অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ মহাসাগরে ভাসতে শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ (হিমশৈল) ‘এ ২৩ এ’। দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় এক স্থানে আটকে থাকার পর পুনরায় সরে যাচ্ছে এটি। এই বিশাল আইসবার্গটি আকার লন্ডনের প্রায় দ্বিগুণ এবং এর ওজন প্রায় এক ট্রিলিয়ন টন। এই আইসবর্গটি গতিবিধির প্রভাব শুধুমাত্র তার আশপাশের এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বৈশ্বিক সমুদ্রস্তরের পরিবর্তন এবং পরিবেশগত পরিবর্তনগুলোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাসাগরের নানা প্রজাতির জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে এ ২৩ এ–এর মতো আইসবর্গগুলো। এটি গলে গেলে তা মহাসাগরের পুষ্টির বন্টনকেও প্রভাবিত করতে পারে। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদদের জন্য এসব প্রক্রিয়া বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ১৩এ–এর বিচ্ছিন্ন হওয়া পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন যে, এই আইসবর্গের গলে যাওয়া কীভাবে বৈশ্বিক সমুদ্রস্তরের পরিবর্তনে অবদান রাখবে। বড় আকারের বরফ গলার ফলে সমুদ্রস্রোত এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তৈরি হতে পারে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞানীরা উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং মহাসাগরীয় তথ্য ব্যবহার করে এ১৩এ–এর গতিবিধির পূর্বাভাস দিতে পারেন। সমুদ্রস্রোতের গতিবিধিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে এসব হিমশৈল।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ২৩এ আইসবার্গটি সরতে সরতে শেষমেশ অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পৌঁছাবে। সেখানে এই আইসবার্গকে উষ্ণ পানির সম্মুখীন হবে। একপর্যায়ে তা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গলে যাবে।
১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার ফিলচনার আইস শেলফ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল আইসবর্গটি। এরপর এটি দক্ষিণ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের কাছে ওয়েডেল সাগরের তলদেশে আটকে ছিল। তবে ২০২০ সালে উত্তর দিকে ধীরে ধীরে সরতে শুরু করে। এবার সম্পূর্ণভাবে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে-র একজন মহাসাগরবিদ ড. অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন ‘দীর্ঘদিন এক স্থানে আটকে থাকার পর এ২৩এ আবার সরে যাচ্ছে—এটা দেখা রোমাঞ্চকর! এর আগে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর থেকে যেসব বড় হিমশৈল সরে গেছে, এ২৩এ সেই একই পথ অনুসরণ করে কি না, আমরা তা দেখতে উৎসুক।’
আইসবার্গ এ২৩ এ–র যাত্রা ছিল বিভিন্ন আকর্ষণীয় বৈজ্ঞানিক ঘটনার সাক্ষী। ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এটি ৩০ বছর ধরে ওয়েডেল সাগরের তলদেশে আটকে ছিল। এটি একটি স্থির ‘আইস আইল্যান্ড’ হিসেবে অবস্থান করেছিল। তবে ২০২০ সালে এটি আবার ভেসে উঠতে শুরু করে। প্রথমে ধীর গতিতে, পরে তা দ্রুত উত্তর দিকে উষ্ণ বায়ু ও সাগরের দিকে চলে যায়।
বায়োজিওকেমিস্ট লরা টেইলর বলেন, বিশাল আইসবার্গ এ২৩এ ভেঙে গিয়ে গলে গেলে এটি এর আশপাশের পরিবেশ ব্যবস্থায় কী প্রভাব পড়বে তা গবেষণা করবে বিজ্ঞানীরা।
টেইলর আরও বলেন, আমরা জানি যে, এই বিশাল আইসবার্গগুলো যখন যেসব সমুদ্রের মধ্য দিয়ে চলে, তখন তারা সেই জলাশয়ে পুষ্টি উপাদান ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে এমন কিছু এলাকায় যেখানে স্বাভাবিকভাবে খুব বেশি জীবন বা জীববৈচিত্র্য থাকে না, সেখানে নতুনভাবে প্রাণিজগৎ গড়ে ওঠে এবং পরিবেশ সমৃদ্ধ হয়।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
