সৈয়দ ঋয়াদ, আজারবাইজান থেকে
বার্ষিক শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের শর্ত পূরণ হয়নি গত এক দশকেও। এর মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর পক্ষ থেকে।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ২৯ সম্মেলনে (কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ) এলডিসি নেতারা এ দাবি তোলেন। তবে ক্ষতিপূরণ আদায়ের এই পথকে বেশ জটিল ও কঠিন মনে করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, অর্থ ছাড় বা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিগত বছরগুলোয় উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেনি। ফলে এই সম্মেলনে এ বিষয়ে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। অর্থ ছাড়ে উন্নত বিশ্বের দর-কষাকষির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবে ক্ষতিপূরণ বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। ফলে সম্মেলনে অনুদান বা ক্ষতিপূরণের চেয়ে ঋণ দিতে আগ্রহী রাষ্ট্রগুলো।
এরই মধ্যে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার সবুজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংক ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা। জলবায়ু সম্মেলনে ‘অর্থ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য’র জন্য নির্ধারিত দিনে বিজনেস, ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিলানথ্রপি ক্লাইমেট প্ল্যাটফর্ম থেকে (বিআইপিসিপি) বিনিয়োগসংক্রান্ত অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বৃহৎ ব্যবসায়ী ও ব্যাংকিং সেক্টর থেকে এই ঘোষণা করা হয়।
বিআইপিসিপি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই বাজারে বেসরকারি মূলধন স্থাপন এবং খাতটিকে আরও ফলপ্রসূ করতে বিশাল এই অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কর্মসূচির জন্য ৩৫০ কোটি ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ছাড়া আজারবাইজানের ব্যাংকিং খাত ২০৩০ সালের মধ্যে সবুজ প্রকল্পে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার এবং সুইডেন জাতিসংঘের সবুজ জলবায়ু তহবিলে ৭৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে। সুইডেনের অর্থ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় বিনিয়োগ করা হবে।
তবে বিপুল এই অর্থ ছাড়ে খুব একটা আশার বাণী দেখছেন না বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। বিনিয়োগ বা ঋণ নয়, বরং উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছে ক্ষতিপূরণ চাইছে এলডিসিভুক্ত দেশগুলো। বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের সদস্য ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে আমাদের ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করার কথা ছিল, সেটি আমরা অর্জন করতে পারিনি। ২০২২ সালে উন্নত বিশ্ব বলছিল, ১১৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, কিন্তু আমরা এই সংখ্যাকে বিশ্বাস করি না। অক্সফাম হিসাব করে দেখিয়েছে, সেটা প্রয়োজনের তুলনায় এক-চতুর্থাংশের কম। তাই জলবায়ু অর্থায়নের ওপর আমি খুব আশাবাদী নই।’
লস অ্যান্ড ডেমেজ বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের সদস্য মো. হাফিজ খান বলেন, ‘এডাপটেশন, মিটিগেশন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ খাতে সহায়তা নয়, ঋণ দিতে চায় বিশ্বনেতারা। তবে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি ক্ষতিপূরণ। অন্তত এবারের কপে আমরা বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ক্ষতিপূরণের একটি গোল সেট করতে চাই।’
এদিকে সম্মেলনে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি অনেকটা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে। তাদের আশঙ্কা, রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি অর্থ ছাড়ে বাধা হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব দেশের প্রতিনিধিদের অর্থ ছাড়ে সদিচ্ছা থাকলে রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি বাধা হবে না।
বার্ষিক শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের শর্ত পূরণ হয়নি গত এক দশকেও। এর মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর পক্ষ থেকে।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ২৯ সম্মেলনে (কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ) এলডিসি নেতারা এ দাবি তোলেন। তবে ক্ষতিপূরণ আদায়ের এই পথকে বেশ জটিল ও কঠিন মনে করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, অর্থ ছাড় বা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিগত বছরগুলোয় উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেনি। ফলে এই সম্মেলনে এ বিষয়ে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। অর্থ ছাড়ে উন্নত বিশ্বের দর-কষাকষির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবে ক্ষতিপূরণ বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। ফলে সম্মেলনে অনুদান বা ক্ষতিপূরণের চেয়ে ঋণ দিতে আগ্রহী রাষ্ট্রগুলো।
