্লুসিভ লুক চান, তাহলে হীরার দুল, নেকলেস পরতে পারেন। নাকে পরতে পারেন হীরার নাকফুল আর হাতে হীরার আংটি। আর ক্যাজুয়াল লুকের জন্য আপনার যা পছন্দ হয়, তা দিয়েই সাজিয়ে তুলুন নিজেকে।
যেমন হবে চুলের সাজ
চুল ছেড়ে রাখবেন নাকি মনের মতো করে বাঁধবেন, সেটি নির্ভর করছে আপনার ইচ্ছার ওপর। যেহেতু এখনো শীতের রেশ কাটেনি, চুল খোলা রাখতেই পারেন। কানের একপাশে গুঁজে দিতে পারেন সাদা গ্লাডিওলাস, লাল কিংবা পার্পেল রঙের জারবারা। লালের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যাবে কিন্তু। যদি খোঁপা করেন, তাহলে পরে নিন রজনীগন্ধা। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর পুরো মুহূর্তে রজনীগন্ধার সুবাসে বিমোহিত হবেন।
জুতা ও ব্যাগ
ভ্যালেন্টাইনস ডের সাজকে পূর্ণ করতে ব্যাগ ও জুতায় নজর দিন। শাড়ির সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যাবে ফ্ল্যাট হিল বা পেনসিল হিল। এ ছাড়া সালোয়ার-কামিজ ও পশ্চিমি কোনো পোশাকের সঙ্গে পায়ে গলিয়ে নিতে পারেন গ্ল্যাডিয়েটর, স্যান্ডেল, পাম্প শু কিংবা মানানসই যেকোনো জুতা। পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে বা কনট্রাস্ট করে নিন ফ্যাশনেবল কোনো ব্যাগ। কুর্তি, শাড়ি বা গাউন যদি পরেন, তাহলে বেছে নিতে পারেন ফ্যাশনেবল ক্লাচ ব্যাগ, টোট ব্যাগ ও শোল্ডার ব্যাগ। পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে বাকেট ব্যাগ ও এক্সক্লুসিভ ব্যাকপ্যাক নিতে পারেন।
সাজসজ্জা যা-ই হোক, উপভোগ করুন পুরো সময়।
কেমনে গাঁথিব মালা কেমনে বাজিবে বেণু
আবেগে কাঁপিছে আঁখি বসন্ত এসে গেছে।…
বসন্ত যে এসে গেছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে ভালোভাবেই। মাঘের একেবারে শেষে শৈত্যপ্রবাহের জোর যখন কমছে, তখন দেখা যাচ্ছে ফুলের বাজার বেশ চড়া। এখনো কোকিল ডাকছে না বটে, কিন্তু ফুলের ঘ্রাণ বলে দিচ্ছে, কোকিল ডাকল বলে। কোকিল ডাকুক আর না-ই ডাকুক, আঙুলের কড়ে গুনে আমরা বসন্ত বেণু বাজাব।
বসন্ত মানেই উষ্ণতা, সেটা মনেই হোক আর বসনের রঙেই হোক। সে জন্যই মনে হয়, আমাদের ঐতিহ্যে বসন্তের রং হিসেবে বাসন্তী ও হলুদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ভালোবাসার রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে টকটকে লাল। কিন্তু একই দিনে যদি ভালোবাসা আর বসন্তের জন্য পোশাক বাছতে হয়, তাহলে বিপদে পড়তে হয় না বলুন? আমাদের এখন এই মধুর সমস্যার মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে। একই দিনে পয়লা বসন্ত আর ভ্যালেন্টাইনস, তাই একই দিনে হলুদ আর লালের প্রাচুর্য। তবে হ্যাঁ, উপলক্ষটা কী ভেবেছেন, অর্থাৎ উদ্যাপনের ক্ষেত্রে বসন্তবরণ, নাকি ভালোবাসা—কোনটাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, সেটা বিবেচনায় রেখে পোশাক নির্বাচন করুন। আবার ককটেল কম্বিনেশনও হতে পারে লাল ও হলুদের মিশ্রণে।
উৎসব মানেই পোশাক, গয়না ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। উৎসব মানেই ম্যাচিং ম্যাচিং পোশাক পরার প্রচলন। প্রিয়জনের কাছে ভালোবাসা প্রকাশ করার দিন এটিই। এ সময় যদি নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা না যায়, তাহলে বিষয়টা যেন ঠিক জমে না। তাই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো নিয়ে আসে নতুন ডিজাইনের পোশাক। এ বছর ভালোবাসা দিবসকে বিবেচনায় রেখে ফ্যাশন ব্র্যান্ড সারা নিয়ে এসেছে কাপল টি-শার্ট, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি। শীত চলে গিয়ে গরম আসছে বলে মেয়েদের পোশাকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ভিসকস ফ্যাব্রিক ও জর্জেটের কাপড়। আর ছেলেদের পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি কাপড়। লাল রঙের সঙ্গে কালো, পার্পেল, বেবি পিংক, সাদা ও হলুদ রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
