বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের বায়ুই এখন দূষণের শিকার। ২০২৩ সালে নিরাপদ বায়ুর নির্ধারিত মান পূরণ করতে পেরেছে মাত্র সাতটি দেশ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার এমন তথ্য দিয়েছে। সারা বিশ্বের ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারেরও বেশি মনিটরিং স্টেশন থেকে তথ্য নিয়ে এ সপ্তাহে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার।
যে সাতটি দেশের বায়ুর মান নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে সেসব হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রানাডা, আইসল্যান্ড, মরিশাস ও নিউজিল্যান্ড। এই দেশগুলোর বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার বা ক্ষতিকর ‘পিএম-২.৫’ কণা ছিল নির্ধারিত সীমার চেয়ে কম। দেশগুলোর প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ছিল পাঁচ মাইক্রোগ্রামের কম।
এ ছাড়া পুয়ের্তো রিকো, বারমুডা এবং ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার বাতাসও নিরাপদ স্তরের মধ্যেই পড়েছে।
ইউরোপে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু আইসল্যান্ডে। সেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ৪ মাইক্রোগ্রাম। এস্তোনিয়ায় ৪ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম এবং ফিনল্যান্ডের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম-২.৫-এর পরিমাণ ৪ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম।
পিএম-২.৫ হচ্ছে মাইক্রোস্কোপিক কণা, যার ব্যাস ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। শ্বাস নেওয়ার সময় এই কণা আমাদের ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে, এমনকি আমাদের রক্তপ্রবাহেও পৌঁছাতে পারে। হৃদ্রোগ এবং ফুসফুসের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানির ঝুঁকি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং অকালমৃত্যুর জন্যও দায়ী এই ক্ষতিকর কণা।
পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে ইউরোপের যেসব দেশ রয়েছে সেসব হলো—সুইডেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, লিচটেনস্টেইন, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, অ্যান্ডোরা, লাটভিয়া, ইউক্রেন, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, স্পেন ও রাশিয়া।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের তুলনায় বায়ুর মান উন্নত হয়েছে ইউরোপের শহরগুলোয়। পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে ২০২২ সালে ছিল ইউরোপের ৩৯ শতাংশ শহর। আর ২০২৩ সালে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশগুলোর বেশির ভাগই দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর ১০টি শহরও এই অঞ্চলেই অবস্থিত। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম পিএম-২.৫ কণা নিয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বাংলাদেশের বাতাসে ক্ষতিকর কণাটির পরিমাণ ১৫ গুণ বেশি।
নিরাপদ মানের থেকে ১৪ গুণ বেশি পিএম-২.৫ কণা নিয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় বাংলাদেশের পরের নামটি পাকিস্তান। তৃতীয় অবস্থানে ভারত, সেখানে পিএম-২.৫-এর মাত্রা নিরাপদ মানের ১০ গুণ বেশি।
চতুর্থ এবং পঞ্চম দূষিত দেশ হচ্ছে যথাক্রমে তাজিকিস্তান ও বুরকিনা ফাসো। দুটি দেশেই পিএম-২.৫-এর পরিমাণ নিরাপদ মানের থেকে ৯ গুণ বেশি।
সাম্প্রতিক চিত্রে দেখা গেছে, ধনী ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও বায়ুদূষণ কমানোর অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়েছে। কানাডাকে এতকাল পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। গত বছর সেই কানাডায়ও মারাত্মক বায়ুদূষণ দেখা গেছে। আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, প্রথমবারের মতো উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে দূষিত বাতাসের দেশ এখন কানাডা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়দূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই সংখ্যা সম্মিলিতভাবে এইডস এবং ম্যালেরিয়ার চেয়েও বেশি।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের বায়ুই এখন দূষণের শিকার। ২০২৩ সালে নিরাপদ বায়ুর নির্ধারিত মান পূরণ করতে পেরেছে মাত্র সাতটি দেশ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার এমন তথ্য দিয়েছে। সারা বিশ্বের ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারেরও বেশি মনিটরিং স্টেশন থেকে তথ্য নিয়ে এ সপ্তাহে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার।
