নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি)।
কর্মশালায় ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড সেইফ হ্যান্ডলিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্যাবির প্রকল্প সমন্বয়ক দিলরুবা শারমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ১৯৯৭ সালে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৬৭ টনে। আর ২০২২ সালে তা ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়।
দেশে গত পাঁচ বছরে বালাইনাশকের ব্যবহার ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এতে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে গেছে।
এখন ঘরে ঘরে ক্যানসারের রোগী রয়েছে উল্লেখ করে দিলরুবা শারমিন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে মাছ চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে; বিশেষ করে শুঁটকিতে প্রচুর প্রয়োগ হচ্ছে।
বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে। সরকার ৪০টি কীটনাশককে বন্ধ করে দিয়েছে।
বালাইনাশক ব্যবহারের সৃষ্ট বিষক্রিয়া সম্পর্কে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পোকা দমনে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিষক্রিয়া ঘটায়।
ক্যাবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রেজিস্টার্ড বালাইনাশক রয়েছে ৮ হাজার ১৩টি, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে ৩৬৩টি, আর বায়ো-পেস্টিসাইড আছে ১১০টি। দেশে বালাইনাশকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৭৫৪টি প্রতিষ্ঠান এবং বালাইনাশকের বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ফসলে কীটনাশক প্রয়োগে অসচেতনতার কথা তুলে ধরে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষকেরই নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে ২৭ শতাংশ কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের পর অসুস্থতা বোধ করেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের তাদের বিক্রি করা বালাইনাশক নিয়ে জানাশোনা আছে, বাকিদের তা নেই।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ বলেন, কীটনাশকের ব্যবহার পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হলেও এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। তাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখতে হবে। কৃষি খাতে উন্নতির ফলে সারা বছর শাকসবজি পাওয়া গেলেও সেগুলো কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৪ শতাংশই কৃষক। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আব্দুল মুঈদ আরও বলেন, ১৯৫৩ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিরা ভাবত ‘বোকার ফসল পোকা খায়’। সেটি কমানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কারণে ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এখন কীটনাশক ব্যবহারের আগে তারা চিন্তা করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা কীটনাশকের অযথা ব্যবহার কমাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ক্যাবির এশিয়াবিষয়ক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি)।
কর্মশালায় ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড সেইফ হ্যান্ডলিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্যাবির প্রকল্প সমন্বয়ক দিলরুবা শারমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ১৯৯৭ সালে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৬৭ টনে। আর ২০২২ সালে তা ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়।
দেশে গত পাঁচ বছরে বালাইনাশকের ব্যবহার ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এতে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে গেছে।
এখন ঘরে ঘরে ক্যানসারের রোগী রয়েছে উল্লেখ করে দিলরুবা শারমিন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে মাছ চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে; বিশেষ করে শুঁটকিতে প্রচুর প্রয়োগ হচ্ছে।
বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে। সরকার ৪০টি কীটনাশককে বন্ধ করে দিয়েছে।
বালাইনাশক ব্যবহারের সৃষ্ট বিষক্রিয়া সম্পর্কে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পোকা দমনে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিষক্রিয়া ঘটায়।
ক্যাবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রেজিস্টার্ড বালাইনাশক রয়েছে ৮ হাজার ১৩টি, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে ৩৬৩টি, আর বায়ো-পেস্টিসাইড আছে ১১০টি। দেশে বালাইনাশকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৭৫৪টি প্রতিষ্ঠান এবং বালাইনাশকের বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ফসলে কীটনাশক প্রয়োগে অসচেতনতার কথা তুলে ধরে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষকেরই নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে ২৭ শতাংশ কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের পর অসুস্থতা বোধ করেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের তাদের বিক্রি করা বালাইনাশক নিয়ে জানাশোনা আছে, বাকিদের তা নেই।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ বলেন, কীটনাশকের ব্যবহার পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হলেও এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। তাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখতে হবে। কৃষি খাতে উন্নতির ফলে সারা বছর শাকসবজি পাওয়া গেলেও সেগুলো কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৪ শতাংশই কৃষক। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আব্দুল মুঈদ আরও বলেন, ১৯৫৩ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিরা ভাবত ‘বোকার ফসল পোকা খায়’। সেটি কমানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কারণে ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এখন কীটনাশক ব্যবহারের আগে তারা চিন্তা করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা কীটনাশকের অযথা ব্যবহার কমাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ক্যাবির এশিয়াবিষয়ক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।
সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে আজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বুধবার, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৩। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রাজধানীর অবস্থান ২৩তম।
১ ঘণ্টা আগেদেশে গত পাঁচ বছরে কীটনাশকের ব্যবহার ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কেয়ার বাংলাদেশ (কেবি) আয়োজিত ‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’—কর্মশালায়
১৮ ঘণ্টা আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ মঙ্গলবার, সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৩। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রাজধানীর অবস্থান ২৮তম।
১ দিন আগে