দক্ষিণ মহাসাগরে ভাসতে শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ (হিমশৈল) ‘এ ২৩ এ’। দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় এক স্থানে আটকে থাকার পর পুনরায় সরে যাচ্ছে এটি। এই বিশাল আইসবার্গটি আকার লন্ডনের প্রায় দ্বিগুণ এবং এর ওজন প্রায় এক ট্রিলিয়ন টন। এই আইসবর্গটি গতিবিধির প্রভাব শুধুমাত্র তার আশপাশের এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বৈশ্বিক সমুদ্রস্তরের পরিবর্তন এবং পরিবেশগত পরিবর্তনগুলোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাসাগরের নানা প্রজাতির জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে এ ২৩ এ–এর মতো আইসবর্গগুলো। এটি গলে গেলে তা মহাসাগরের পুষ্টির বন্টনকেও প্রভাবিত করতে পারে। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদদের জন্য এসব প্রক্রিয়া বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ১৩এ–এর বিচ্ছিন্ন হওয়া পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন যে, এই আইসবর্গের গলে যাওয়া কীভাবে বৈশ্বিক সমুদ্রস্তরের পরিবর্তনে অবদান রাখবে। বড় আকারের বরফ গলার ফলে সমুদ্রস্রোত এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তৈরি হতে পারে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞানীরা উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং মহাসাগরীয় তথ্য ব্যবহার করে এ১৩এ–এর গতিবিধির পূর্বাভাস দিতে পারেন। সমুদ্রস্রোতের গতিবিধিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে এসব হিমশৈল।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ২৩এ আইসবার্গটি সরতে সরতে শেষমেশ অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পৌঁছাবে। সেখানে এই আইসবার্গকে উষ্ণ পানির সম্মুখীন হবে। একপর্যায়ে তা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গলে যাবে।
১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার ফিলচনার আইস শেলফ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল আইসবর্গটি। এরপর এটি দক্ষিণ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের কাছে ওয়েডেল সাগরের তলদেশে আটকে ছিল। তবে ২০২০ সালে উত্তর দিকে ধীরে ধীরে সরতে শুরু করে। এবার সম্পূর্ণভাবে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে-র একজন মহাসাগরবিদ ড. অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন ‘দীর্ঘদিন এক স্থানে আটকে থাকার পর এ২৩এ আবার সরে যাচ্ছে—এটা দেখা রোমাঞ্চকর! এর আগে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর থেকে যেসব বড় হিমশৈল সরে গেছে, এ২৩এ সেই একই পথ অনুসরণ করে কি না, আমরা তা দেখতে উৎসুক।’
আইসবার্গ এ২৩ এ–র যাত্রা ছিল বিভিন্ন আকর্ষণীয় বৈজ্ঞানিক ঘটনার সাক্ষী। ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এটি ৩০ বছর ধরে ওয়েডেল সাগরের তলদেশে আটকে ছিল। এটি একটি স্থির ‘আইস আইল্যান্ড’ হিসেবে অবস্থান করেছিল। তবে ২০২০ সালে এটি আবার ভেসে উঠতে শুরু করে। প্রথমে ধীর গতিতে, পরে তা দ্রুত উত্তর দিকে উষ্ণ বায়ু ও সাগরের দিকে চলে যায়।
বায়োজিওকেমিস্ট লরা টেইলর বলেন, বিশাল আইসবার্গ এ২৩এ ভেঙে গিয়ে গলে গেলে এটি এর আশপাশের পরিবেশ ব্যবস্থায় কী প্রভাব পড়বে তা গবেষণা করবে বিজ্ঞানীরা।
টেইলর আরও বলেন, আমরা জানি যে, এই বিশাল আইসবার্গগুলো যখন যেসব সমুদ্রের মধ্য দিয়ে চলে, তখন তারা সেই জলাশয়ে পুষ্টি উপাদান ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে এমন কিছু এলাকায় যেখানে স্বাভাবিকভাবে খুব বেশি জীবন বা জীববৈচিত্র্য থাকে না, সেখানে নতুনভাবে প্রাণিজগৎ গড়ে ওঠে এবং পরিবেশ সমৃদ্ধ হয়।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ থেকে আগামী দুদিন দেশের কয়েক বিভাগে হালকা বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে...
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার বাতাসে দূষণ আজও অস্বাস্থ্যকর। গতকাল শুক্রবারের তুলনায় দূষণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২২৫। সকালের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়।
১৬ ঘণ্টা আগেজলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে প্রকৃতি ও মানুষ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে—এ কথা দশকের পর দশক ধরে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে মানুষ ও প্রকৃতি এই বিপন্নতার মধ্যে আছে। পরিবেশ বিপর্যয় মানুষের জন্য হচ্ছে, কাজেই মানুষকে এ বিপর্যয় রোধে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে
১ দিন আগেপরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
১ দিন আগে