মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর কার্যক্রমে আসার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উড়োজাহাজ সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড। তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাধা প্রতিষ্ঠানটির কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৩৫৫ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা। এই বকেয়া মওকুফ পেতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল এয়ারলাইনসটি। বিমান মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের জন্য তা পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সে আবেদন নাকচ করেছে। ফলে বকেয়া পরিশোধ করেই কার্যক্রমে আসতে হবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মওকুফ না হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে গত ২৭ মার্চ বেবিচক চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ জামিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘বন্ধ থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের নিকট বেবিচকের পাওনা মওকুফে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ অসম্মতি জানিয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মওকুফের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছে। ফলে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) পেতে হলে অবশ্যই তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৫৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ টাকা। এর মধ্যে মূল বকেয়ার পরিমাণ ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা। এ ছাড়া ভ্যাট ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৫ টাকা, আয়কর ২ লাখ ১২ হাজার ২০ টাকা এবং সারচার্জ ২৯২ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ টি এম নজরুল ইসলাম জানান, ‘এয়ারলাইনসটিকে নতুন করে চালু করতে সবচেয়ে বড় বাধা বেবিচকের বিপুল পরিমাণের পাওনা ও চলতি মূলধনের সংকট। সে কারণে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল, যা অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নাকচ হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তা বোর্ডে ওঠানো হবে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পন্থা ঠিক করা হবে।’
এর আগে গত বছরের ২৯ জুন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মওকুফের অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি পাঠায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। একই মাসে এয়ারলাইনসটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচকও বকেয়া মওকুফের প্রস্তাবটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করে।
এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারের আগের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৮৬২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ইউনাইটেড এয়ারের পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের (বোর্ড অব ডিরেক্টরস) কার্যক্রমের ওপর তদন্ত পরিচালনা করা হয়েছিল। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটির সুপারিশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে আসে। প্রথমে তারা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে। পরে দেশের বাইরের রুটেও সেবা দিচ্ছিল। কোম্পানির পরিচালকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আবার চালু হলেও ২০১৬ সালে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উদ্যোক্তাদের শতভাগ মালিকানার কোম্পানিটির এখন সাড়ে ৯৭ শতাংশ মালিকানা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। অর্থাৎ কোম্পানির এই ৯৭ শতাংশ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে বিক্রি করে দিয়ে ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা তুলে নিয়ে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা।
প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর কার্যক্রমে আসার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উড়োজাহাজ সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড। তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাধা প্রতিষ্ঠানটির কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৩৫৫ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা। এই বকেয়া মওকুফ পেতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল এয়ারলাইনসটি। বিমান মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের জন্য তা পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সে আবেদন নাকচ করেছে। ফলে বকেয়া পরিশোধ করেই কার্যক্রমে আসতে হবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মওকুফ না হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে গত ২৭ মার্চ বেবিচক চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ জামিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘বন্ধ থাকা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের নিকট বেবিচকের পাওনা মওকুফে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ অসম্মতি জানিয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মওকুফের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করেছে। ফলে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) পেতে হলে অবশ্যই তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৫৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ টাকা। এর মধ্যে মূল বকেয়ার পরিমাণ ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা। এ ছাড়া ভ্যাট ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৫ টাকা, আয়কর ২ লাখ ১২ হাজার ২০ টাকা এবং সারচার্জ ২৯২ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ টি এম নজরুল ইসলাম জানান, ‘এয়ারলাইনসটিকে নতুন করে চালু করতে সবচেয়ে বড় বাধা বেবিচকের বিপুল পরিমাণের পাওনা ও চলতি মূলধনের সংকট। সে কারণে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল, যা অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নাকচ হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তা বোর্ডে ওঠানো হবে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পন্থা ঠিক করা হবে।’
এর আগে গত বছরের ২৯ জুন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মওকুফের অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি পাঠায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। একই মাসে এয়ারলাইনসটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচকও বকেয়া মওকুফের প্রস্তাবটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করে।
এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারের আগের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৮৬২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ইউনাইটেড এয়ারের পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের (বোর্ড অব ডিরেক্টরস) কার্যক্রমের ওপর তদন্ত পরিচালনা করা হয়েছিল। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটির সুপারিশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে আসে। প্রথমে তারা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে। পরে দেশের বাইরের রুটেও সেবা দিচ্ছিল। কোম্পানির পরিচালকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আবার চালু হলেও ২০১৬ সালে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উদ্যোক্তাদের শতভাগ মালিকানার কোম্পানিটির এখন সাড়ে ৯৭ শতাংশ মালিকানা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। অর্থাৎ কোম্পানির এই ৯৭ শতাংশ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে বিক্রি করে দিয়ে ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা তুলে নিয়ে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