যে সাতটি দেশের বায়ুর মান নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে সেসব হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রানাডা, আইসল্যান্ড, মরিশাস ও নিউজিল্যান্ড। এই দেশগুলোর বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার বা ক্ষতিকর ‘পিএম-২.৫’ কণা ছিল নির্ধারিত সীমার চেয়ে কম। দেশগুলোর প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ছিল পাঁচ মাইক্রোগ্রামের কম।
এ ছাড়া পুয়ের্তো রিকো, বারমুডা এবং ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার বাতাসও নিরাপদ স্তরের মধ্যেই পড়েছে।
ইউরোপে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু আইসল্যান্ডে। সেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ৪ মাইক্রোগ্রাম। এস্তোনিয়ায় ৪ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম এবং ফিনল্যান্ডের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম-২.৫-এর পরিমাণ ৪ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম।
পিএম-২.৫ হচ্ছে মাইক্রোস্কোপিক কণা, যার ব্যাস ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। শ্বাস নেওয়ার সময় এই কণা আমাদের ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে, এমনকি আমাদের রক্তপ্রবাহেও পৌঁছাতে পারে। হৃদ্রোগ এবং ফুসফুসের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানির ঝুঁকি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং অকালমৃত্যুর জন্যও দায়ী এই ক্ষতিকর কণা।
পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে ইউরোপের যেসব দেশ রয়েছে সেসব হলো—সুইডেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, লিচটেনস্টেইন, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, অ্যান্ডোরা, লাটভিয়া, ইউক্রেন, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, স্পেন ও রাশিয়া।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের তুলনায় বায়ুর মান উন্নত হয়েছে ইউরোপের শহরগুলোয়। পিএম-২.৫ কণার পরিমাণ ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে ২০২২ সালে ছিল ইউরোপের ৩৯ শতাংশ শহর। আর ২০২৩ সালে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশগুলোর বেশির ভাগই দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর ১০টি শহরও এই অঞ্চলেই অবস্থিত। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম পিএম-২.৫ কণা নিয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বাংলাদেশের বাতাসে ক্ষতিকর কণাটির পরিমাণ ১৫ গুণ বেশি।
নিরাপদ মানের থেকে ১৪ গুণ বেশি পিএম-২.৫ কণা নিয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় বাংলাদেশের পরের নামটি পাকিস্তান। তৃতীয় অবস্থানে ভারত, সেখানে পিএম-২.৫-এর মাত্রা নিরাপদ মানের ১০ গুণ বেশি।
চতুর্থ এবং পঞ্চম দূষিত দেশ হচ্ছে যথাক্রমে তাজিকিস্তান ও বুরকিনা ফাসো। দুটি দেশেই পিএম-২.৫-এর পরিমাণ নিরাপদ মানের থেকে ৯ গুণ বেশি।
সাম্প্রতিক চিত্রে দেখা গেছে, ধনী ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও বায়ুদূষণ কমানোর অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়েছে। কানাডাকে এতকাল পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। গত বছর সেই কানাডায়ও মারাত্মক বায়ুদূষণ দেখা গেছে। আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, প্রথমবারের মতো উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে দূষিত বাতাসের দেশ এখন কানাডা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়দূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই সংখ্যা সম্মিলিতভাবে এইডস এবং ম্যালেরিয়ার চেয়েও বেশি।
আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা থাকলেও এ এলাকর আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের আজ বুধবার সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮৬। আইকিউ এয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের করা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান ১৩তম।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ‘নদীমাতৃক দেশ’ হলেও বেশির ভাগ নদ-নদীর উৎপত্তি দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর ৮০ শতাংশ উৎপত্তি হয়েছে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে; বিশেষ করে ভারত থেকে। এ কারণে পানির প্রবাহ ও প্রাপ্যতা বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে এক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।
১ দিন আগেসুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। তবে এখনো তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য কমে যাওয়া, শিকারিদের অপতৎপরতা ও যথাযথ সুরক্ষা না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১ দিন আগে