এরই মধ্যে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার সবুজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংক ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা। জলবায়ু সম্মেলনে ‘অর্থ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য’র জন্য নির্ধারিত দিনে বিজনেস, ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিলানথ্রপি ক্লাইমেট প্ল্যাটফর্ম থেকে (বিআইপিসিপি) বিনিয়োগসংক্রান্ত অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বৃহৎ ব্যবসায়ী ও ব্যাংকিং সেক্টর থেকে এই ঘোষণা করা হয়।
বিআইপিসিপি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই বাজারে বেসরকারি মূলধন স্থাপন এবং খাতটিকে আরও ফলপ্রসূ করতে বিশাল এই অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কর্মসূচির জন্য ৩৫০ কোটি ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ছাড়া আজারবাইজানের ব্যাংকিং খাত ২০৩০ সালের মধ্যে সবুজ প্রকল্পে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার এবং সুইডেন জাতিসংঘের সবুজ জলবায়ু তহবিলে ৭৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে। সুইডেনের অর্থ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় বিনিয়োগ করা হবে।
তবে বিপুল এই অর্থ ছাড়ে খুব একটা আশার বাণী দেখছেন না বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। বিনিয়োগ বা ঋণ নয়, বরং উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছে ক্ষতিপূরণ চাইছে এলডিসিভুক্ত দেশগুলো। বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের সদস্য ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে আমাদের ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করার কথা ছিল, সেটি আমরা অর্জন করতে পারিনি। ২০২২ সালে উন্নত বিশ্ব বলছিল, ১১৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, কিন্তু আমরা এই সংখ্যাকে বিশ্বাস করি না। অক্সফাম হিসাব করে দেখিয়েছে, সেটা প্রয়োজনের তুলনায় এক-চতুর্থাংশের কম। তাই জলবায়ু অর্থায়নের ওপর আমি খুব আশাবাদী নই।’
লস অ্যান্ড ডেমেজ বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের সদস্য মো. হাফিজ খান বলেন, ‘এডাপটেশন, মিটিগেশন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ খাতে সহায়তা নয়, ঋণ দিতে চায় বিশ্বনেতারা। তবে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি ক্ষতিপূরণ। অন্তত এবারের কপে আমরা বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ক্ষতিপূরণের একটি গোল সেট করতে চাই।’
এদিকে সম্মেলনে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি অনেকটা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে। তাদের আশঙ্কা, রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি অর্থ ছাড়ে বাধা হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব দেশের প্রতিনিধিদের অর্থ ছাড়ে সদিচ্ছা থাকলে রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুপস্থিতি বাধা হবে না।
সবচেয়ে বিস্তৃতভাবে পাওয়া গেছে ক্যাডমিয়াম ধাতু, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এই ধাতুর উপস্থিতি আশঙ্কাজনক ভাবে বেশি।
১৬ ঘণ্টা আগেসাধারণত বৃষ্টি হলে কমে আসে দূষণ। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টির পরও বায়ুমানে তেমন উন্নতি নেই। আজ শুক্রবার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ এর রেকর্ড অনুযায়ী, বায়ুমান ১৬১ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা। যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক...
২১ ঘণ্টা আগেসোনা জঙ্ঘা, রঙ্গিলা, চিত্রা বক কিংবা রঙ্গিলা সারস। নামেই দারুণ রঙিন একটা বিষয় আছে এর। আবার যদি জানেন যে এর নাম রাঙা মানিকজোড়, তাহলে আপনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটির কথা মনে হতে পারে, অন্য বন্ধুরা যাকে আপনার মানিকজোড় বলত।
১ দিন আগেবায়ুদূষণে আজ আবার শীর্ষে রাজধানী ঢাকা। টানা বেশ কয়েকদিন রাজধানী শহরের বাতাস সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও গত রোববার থেকে অবনতি হতে শুরু করে বায়ুমান। আজ বৃহস্পতিবার বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী বায়ুমান ১৮৬ নিয়ে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।
২ দিন আগে