নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলতি বছর হিট ওয়েব বা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। যা গত ৫৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই তাপপ্রবাহ এক বা দুই দিন স্থায়ী ছিল না। টানা কয়েক দিন ঢাকা ও কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ৪০-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠা নাম করেছিল। ঢাকার এমন তাপমাত্রা নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশবাদীরা।
গাছ কাটা, এসির ব্যবহার বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত পরিবহন বৃদ্ধি, জলাশয় ভরাটসহ নানা কারণে শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। তবে সবার সমন্বিত উদ্যোগ এই অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজের (বারসিক) যৌথ আয়োজনে ‘শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি: কারণ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন কথা উঠে এসেছে।
মূল বক্তব্যে ক্যাপস-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক অনেকগুলো কারণ থাকলেও স্থানীয় কারণগুলো মুখ্য। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্থানীয় কারণগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ক্যাপস-এর একটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, ঢাকা শহরে নির্বাচিত স্থানগুলোর মধ্যে গ্রীষ্মকালে যে চারটি স্থানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সেগুলো হলো যথাক্রমে—তেজগাঁও শিল্প এলাকা (৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মতিঝিল শাপলা চত্বর (৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মিরপুর ১০ নম্বর এবং সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল (৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। গ্রীষ্মকালে যে চারটি স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সেগুলো হলো—ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, রমনা পার্ক, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন।
ক্যাপস-এর গবেষণা আরও দেখা যায়, ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেজগাঁও শিল্প এলাকাতে এবং সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২২ দশমিক ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রমনা পার্ক, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন অঞ্চলে। অর্থাৎ শুধু জলাভূমি ও বৃক্ষ কম থাকার কারণে তেজগাঁও শিল্প এলাকা এবং চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার মধ্যকার গড় তাপমাত্রার পার্থক্য ৩ দশমিক ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি ঢাকা শহরের এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ১২টি সুপারিশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে—শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে, ছাদ বাগান বৃদ্ধি করতে হবে, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ নিধন করা যাবে না, ঢাকায় জলাধারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে ও দখলকৃত জলাধার ও জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে, এসির ব্যবহার কমিয়ে মেকানিক্যাল ও প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশন পদ্ধতিতে বিল্ডিং-এর তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ এস. এম. কামরুল হাসান বলেন, ‘পৃথিবী তার নিজস্ব প্রাকৃতিক নিয়মে একবার উত্তপ্ত হয় আবার শীতল হয়। তবে কিছু মানুষ সৃষ্ট কারণে পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশে প্রায়ই এলনিনো দেখা যাচ্ছে এবং এভাবে এলনিনো বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।’
সংসদ সদস্য খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, শহরের তাপমাত্রা কমাতে নীতিগতভাবে যেসব উদ্যোগ প্রয়োজন তার জন্য সংসদে তিনি কথা বলবেন।
এ ছাড়া আরও কথা বলেন—পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, বার্ষিকের সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনসহ অন্যান্যরা।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলতি বছর হিট ওয়েব বা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। যা গত ৫৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই তাপপ্রবাহ এক বা দুই দিন স্থায়ী ছিল না। টানা কয়েক দিন ঢাকা ও কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ৪০-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠা নাম করেছিল। ঢাকার এমন তাপমাত্রা নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশবাদীরা।
গাছ কাটা, এসির ব্যবহার বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত পরিবহন বৃদ্ধি, জলাশয় ভরাটসহ নানা কারণে শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। তবে সবার সমন্বিত উদ্যোগ এই অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজের (বারসিক) যৌথ আয়োজনে ‘শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি: কারণ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন কথা উঠে এসেছে।
মূল বক্তব্যে ক্যাপস-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক অনেকগুলো কারণ থাকলেও স্থানীয় কারণগুলো মুখ্য। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্থানীয় কারণগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ক্যাপস-এর একটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, ঢাকা শহরে নির্বাচিত স্থানগুলোর মধ্যে গ্রীষ্মকালে যে চারটি স্থানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সেগুলো হলো যথাক্রমে—তেজগাঁও শিল্প এলাকা (৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মতিঝিল শাপলা চত্বর (৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মিরপুর ১০ নম্বর এবং সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল (৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। গ্রীষ্মকালে যে চারটি স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সেগুলো হলো—ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, রমনা পার্ক, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন।
ক্যাপস-এর গবেষণা আরও দেখা যায়, ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেজগাঁও শিল্প এলাকাতে এবং সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২২ দশমিক ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রমনা পার্ক, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন অঞ্চলে। অর্থাৎ শুধু জলাভূমি ও বৃক্ষ কম থাকার কারণে তেজগাঁও শিল্প এলাকা এবং চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার মধ্যকার গড় তাপমাত্রার পার্থক্য ৩ দশমিক ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি ঢাকা শহরের এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ১২টি সুপারিশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে—শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে, ছাদ বাগান বৃদ্ধি করতে হবে, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ নিধন করা যাবে না, ঢাকায় জলাধারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে ও দখলকৃত জলাধার ও জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে, এসির ব্যবহার কমিয়ে মেকানিক্যাল ও প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশন পদ্ধতিতে বিল্ডিং-এর তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ এস. এম. কামরুল হাসান বলেন, ‘পৃথিবী তার নিজস্ব প্রাকৃতিক নিয়মে একবার উত্তপ্ত হয় আবার শীতল হয়। তবে কিছু মানুষ সৃষ্ট কারণে পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশে প্রায়ই এলনিনো দেখা যাচ্ছে এবং এভাবে এলনিনো বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।’
সংসদ সদস্য খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, শহরের তাপমাত্রা কমাতে নীতিগতভাবে যেসব উদ্যোগ প্রয়োজন তার জন্য সংসদে তিনি কথা বলবেন।
এ ছাড়া আরও কথা বলেন—পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, বার্ষিকের সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনসহ অন্যান্যরা।
মাঘের মাঝামাঝি এসে আজ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ দিন দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামীকালও এমন আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে...
২১ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের
১ দিন আগেসারা দেশে আজ তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে আগামীকাল থেকে দেশের চার বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
২ দিন আগেঢাকার বাতাসে ব্যাপক দূষণ। বায়ুমান সূচকে সকালের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এই শহরের আজকের বায়ুমান ২৬৭। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে তা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ধরা হয় এবং এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা ভয়ানক পর্যায়ের দূষণ হিসেবে ধরা হয়। এ দিকে ঝুঁকিপূর্ণ...
২ দিন আগে