মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
সরকারি জমি ও সৈকতের বেলাভূমি দখলের যেন মচ্ছব চলছে কক্সবাজারে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতারা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। গত তিন থেকে চার মাসে শহরের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতে দোকানপাট, শুঁটকিমহাল, ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের লাগোয়া সমুদ্রতীরে দেশের বৃহত্তম নাজিরারটেক শুঁটকিমহাল। এই মহালের পশ্চিম পাশে সৈকতের প্রায় ৩০ একর বেলাভূমি দখল করে আরও শুঁটকিমহাল বানানোর পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে অন্তত ৪০টি দোকান। এর পাশে সমিতিপাড়ায় ঝাউবন কেটে আরও অন্তত ২০টি বাড়ি বানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের বেলাভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ২০টি দোকান। এই পয়েন্টের সড়ক, ফুটপাত ও বালিয়াড়িতে বসানো হয়েছে ২০০ ভ্রাম্যমাণ হকার। এর দক্ষিণ পাশে কলাতলী পয়েন্টের ‘সি ক্রাউন হোটেলের’ সামনে তৈরি করা হয়েছে ৫টি দোকান। মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতের বেলাভূমিতে অন্তত ৩০টি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সালসা বিচ, পাটুয়ারটেকসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরকার কক্সবাজারের সৈকত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে। এই গেজেট অনুযায়ী সৈকতের বেলাভূমিতে স্থাপনা নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন না মেনে দীর্ঘদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রসৈকতের জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ উল্লেখ করে এ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত।
১৬ নভেম্বর দরিয়ানগর বড়ছড়া খালে কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে ও জিওব্যাগের বাঁধ দিয়ে বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে পরদিন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তা উচ্ছেদ করা হয়। সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণে কাউকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, দখলদারের তালিকা করে এ বিষয়ে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মারমেইডে অভিযান
এদিকে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি ‘মারমেইড বিচ রিসোর্টের’ বিরুদ্ধে ঝাউবন কেটে বেলাভূমি দখলের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে রামু উপজেলা প্রশাসন। সেখানে চার একর জমির ওপর বানানো ‘ফুল মুন বিচ পার্টি’ উচ্ছেদ করা হয়েছে। রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল বলেন, ‘সৈকতের বেলাভূমি ও ঝাউবন কেটে তৈরি করা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সব স্থাপনায় প্রবেশের জন্য নির্মিত ১০০ ফুট কাঠের সেতু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জানান, দুই-তিন বছর আগে ‘মারমেইড বিচ রিসোর্ট’ কর্তৃপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে ঝাউবনের ভেতরে স্থাপনা তৈরি করে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক সোহাগের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি হোক আর ব্যক্তিগত জমি হোক, সৈকত এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নেই। অবশ্যই বেলাভূমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আগে সৈকত এলাকায় কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি থেকে বিরত থাকতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
সরকারি জমি ও সৈকতের বেলাভূমি দখলের যেন মচ্ছব চলছে কক্সবাজারে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতারা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। গত তিন থেকে চার মাসে শহরের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতে দোকানপাট, শুঁটকিমহাল, ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের লাগোয়া সমুদ্রতীরে দেশের বৃহত্তম নাজিরারটেক শুঁটকিমহাল। এই মহালের পশ্চিম পাশে সৈকতের প্রায় ৩০ একর বেলাভূমি দখল করে আরও শুঁটকিমহাল বানানোর পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে অন্তত ৪০টি দোকান। এর পাশে সমিতিপাড়ায় ঝাউবন কেটে আরও অন্তত ২০টি বাড়ি বানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের বেলাভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ২০টি দোকান। এই পয়েন্টের সড়ক, ফুটপাত ও বালিয়াড়িতে বসানো হয়েছে ২০০ ভ্রাম্যমাণ হকার। এর দক্ষিণ পাশে কলাতলী পয়েন্টের ‘সি ক্রাউন হোটেলের’ সামনে তৈরি করা হয়েছে ৫টি দোকান। মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতের বেলাভূমিতে অন্তত ৩০টি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সালসা বিচ, পাটুয়ারটেকসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরকার কক্সবাজারের সৈকত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে। এই গেজেট অনুযায়ী সৈকতের বেলাভূমিতে স্থাপনা নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন না মেনে দীর্ঘদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রসৈকতের জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ উল্লেখ করে এ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত।
১৬ নভেম্বর দরিয়ানগর বড়ছড়া খালে কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে ও জিওব্যাগের বাঁধ দিয়ে বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে পরদিন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তা উচ্ছেদ করা হয়। সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণে কাউকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, দখলদারের তালিকা করে এ বিষয়ে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মারমেইডে অভিযান
এদিকে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি ‘মারমেইড বিচ রিসোর্টের’ বিরুদ্ধে ঝাউবন কেটে বেলাভূমি দখলের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে রামু উপজেলা প্রশাসন। সেখানে চার একর জমির ওপর বানানো ‘ফুল মুন বিচ পার্টি’ উচ্ছেদ করা হয়েছে। রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল বলেন, ‘সৈকতের বেলাভূমি ও ঝাউবন কেটে তৈরি করা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সব স্থাপনায় প্রবেশের জন্য নির্মিত ১০০ ফুট কাঠের সেতু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জানান, দুই-তিন বছর আগে ‘মারমেইড বিচ রিসোর্ট’ কর্তৃপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে ঝাউবনের ভেতরে স্থাপনা তৈরি করে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক সোহাগের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি হোক আর ব্যক্তিগত জমি হোক, সৈকত এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নেই। অবশ্যই বেলাভূমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আগে সৈকত এলাকায় কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি থেকে বিরত থাকতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ থেকে আগামী দুদিন দেশের কয়েক বিভাগে হালকা বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে...
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার বাতাসে দূষণ আজও অস্বাস্থ্যকর। গতকাল শুক্রবারের তুলনায় দূষণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২২৫। সকালের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়।
১১ ঘণ্টা আগেজলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে প্রকৃতি ও মানুষ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে—এ কথা দশকের পর দশক ধরে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে মানুষ ও প্রকৃতি এই বিপন্নতার মধ্যে আছে। পরিবেশ বিপর্যয় মানুষের জন্য হচ্ছে, কাজেই মানুষকে এ বিপর্যয় রোধে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে
১ দিন আগেপরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
১ দিন আগে