পুরো পোশাকের মূল রং লাল হলেও, এর সঙ্গে অন্য রঙের সংমিশ্রণ দারুণ মানিয়ে যায়। আর ফ্যাশনপ্রেমী মানুষও সাদরে গ্রহণ করেন। লাল পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা পায়জামা আমাদের দেশে এক ঐতিহ্যবাহী কম্বিনেশন। আবার সাদা জমিনে লাল ব্লাউজের সঙ্গে লাল পেড়ে শাড়ি প্রথাগতভাবে পছন্দ এ দেশের নারীদের। তবে পুরো পোশাকই যে লাল হতে হবে, তেমন কোনো কথা নেই। হতে পারে লালের সঙ্গে অন্য রঙের মিশ্রণও; কিংবা সাদা জমিনে লালের নকশা। সালোয়ার-কামিজে লালের সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের কম্বিনেশন দারুণ মানিয়ে যায়।
গয়না
ভালোবাসা দিবসে কুর্তি, থ্রি-পিস ও শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারেন অ্যান্টিক, কাপড়, কাঠ কিংবা রেজিনের গয়না। ছোট দুল, মালা, বালা ও চুড়িও হতে পারে আপনার পোশাকের সঙ্গে মানানসই। অনলাইন পেজ হরপ্পা, কাসিমাত, তাজনোভা’স আরটিস্ট্রি, গয়নার ডিব্বা, সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, রূপসা, নয়া বায়না, টেনটেরালি থেকে কিনতে পারবেন মনের মতো গয়না। এ ছাড়া ফুলের গয়না ও ক্রাউনেও নিজেকে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল লাইট ডিনার কিংবা রাতের পার্টিতে যদি এক্সক্লুসিভ লুক চান, তাহলে হীরার দুল, নেকলেস পরতে পারেন। নাকে পরতে পারেন হীরার নাকফুল আর হাতে হীরার আংটি। আর ক্যাজুয়াল লুকের জন্য আপনার যা পছন্দ হয়, তা দিয়েই সাজিয়ে তুলুন নিজেকে।
যেমন হবে চুলের সাজ
চুল ছেড়ে রাখবেন নাকি মনের মতো করে বাঁধবেন, সেটি নির্ভর করছে আপনার ইচ্ছার ওপর। যেহেতু এখনো শীতের রেশ কাটেনি, চুল খোলা রাখতেই পারেন। কানের একপাশে গুঁজে দিতে পারেন সাদা গ্লাডিওলাস, লাল কিংবা পার্পেল রঙের জারবারা। লালের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যাবে কিন্তু। যদি খোঁপা করেন, তাহলে পরে নিন রজনীগন্ধা। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর পুরো মুহূর্তে রজনীগন্ধার সুবাসে বিমোহিত হবেন।
জুতা ও ব্যাগ
ভ্যালেন্টাইনস ডের সাজকে পূর্ণ করতে ব্যাগ ও জুতায় নজর দিন। শাড়ির সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যাবে ফ্ল্যাট হিল বা পেনসিল হিল। এ ছাড়া সালোয়ার-কামিজ ও পশ্চিমি কোনো পোশাকের সঙ্গে পায়ে গলিয়ে নিতে পারেন গ্ল্যাডিয়েটর, স্যান্ডেল, পাম্প শু কিংবা মানানসই যেকোনো জুতা। পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে বা কনট্রাস্ট করে নিন ফ্যাশনেবল কোনো ব্যাগ। কুর্তি, শাড়ি বা গাউন যদি পরেন, তাহলে বেছে নিতে পারেন ফ্যাশনেবল ক্লাচ ব্যাগ, টোট ব্যাগ ও শোল্ডার ব্যাগ। পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে বাকেট ব্যাগ ও এক্সক্লুসিভ ব্যাকপ্যাক নিতে পারেন।
সাজসজ্জা যা-ই হোক, উপভোগ করুন পুরো সময়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